মেদিনীপুর, 23 জুন : মেদিনীপুর থেকে কলকাতা যাওয়ার মূল যোগাযোগের মাধ্যম বীরেন্দ্র সেতু ৷ তার এখন ভগ্নদশা। সেতুটির এই ভগ্নদশা খতিয়ে দেখতে এবার সেতু পরিদর্শনে এলেন প্রশাসনিক আধিকারিকরা। তাঁরা খুঁটিয়ে দেখলেন ও আশ্বাস দিলেন সেতু দ্রুত মেরামত করে দেওয়ার (Birendra Shasmal Bridge is in Dilapidated Condition Again)৷
প্রসঙ্গক্রমে, মেদিনীপুর থেকে কলকাতা যাওয়ার পথে পড়ে কাঁসাই নদীর উপর এই বীরেন্দ্র শাসমল সেতু । 1972 সালে তৈরি এই সেতু দিয়ে প্রতিদিন হাজার-হাজার লরি, বাস, পণ্যবাহী ট্রাক, মোটরবাইক অ্যাম্বুলেন্স এবং সাইকেল-সহ ছোট গাড়ি যাতায়াত করে ৷ শুধু মেদিনীপুরের সঙ্গে কলকাতার যোগাযোগ বললে ভুল বলা হবে মূলত দুর্গাপুর, আসানসোল-সহ পুরুলিয়া ও বিষ্ণুপুরেরও যোগাযোগ মাধ্যম হল এই বীরেন্দ্র শাসমল সেতু। কিন্তু এই সেতু দীর্ঘদিন ধরে জরাজীর্ণ। বহুবার এই নিয়ে অভিযোগ করেছেন পথচলতি মানুষ-সহ স্থানীয় মানুষজন।
বছর দু'য়েক আগে সেতুর বেশ কিছু অংশ ভেঙে পড়েছিল। সেই সময় তড়িঘড়ি সমস্ত যানবাহন বন্ধ করে মেরামতের নির্দেশ দিয়েছিলেন জেলার তৎকালীন জেলাশাসক ডক্টর রেশমি কমল। তিনি এও বলেছিলেন যে নতুন করে একটি ব্রিজের ভাবনা-চিন্তা করে করা হচ্ছে যা খুব দ্রুত তৈরি করা হবে। যদিও পরবর্তীকালে তা গড়ে তোলা হয়নি। আশ্বাস, আশ্বাসই রয়ে গিয়েছে এমনই বলছেন এলাকাবাসী। বহুবার বলেও সমস্যার সমাধান হয়নি। অভিযোগ, কেবলমাত্র জোড়াতাপ্পি দিয়ে সমস্যা এড়িয়েছেন প্রশাসনিক আধিকারিকরা। যদিও এরপর জেলাশাসক বদলি হয়েছেন। বর্তমান জেলাশাসক হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন আয়েশা রানি। তিনি দায়িত্ব নেওয়ার সপ্তাহখানেকের মধ্যেই ফের চিড় দেখা গেল বীরেন্দ্র শাসমল সেতুতে। বুধবার চলাফেরা করতে গিয়ে অস্বস্তি এবং আশঙ্কা অনুভব করেন পথচলতি মানুষ-সহ ট্রাক ড্রাইভাররা। তাঁরা বিষয়টি দ্রুত প্রশাসনিক আধিকারিকদের জানালে, রাতেই যানবাহন বন্ধ করে দেয় স্থানীয় প্রশাসন। এরপরই তড়িঘড়ি এদিন সকালে সেতু পরিদর্শনে যান একদল প্রশাসনিক আধিকারিক। দলে ছিলেন জেলার প্রশাসনিক আধিকারিক, সেচ দফতরের আধিকারিক-সহ অন্যান্যরা।
![Birendra Shasmal Bridge](https://etvbharatimages.akamaized.net/etvbharat/prod-images/15639709_wb_wmid.jpg)
আরও পড়ুন : বৃষ্টিতে ত্রিফলা বাতিস্তম্ভ বিভ্রাট থেকে বাঁচতে নতুন পরিকল্পনা হাওড়া পৌরনিগমের
জাতীয় সড়কের চিফ ইঞ্জিনিয়ার রাজীব চট্টরাজ পরিদর্শনের পর বলেন, "সেতুর অবস্থা ভাল নয়। তাই যত দ্রুত সম্ভব একটি নতুন সেতু তৈরি করা যায় তারই চিন্তাভাবনা চলছে। এই রাস্তা দিয়ে যেহেতু প্রচুর যানবাহন চলাফেরা করে তাই আমরা নতুন সেতু যেমন একদিকে তৈরি করব তেমনই পুরনো সেতুও দ্রুত মেরামত করব।" একই আশ্বাস দিয়েছেন পূর্ত ও সেচ দফতরের কর্মাধ্যক্ষ নির্মল ঘোষ। তিনি বলেন, "আমরা অন্যত্র একটি সেতুর ভাবনা চিন্তা করছি। যাতে মাঝের হাটের মতো ঘটনা না ঘটে সে বিষয়েও আমরা খেয়াল রাখছি।"