ঝাড়গ্রাম 12 অগাস্ট : কোয়ারানটিন সেন্টারে থাকা ব্যক্তিদের দেখভাল করা এক কোরোনা যোদ্ধাকে মারধরের অভিযোগ উঠল BJP-র বিরুদ্ধে। এই অভিযোগের ভিত্তিতে 4 জন BJP কর্মীকে গ্রেপ্তার করে ঝাড়গ্রাম আদালতে তোলা হলে বিচারক তাদের এক দিনের জেল হেপাজতের নির্দেশ দেন । ঘটনাটি ঝাড়গ্রাম জেলার সাঁকরাইল ব্লক এর পাথরা গ্রাম পঞ্চায়েতের বাঁকড়া গ্রামের ঘটনা ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বাঁকড়া গ্রামের বাঁকড়া কর্মতীর্থ কোয়ারানটিন সেন্টারে ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিযুক্ত থাকা সনু প্রামাণিক (23) নামে এক যুবককে মঙ্গলবার রাতে লোহার রড দিয়ে ব্যাপক মারধর করার অভিযোগ ওঠে BJP আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে । সনু প্রামানিক বাঁকড়া কর্মতীর্থ কোয়ারানটিন সেন্টারে থাকা ব্যক্তিদের দেখভাল করতেন, তাঁদের খাবার দেওয়ার কাজ করতেন । বাঁকড়া গ্রামের তালাই পাড়ায় সনুর বাড়ি । সনু স্থানীয় যুবক হওয়ায় BJP-র লোকজন দীর্ঘদিন ধরে অপপ্রচার করতে থাকে গ্রামের মধ্যে কোরোনা ছড়াচ্ছে সনু ।
অভিযোগ, মঙ্গলবার রাতে কোয়ারানটিনে থাকা ব্যক্তিদের খাবার দিতে যাওয়ার সময় পুলিশ ও সিভিক ভলেন্টিয়ারের চোখের সামনে প্রায় 10 থেকে 12 জন BJP আশ্রিত দুষ্কৃতী সনুর উপর চড়াও হয় বলে অভিযোগ । লোহার রড দিয়ে তাকে ব্যাপক মারধর করা হয় । আশঙ্কাজনক অবস্থায় সনুকে উদ্ধার করে ভাঙাগড় গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় । অবস্থা আশঙ্কাজনক থাকায় ঝাড়গ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয় সনুকে । অবস্থার অবনতি হওয়ায় ফের মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজে স্থানান্তর করা হয় তাঁকে । এই ঘটনার খবর পেয়ে রাতেই হাসপাতালে যান তৃণমূলের ঝাড়গ্রাম জেলার মুখপাত্র সুব্রত সাহা, ঝাড়গ্রাম শহর যুব তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক উজ্জ্বল পাত্র সহ তৃণমূলের একাধিক নেতৃত্ব । ঘটনায় সাঁকরাইল থানায় লিখিত অভিযোগ জানায় সনু প্রামাণিকের পরিবার ।
সনু প্রামাণিকের বাবা লক্ষ্মীন্দর প্রামাণিক বলেন, ''আমার ছেলেকে BJP-র লোকজন পরিকল্পিতভাবে মারধর করেছে। সমাজের ভালোর জন্য জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দিনরাত এক করে কাজ করে আমার ছেলে । আইন ব্যবস্থার উপর ভরসা আছে । দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই । সাঁকরাইল ব্লকের পাথরা গ্রাম পঞ্চায়েত BJP-র দখলে । ফলস্বরূপ BJP-র যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে । লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে সাঁকরাইল থানার পুলিশ এদিন বুধবার 4 জন বিজেপি কর্মীকে গ্রেপ্তার করে ঝাড়গ্রাম আদালতে তোলে ৷ বিচারক তাদের এক দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন ।''
ঝাড়গ্রাম জেলা তৃণমূলের মুখপাত্র সুব্রত সাহা বলেন, BJP দিনের পর দিন জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে । সুপরিকল্পিত ভাবে এলাকায় অশান্তির পরিবেশ সৃষ্টি করছে । আমরা দলীয়ভাবে এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানায় । যদিও এই ব্যাপারে BJP নেতৃত্ব কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে রাজি হয়নি ।