মেদিনীপুর, 18 অক্টোবর: গলায় খাবার আটকে 10 মাসের শিশুর মৃত্যু (Child Death) । মেদিনীপুর সদরের অন্তর্গত খয়েরুল্লা চকে কাঠের কাজ করা প্রসেনজিৎ মজুমদারের দুটি ছেলে, মেয়ে ও স্ত্রীকে নিয়ে সংসার । প্রত্যেকদিনের মতো এদিন এই দম্পতির স্ত্রী তাঁর 10 মাসের কন্যা শিশু আদ্রিকা মজুমদারকে আইসিডিএসের দেওয়া খিচুড়ি ছেঁকে খাওয়াচ্ছিলেন । সেই পাতলা খিচুড়ি খাওয়ানোর সময় কোন কারণে শ্বাসনালীতে আটকে যায় আদ্রিকার । এরপরই যন্ত্রণায় ছটফট করতে থাকে শিশুটি ।
পরিবারের সদস্যরা চটজলটি শিশুটিকে নিয়ে যায় হাসপাতালের । প্রথমে শিশুটিকে নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় জোসেফ হাসপাতালে ৷ সেখানে জরুরি বিভাগ না-থাকায় তাঁকে তড়িঘড়ি এরপর মেদিনীপুর সদর হাসপাতালের দিকে নিয়ে যাওয়া হয় । কিন্তু হাসপাতালে যাওয়ার পথে তাঁতিগেড়িয়া লেভেল ক্রসিং রেল গেট পড়ে থাকায় অনেকক্ষণ অপেক্ষা করতে হয় ৷ এরপর যখন শিশুটিকে নিয়ে পরিবার মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে পৌঁছলে চিকিৎসকেরা জানিয়ে দেন আদ্রিকা মারা গিয়েছে । ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে এলাকায় । শিশুকে হারিয়ে তার মা বারবার জ্ঞান হারাচ্ছেন এবং বুক চাপড়ে কেঁদে উঠছেন ।
শিশুটির বাবা প্রসেনজিৎ মজুমদার বলেন, "বাচ্চাটি খাওয়াতে গিয়ে কোনক্রমে তা আটকে যায় গলায় । আমরা চটজলদি শিশুকে নিয়ে মেডিক্যাল কলেজ উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম ৷ কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য তাঁতিগেড়িয়ার লেভেল ক্রসিং ঘণ্টার পর ঘণ্টা পড়ে থাকে, যার ফলেই আমাদের নিয়ে যেতে দেরি হয় কন্যাকে । এর ফলে পথে মধ্যে আমাদের শিশুটির মৃত্যু হয় (Baby girl dies after food stuck in throat) ।"
আরও পড়ুন: 36 ঘণ্টা অতিক্রান্ত, দুই শিশুর দেহ উদ্ধারে হুগলি নদীতে চলছে তল্লাশি
স্বাস্থ্যকেন্দ্রের নার্স সুমিতা ঘোষ বলেন, "এলাকার সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে স্বাস্থ্য কেন্দ্র বা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে এই লেভেল ক্রসিং । যা ঘণ্টার পর ঘণ্টা পড়ে থাকে । সরকারের কাছে আবেদন করব অবিলম্বে আমাদের জন্য একটা ওভার ব্রিজ করে দেওয়ার জন্য ৷ এরই সঙ্গে আমাদের গ্রামে অবস্থিত জোসেফ হাসপাতালে অবিলম্বে জরুরি পরিষেবা চালু করা হোক । তাতে হয়তো সময়ে বাঁচানো যাবে এই গ্রামের বহু মানুষের জীবন ।"