মেদিনীপুর, 27 নভেম্বর : প্রজেক্টের খাতা কে দেখবে তাই নিয়ে দ্বন্দ্ব ৷ স্কুলের সামনে বিক্ষোভ দেখালো ছাত্রী ও অভিভাবকরা ৷ মেদিনীপুরের বিদ্যাসাগর বিদ্যাপীঠ বালিকা বিদ্যালয়ের ঘটনা ৷ ছাত্রী ও অভিভাবকদের অভিযোগ, সামনে পরীক্ষা অথচ প্রজেক্টের খাতা দেখছেন না শিক্ষিকা ৷ অন্যদিকে স্কুল কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, দায়িত্বে থাকা বাংলার শিক্ষিকা স্কুলের নির্দেশ মানেননি ৷ তিনি তাঁর ইচ্ছেমতো কাজ করছেন ৷
এবার স্কুল থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দেবে মোট 171 জন ছাত্রী ৷ স্কুলের সিমেস্টার ভিত্তিক পরীক্ষায় 100 নম্বরের মধ্যে 20 নম্বর প্রজেক্ট খাতায় ৷ নতুন নিয়মানুযায়ী প্রজেক্টের নম্বরের উপর ভিত্তি করে ছাত্রীর ভবিষ্যৎ নির্ধারিত হয় সেইসঙ্গে গ্রেডও l 7 নভেম্বরের পর থেকে নির্দিষ্ট দিনে প্রোজেক্টের খাতা জমা দিতে গিয়ে অপদস্থ হয় ছাত্রীরা l তাদের বক্তব্য, খাতা জমা দিতে গেলে জমা নেননি বাংলা প্রজেক্টের দায়িত্বে থাকা শিক্ষিকা গৌতমী মন্ডল ৷ উপরন্তু তিনি নতুন প্রজেক্ট করার নির্দেশ দেন ৷ একে সময় অল্প ৷ তার মধ্যে নতুন প্রজেক্ট ৷ কারণ নতুন করে প্রজেক্ট তৈরি করতে সময় লাগবে l এ দিকে সামনেই উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা l এরমধ্যে প্রজেক্ট তৈরি করে জমা দেওয়া সঙ্গে সঙ্গে পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়া সম্ভব নয় ৷ এর পর প্রধান শিক্ষিকা বিষয়টি অন্য শিক্ষিকাকে দেখার নির্দেশ দেন ৷ তাতে অন্যরা বাধা দেন বলে অভিযোগ l ফলে সমস্যা সেই একই তিমিরে l
এই ঘটনায় আজ স্কুলের গেটে তালা লাগিয়ে বিক্ষোভ দেখায় ছাত্রীসহ অভিভাবকেরা l অভিভাবকদের বক্তব্য, ছাত্রীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে স্কুল কর্তৃপক্ষ ৷ রিমি সাউ নামে এক ছাত্রী রিমি সাউ জানায়, বাংলা প্রজেক্টের দায়িত্বে থাকা শিক্ষিকা গৌতমী মণ্ডল প্রথমে কোনও প্রজেক্ট দেননি l তাই প্রধান শিক্ষিকা ও অন্য একজন বাংলা শিক্ষিকা তাদের প্রজেক্টের কাজ দেন ৷ কিন্তু প্রজেক্ট জমা দিতে গেলে গৌতমী মন্ডল পুরোনো প্রজেক্ট দেখবেন না জানিয়ে দেন ৷ নতুন করে প্রজেক্ট করতে বলেন ৷ কিন্তু সামনেই পরীক্ষা ৷ হাতে তাই নতুন করে প্রজেক্ট করার সময় নেই ৷ রিমি আরও বলে, "আমরা এখানে পড়তে এসেছি ৷ আমাদের নিয়ে যা করা হচ্ছে তার বিচার চাই ৷ প্রজেক্ট জমা না নিলে আমরা এখান থেকে যাব না ৷ "
ছাত্রীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন প্রধান শিক্ষিক স্বাতী বন্দ্যোপাধ্যায়ও l তাঁর বক্তব্য, সংশ্লিষ্ট শিক্ষিকাকে নিয়ে আগেও স্কুলে নানা সমস্যা হয়েছে l তিনি স্কুলের কোন নিয়ম মানেন না ৷ নিজের মত ক্লাস করান ৷ বিষয়টি শিক্ষাভবনে অনেকবার জানানো হয়েছে ৷ কিন্তু তাতেও কোনও লাভ হয়নি ৷ "