ETV Bharat / state

Containment Zone: কন্টেনমেন্ট জোনে বিজয়া সম্মিলনী, পৌরসভার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন

করোনা সংক্রমণের জেরে মেদিনীপুর পৌরসভার 25টি ওয়ার্ডে ছোট ছোট কন্টেনমেন্ট জোন তৈরি করেছে পৌর প্রশাসন ৷ কিন্তু, সেই পৌর প্রশাসনের উদ্যোগের কন্টেমেন্ট জোন সংলগ্ন এলাকায় আয়োজিত হল বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠান ৷ আর সেই অনুষ্ঠানে হাজির হলেন, রাজ্যের মন্ত্রী এবং বিধায়করা ৷ করোনার বিধিনিষেধকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে চলল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ৷

Bijoya Sammilani at Containment Zone in Medinipur Municipalty area
কন্টাইনমেন্ট জোনে বিজয়া সম্মিলনী, মেদিনীপুর পৌরসভার ভূমিকা প্রশ্ন
author img

By

Published : Nov 17, 2021, 5:01 PM IST

মেদিনীপুর, 17 নভেম্বর : বজ্র আঁটুনি, ফসকা গেঁড়ো ৷ মেদিনীপুর পৌরসভা এলাকায় করোনা নিয়ে প্রশাসনের ভূমিকাকে এভাবেই ব্যাখ্যা করা যায় ৷ একদিকে মেদিনীপুর পৌরসভা এলাকায় করোনা সংক্রমণের জেরে 25টি ওয়ার্ডে কন্টেনমেন্ট জোন করা হয়েছে ৷ আবার সেই কন্টেনমেন্ট জোনের মধ্যে পৌরসভা থেকে বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন করতে দেখা গেল ৷ এমনই চূড়ান্ত অব্যবস্থা মেদিনীপুর পৌর এলাকায় ৷ যে বিজয়া সম্মিলনীতে শাসকদলের নেতা ও মন্ত্রীদেরও দেখা গিয়েছে ৷ যদিও, এ নিয়ে পৌরসভার মুখ্য প্রশাসক সৌমেন খাঁ-র দাবি, নবান্নের নির্দেশ মেনে 70 শতাংশ জমায়েত করে অনুষ্ঠান করা হয়েছে ৷ কিন্তু, কন্টাইনমেন্ট জোনে 70 শতাংশ জমায়েতের অনুমতি কি নবান্ন থেকে দেওয়া হয়েছে ? সেই প্রশ্নে মুখে কুলুপ পৌর কর্তৃপক্ষের ৷

উৎসবে মরসুমে রাজ্যে করোনা সংক্রমণ ক্রমশ বাড়ছে ৷ বিশেষ করে দুর্গা পুজোর পর থেকে রাজ্যে সংক্রমণের হার অনেকটাই বেড়েছে ৷ একইভাবে সংক্রমণ বেড়েছে মেদিনীপুর পৌরসভা এলাকাতেও ৷ সেই কারণে মেদিনীপুর পৌরসভার 25টি ওয়ার্ডে ছোট ছোট বেশ কয়েকটি কন্টেনমেন্ট জোন করা হয়েছে ৷ কিন্তু, কন্টেনমেন্ট জোনের মধ্যেই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজনের অভিযোগ উঠল মেদিনীপুর পৌর প্রশাসক বোর্ডের বিরুদ্ধে ৷ অভিযোগ মঙ্গলবার রাতে পৌর এলাকার নাগরিকদের নিয়ে বড় করে বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন করা হয়েছিল ৷ যেখানে মেদিনীপুর শহরের বহু মানুষ অংশ নিয়েছিল ৷ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়েছিল ওই বিজয়া সম্মিলনীর মঞ্চে ৷

আরও পড়ুন : Corona in India : ফের দৈনিক সংক্রমণ 10 হাজারের ঘরে, বেড়েছে মৃত্যু

আর সেই মঞ্চেই উপস্থিত ছিলেন, রাজ্যের মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া ৷ ছিলেন মেদিনীপুর পৌরসভার মুখ্য প্রশাসক সৌমেন খাঁ, মেদিনীপুরের বিধায়ক জুন মালিয়া এবং জেলার পুলিশ আধিকারিকরা ৷ আর সেই অনুষ্ঠানে করোনা সংক্রান্ত বিধিনিষেধ পালনের কোনও লক্ষ্মণই দেখা যায়নি বলে অভিযোগ ৷ এমনকি মঞ্চে উপস্থিত ভিভিআইপি-দের মুখে মাস্ক ছিল না বলেও অভিযোগ ৷ অনুষ্ঠান মঞ্চে সঙ্গীত শিল্পী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজারহাট-গোপালপুরের বিধায়ক অদিতি মুন্সি ৷

আরও পড়ুন : Suvendu Adhikari: হাইকোর্টে স্বস্তি শুভেন্দুর, গ্রেফতারি সংক্রান্ত রক্ষাকবচ বহাল রাখল ডিভিশন বেঞ্চ

এ নিয়ে শাসকদলকে একহাত নিয়েছেন মেদিনীপুরের বিজেপি নেতা অরূপ দাস ৷ তিনি বলেন, বাংলায় একটা আজব সরকার চলছে ৷ যেখানে বিরোধীরা কোনও অনুষ্ঠান করতে পারে না ৷ সাধারণ মানুষ কোনও অনুষ্ঠান করতে পারে না ৷ এমনকি ঠাকুর বিসর্জনের জন্য মানুষ জমায়েত করতে পারে না ৷ এই নিয়মবিধি জারি করা পৌর প্রশাসন কীভাবে নিয়ম ভেঙে বদ্ধ জায়গায় বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন করল ? সেই প্রশ্ন তুলেছেন ওই বিজেপি নেতা ৷

আরও পড়ুন : School Reopening: অনলাইন থেকে অফলাইনে ফেরা, খুশি পড়ুয়া-শিক্ষকরা

অন্যদিকে, পুরো বিষয়টিতে জেলা জনস্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ শ্যামাপদ পাত্র বলেন, এখনও জমায়েতের উপর আগের মতোই বিধিনিষেধ রয়েছে ৷ তবে, জেলা পরিষদের সভাঘরে যে জলসা হয়েছিল, সেখানে ব্যক্তিগত কারণে জনস্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ উপস্থিত হতে পারেননি ৷ তবে, সেখানে করোনাবিধি না মানা হলে নিয়মভঙ্গ অবশ্যই হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি ৷ এ নিয়ে পুলিশ প্রশাসনকে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেবেন বলে জানিয়েছেন তিনি ৷ আর ভবিষ্যতে যাতে এমনটা না হয় ৷ তাও নজরে রাখা হবে বলে জানান জেলা জনস্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ ৷

কন্টাইনমেন্ট জোনে বিজয়া সম্মিলনী, মেদিনীপুর পৌরসভার ভূমিকা প্রশ্ন

যদিও, করোনা সংক্রান্ত বিধিনিষেধ মেনেই বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মেদিনীপুর পৌরসভার মুখ্য প্রশাসক সৌমেন খাঁ ৷ তাঁর দাবি, রাজ্য সরকারের নিয়ম মেনে 70 শতাংশ লোকের জমায়েতে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল ৷ আর অনুষ্ঠানে সকলেই নাকি মাস্ক ও স্যানিটাইজার ব্যবহার করেছে ৷ তবে, কন্টেনমেন্ট জোনে তাও আবার বদ্ধ সভাঘরে 70 শতাংশ জমায়েত করা যায় কি না, সেই প্রশ্নের জবাব পাওয়া যায়নি মেদিনীপুর পৌরসভার মুখ্য প্রশাসকের কাছ থেকে ৷

মেদিনীপুর, 17 নভেম্বর : বজ্র আঁটুনি, ফসকা গেঁড়ো ৷ মেদিনীপুর পৌরসভা এলাকায় করোনা নিয়ে প্রশাসনের ভূমিকাকে এভাবেই ব্যাখ্যা করা যায় ৷ একদিকে মেদিনীপুর পৌরসভা এলাকায় করোনা সংক্রমণের জেরে 25টি ওয়ার্ডে কন্টেনমেন্ট জোন করা হয়েছে ৷ আবার সেই কন্টেনমেন্ট জোনের মধ্যে পৌরসভা থেকে বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন করতে দেখা গেল ৷ এমনই চূড়ান্ত অব্যবস্থা মেদিনীপুর পৌর এলাকায় ৷ যে বিজয়া সম্মিলনীতে শাসকদলের নেতা ও মন্ত্রীদেরও দেখা গিয়েছে ৷ যদিও, এ নিয়ে পৌরসভার মুখ্য প্রশাসক সৌমেন খাঁ-র দাবি, নবান্নের নির্দেশ মেনে 70 শতাংশ জমায়েত করে অনুষ্ঠান করা হয়েছে ৷ কিন্তু, কন্টাইনমেন্ট জোনে 70 শতাংশ জমায়েতের অনুমতি কি নবান্ন থেকে দেওয়া হয়েছে ? সেই প্রশ্নে মুখে কুলুপ পৌর কর্তৃপক্ষের ৷

উৎসবে মরসুমে রাজ্যে করোনা সংক্রমণ ক্রমশ বাড়ছে ৷ বিশেষ করে দুর্গা পুজোর পর থেকে রাজ্যে সংক্রমণের হার অনেকটাই বেড়েছে ৷ একইভাবে সংক্রমণ বেড়েছে মেদিনীপুর পৌরসভা এলাকাতেও ৷ সেই কারণে মেদিনীপুর পৌরসভার 25টি ওয়ার্ডে ছোট ছোট বেশ কয়েকটি কন্টেনমেন্ট জোন করা হয়েছে ৷ কিন্তু, কন্টেনমেন্ট জোনের মধ্যেই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজনের অভিযোগ উঠল মেদিনীপুর পৌর প্রশাসক বোর্ডের বিরুদ্ধে ৷ অভিযোগ মঙ্গলবার রাতে পৌর এলাকার নাগরিকদের নিয়ে বড় করে বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন করা হয়েছিল ৷ যেখানে মেদিনীপুর শহরের বহু মানুষ অংশ নিয়েছিল ৷ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়েছিল ওই বিজয়া সম্মিলনীর মঞ্চে ৷

আরও পড়ুন : Corona in India : ফের দৈনিক সংক্রমণ 10 হাজারের ঘরে, বেড়েছে মৃত্যু

আর সেই মঞ্চেই উপস্থিত ছিলেন, রাজ্যের মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া ৷ ছিলেন মেদিনীপুর পৌরসভার মুখ্য প্রশাসক সৌমেন খাঁ, মেদিনীপুরের বিধায়ক জুন মালিয়া এবং জেলার পুলিশ আধিকারিকরা ৷ আর সেই অনুষ্ঠানে করোনা সংক্রান্ত বিধিনিষেধ পালনের কোনও লক্ষ্মণই দেখা যায়নি বলে অভিযোগ ৷ এমনকি মঞ্চে উপস্থিত ভিভিআইপি-দের মুখে মাস্ক ছিল না বলেও অভিযোগ ৷ অনুষ্ঠান মঞ্চে সঙ্গীত শিল্পী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজারহাট-গোপালপুরের বিধায়ক অদিতি মুন্সি ৷

আরও পড়ুন : Suvendu Adhikari: হাইকোর্টে স্বস্তি শুভেন্দুর, গ্রেফতারি সংক্রান্ত রক্ষাকবচ বহাল রাখল ডিভিশন বেঞ্চ

এ নিয়ে শাসকদলকে একহাত নিয়েছেন মেদিনীপুরের বিজেপি নেতা অরূপ দাস ৷ তিনি বলেন, বাংলায় একটা আজব সরকার চলছে ৷ যেখানে বিরোধীরা কোনও অনুষ্ঠান করতে পারে না ৷ সাধারণ মানুষ কোনও অনুষ্ঠান করতে পারে না ৷ এমনকি ঠাকুর বিসর্জনের জন্য মানুষ জমায়েত করতে পারে না ৷ এই নিয়মবিধি জারি করা পৌর প্রশাসন কীভাবে নিয়ম ভেঙে বদ্ধ জায়গায় বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন করল ? সেই প্রশ্ন তুলেছেন ওই বিজেপি নেতা ৷

আরও পড়ুন : School Reopening: অনলাইন থেকে অফলাইনে ফেরা, খুশি পড়ুয়া-শিক্ষকরা

অন্যদিকে, পুরো বিষয়টিতে জেলা জনস্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ শ্যামাপদ পাত্র বলেন, এখনও জমায়েতের উপর আগের মতোই বিধিনিষেধ রয়েছে ৷ তবে, জেলা পরিষদের সভাঘরে যে জলসা হয়েছিল, সেখানে ব্যক্তিগত কারণে জনস্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ উপস্থিত হতে পারেননি ৷ তবে, সেখানে করোনাবিধি না মানা হলে নিয়মভঙ্গ অবশ্যই হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি ৷ এ নিয়ে পুলিশ প্রশাসনকে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেবেন বলে জানিয়েছেন তিনি ৷ আর ভবিষ্যতে যাতে এমনটা না হয় ৷ তাও নজরে রাখা হবে বলে জানান জেলা জনস্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ ৷

কন্টাইনমেন্ট জোনে বিজয়া সম্মিলনী, মেদিনীপুর পৌরসভার ভূমিকা প্রশ্ন

যদিও, করোনা সংক্রান্ত বিধিনিষেধ মেনেই বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মেদিনীপুর পৌরসভার মুখ্য প্রশাসক সৌমেন খাঁ ৷ তাঁর দাবি, রাজ্য সরকারের নিয়ম মেনে 70 শতাংশ লোকের জমায়েতে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল ৷ আর অনুষ্ঠানে সকলেই নাকি মাস্ক ও স্যানিটাইজার ব্যবহার করেছে ৷ তবে, কন্টেনমেন্ট জোনে তাও আবার বদ্ধ সভাঘরে 70 শতাংশ জমায়েত করা যায় কি না, সেই প্রশ্নের জবাব পাওয়া যায়নি মেদিনীপুর পৌরসভার মুখ্য প্রশাসকের কাছ থেকে ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.