কেশপুর, 1 এপ্রিল : দ্বিতীয় দফার নির্বাচন শুরু হওয়ার পর থেকেই দফায় দফায় বিক্ষিপ্ত অশান্তির খবর পাওয়া যাচ্ছে ৷ তেমনই পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুর ৷ বিজেপি ও তৃণমূল সংঘর্ষে উত্তাল পুরো এলাকা ৷ বিজেপির অভিযোগের তীর তৃণমূলের দিকে ৷ যদিও যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার তৃণমূলের ৷
কেশপুরের বিজেপি প্রার্থী প্রীতিশরঞ্জন কৌরের কনভয়ে হামলার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে । তাঁর গাড়ি ভাঙচুর করা হয় বলেও অভিযোগ করেন তিনি ৷ বিজেপি প্রার্থীর অভিযোগ, বুথ জ্যাম করা হচ্ছে, এই খবর পেয়ে কেশপুরের গুণহারা গ্রামে যান তিনি । সেই সময়ই তাঁর গাড়ি ঘিরে ধরে ধারাল অস্ত্র, বাঁশ, ইট, লোহার রড দিয়ে হামলা চালায় তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা । চোখের নিমেষেই পরিস্থিতি রীতিমতো অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে ৷ তিনি পালিয়ে বাঁচেন বলে অভিযোগ করেন ৷
বিজেপি প্রার্থী প্রীতিশরঞ্জন কৌর বলেন, ‘‘ ওখানে যাওয়ার পরই আমাদের দিকে ওরা ধেয়ে আসে ৷ গাড়ি ভাঙচুর করা হয় ৷ আমার গাড়ির চালককে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না ৷ দৌড়ে পালিয়ে আমাদের প্রাণ বাঁচে ৷ প্রথম তিন কিলোমিটার রাস্তা ছুটে অন্যগ্রামে পৌঁছাই ৷ সেখানেও ওরা আমাদের উপর আক্রমণ করে ৷ ওখান থেকে দৌড়ে পালিয়ে আমরা একটি আদিবাসী গ্রামে পৌঁছাই ৷ ওরাই আমাদের প্রাণে বাঁচায় ৷’’
আরও পড়ুন : নন্দীগ্রাম-কেশপুরের ঘটনায় রিপোর্ট তলব ডেপুটি নির্বাচন কমিশনারের
যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল ৷ প্রার্থী শিউলি সাহা বলেন, ‘‘ আজ যা ঘটেছে তাতে তৃণমূল কংগ্রেস এক বিন্দুও যুক্ত নয় ৷ বিজেপি প্রার্থী প্রীতিশরঞ্জন গুনহারা বুথে যান ৷ সেখানে তৃণমূলের পোলিং এজেন্টকে তুলে দেওয়া হয় ৷ তাঁকে মারধর করে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয় ৷ তখন গ্রামবাসী ও ভোটাররা ক্ষুদ্ধ হন ৷ এবং তারাই এটা করেন ৷"