চন্দ্রকোনা, 17 অগাস্ট : কোরোনা আক্রান্তকে কেউ হাসপাতালে নিয়ে যেতে রাজি হয়নি ৷ অবশেষে মুশকিল আসানে এগিয়ে এলেন BDOসহ পুলিশ প্রশাসনের আধিকারিকরা ৷ পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে PPE কিট পরে রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে গেলেন ৷
নিত্যদিন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় কোরোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে । সংক্রমণের তালিকা থেকে বাদ যায়নি BDO, পুলিশকর্মীদের মতো কোরোনা যোদ্ধারাও । প্রশাসনিক মহলে ছড়িয়েছে কোরোনা আতঙ্ক । রবিবার রঘুনাথপুর গ্রামের এক ব্যক্তির দেহে মেলে কোরোনা ভাইরাসের হদিস । দিনকয়েক ধরে অসুস্থ ছিলেন । রবিবার রাতে কোরোনার রিপোর্ট আসার পর সংজ্ঞা হারান তিনি । সরকারি অ্যাম্বুলেন্স পৌঁছালেও মাঝ রাত হয়ে যাওয়ায় ছিল না কোনও স্বাস্থ্যকর্মী । পরিবারের সদস্যদের কাছে প্রশাসনের তরফে বারবার আবেদন করা হয়, তারা যেন কোরোনা আক্রান্তকে অ্যাম্বুলেন্সে তুলে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করে । তবে কোরোনা আক্রান্ত রোগীর কাছে পৌঁছানোর সাহস জুটিয়ে উঠতে পারেননি পরিবারের সদস্যরাও ।
এই পরিস্থিতিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছান চন্দ্রকোনা 2 এলাকার BDO শাশ্বত প্রকাশ লাহিড়ি, চন্দ্রকোনা থানার OC প্রশান্ত পাঠক ও যুগ্ম BDO অভিজিৎ পড়িয়া । চালককে সঙ্গে নিয়ে PPE কিট পরে সংজ্ঞাহীন রোগীকে অ্যাম্বুলেন্স তোলেন তাঁরা । নিয়ে যান চন্দ্রকোনা গ্রামীণ হাসপাতালে । সেখানেও কোনও সহযোগিতা না পেয়ে রোগীকে ফের অ্যাম্বুলেন্সে তুলে শালবনি কোরোনা হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন চন্দ্রকোনার 2 এর BDO, জয়েন্ট BDO ও OC ।
বিষয়টি নিয়ে BDO বলেন, ওই রোগীকে বাঁচাতে তাঁরা সাধ্যমতো চেষ্টা করেছেন ।
প্রশাসনের আধিকারিকদের এহেন ভূমিকার প্রশংসায় পঞ্চমুখ জেলের বিভিন্ন মহল ।