ETV Bharat / state

Premature Baby : চিকিৎসকের কেরামতি, 34 দিন পর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরল 700 গ্রামের নবজাতক

author img

By

Published : Oct 26, 2021, 9:35 PM IST

Updated : Oct 26, 2021, 10:16 PM IST

শিশুর জন্ম হওয়ার জন্য 1 কেজির উপরে ওজন থাকতে হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে শিশুর ওজন হয় আড়াই কেজি থেকে সাড়ে তিন কেজির মধ্যে। তবে 700 গ্রামের শিশু ভূমিষ্ঠ হওয়া বিরল ব্যাপার ৷ এ ধরনের ঘটনা স্বাভাবিক নয় ৷ তাই জঙ্গলমহলের চিকিৎসকের হাত ধরে এত কম ওজনের শিশুর ভূমিষ্ঠ হওয়া সত্যিই বিরল।

Premature Baby
সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরল 700 গ্রামের নবজাতক

পশ্চিম মেদিনীপুর, 25 অক্টোবর : জঙ্গলমহলের এক বেসরকারি নার্সিংহোমে গর্ভাবস্থার সাড়ে 7 মাসের মাথায় মাত্র 700 গ্রামের শিশুর জন্ম দিলেন মেদিনীপুরের বাসিন্দা যুথিকা পন্ডা ৷ দীর্ঘ 34 দিন পর সুস্থ অবস্থায় শিশুটিকে ছাড়া হল নার্সিংহোম থেকে ৷ শিশুটিকে ছাড়ার সময় চোখে জল নার্সিংহোমের আয়া ও সিস্টারদের ৷

প্রি-ম্যাচিওর এই বেবিকে নিয়ে আশঙ্কায় ছিল চিকিৎসক ও নবজাতকের পরিবার ৷ শিশুটিকে বাঁচানোর জন্য ষষ্ঠীদেবীর কাছে মানত করা হয়েছিল বলে শিশুটির নাম রাখা হয় দেবীপ্রসাদ ৷ পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুর থানার নিতুড়িয়ার দম্পতি বিভাকর পন্ডা ও যুথিকা পন্ডা হলেন শিশুটির বাবা-মা ৷ বিভাকর পেশায় কেরলে একটি কোম্পানির ইঞ্জিনিয়র আর যুথিকা একটি ট্রেনিং কলেজের দিদিমণি। গত 22 সেপ্টেম্বর ডেলিভারির জন্য মেদিনীপুর মেডিক্যালে ভর্তি হন যুথিকা । কিন্তু সেইখানে পরিষেবার অভাবে সেখান থেকে তাঁকে নিয়ে শিশু চিকিৎসক দীপক মাসান্তের তত্ত্বাবধানে একটি বেসরকরি নার্সিং হোমে ভর্তি করে পরিবার। মাত্র সাড়ে 7 মাসের মাথায় 700 গ্রামে শিশুটির জন্ম হয় ৷

চিকিৎসকের কেরামতি, 34 দিন পর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরল 700 গ্রামের নবজাতক

চিকিৎসক দীপক মাসান্ত বলেন, "যখন আমার কাছে আনা হয়েছিল, তখন শিশুটি পরিস্থিতি ভাল ছিল না ৷ বাচ্চা ও মা দু'জনই বিপদে ছিল ৷ পেটের জল শুকিয়ে যায়, তাই বাচ্চাকে বাঁচানো দূরহ ছিল ৷ মায়ের জীবন বাঁচানো কঠিন হয়ে পড়েছিল। এই অবস্থায় এক কঠিন লড়াইয়ের মাধ্যমে আমরা শিশুটিকে বাঁচাতে পেরেছি ৷ বাঁচাতে পেরেছি বাচ্চার মাকেও। তাই এই দম্পতির হাতে আজ ফুটফুটে শিশুকে তুলে দিতে পেরে আমরা খুব খুশি। আমরা চাই জঙ্গলমহলের মানুষের পাশে থাকতে।"

আরও পড়ুন : আইনি দিদিমণির স্কুলে পড়ার পাশাপাশি মূল্যবোধের পাঠ আদিবাসী পড়ুয়াদের

নবজাতককে পেয়ে খুশির বাঁধ ভেঙেছে দম্পতির ৷ আনন্দের মধ্যে কেঁদে ফেলেছে যুথিকা পন্ডা ও বিভাকর পন্ডা। দম্পতি জানান, ভগবান তুল্য ডাক্তারবাবুর সহায়তায় আমাদের নবজাতককে আজ ফিরে পেয়েছি ৷ তাই 34 দিন পর বাড়ি ফিরে যাওয়ায় খুব আনন্দ মনে হচ্ছে ৷ আমরা এই ঋণ কোনওদিন ভুলব না।
নার্সিংহোমে 34 দিন শিশুটিকে দেখাশোনা করা সুলেখা সিংহ বলেন, ‘‘শিশুটি অন্যান্যদের মতো সবকিছু স্বাভাবিক ছিল না। তাকে ড্রপারে করে দুধ খাওয়াতে হত ৷ এছাড়াও সমস্ত ওষুধপথ্য অনেক যত্নসহকারে খাওয়াতে হত। তাই নিজের শিশুর মতন লালনপালন করেছি ৷ তবে ছাড়তে কষ্ট হলেও ভাল লাগছে সুস্থ অবস্থায় বাবা-মায়ের হাতে তুলে দিতে পেরে ৷ ভগবানের কাছে ওর দীর্ঘায়ু কামনা করছি ৷’’

পশ্চিম মেদিনীপুর, 25 অক্টোবর : জঙ্গলমহলের এক বেসরকারি নার্সিংহোমে গর্ভাবস্থার সাড়ে 7 মাসের মাথায় মাত্র 700 গ্রামের শিশুর জন্ম দিলেন মেদিনীপুরের বাসিন্দা যুথিকা পন্ডা ৷ দীর্ঘ 34 দিন পর সুস্থ অবস্থায় শিশুটিকে ছাড়া হল নার্সিংহোম থেকে ৷ শিশুটিকে ছাড়ার সময় চোখে জল নার্সিংহোমের আয়া ও সিস্টারদের ৷

প্রি-ম্যাচিওর এই বেবিকে নিয়ে আশঙ্কায় ছিল চিকিৎসক ও নবজাতকের পরিবার ৷ শিশুটিকে বাঁচানোর জন্য ষষ্ঠীদেবীর কাছে মানত করা হয়েছিল বলে শিশুটির নাম রাখা হয় দেবীপ্রসাদ ৷ পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুর থানার নিতুড়িয়ার দম্পতি বিভাকর পন্ডা ও যুথিকা পন্ডা হলেন শিশুটির বাবা-মা ৷ বিভাকর পেশায় কেরলে একটি কোম্পানির ইঞ্জিনিয়র আর যুথিকা একটি ট্রেনিং কলেজের দিদিমণি। গত 22 সেপ্টেম্বর ডেলিভারির জন্য মেদিনীপুর মেডিক্যালে ভর্তি হন যুথিকা । কিন্তু সেইখানে পরিষেবার অভাবে সেখান থেকে তাঁকে নিয়ে শিশু চিকিৎসক দীপক মাসান্তের তত্ত্বাবধানে একটি বেসরকরি নার্সিং হোমে ভর্তি করে পরিবার। মাত্র সাড়ে 7 মাসের মাথায় 700 গ্রামে শিশুটির জন্ম হয় ৷

চিকিৎসকের কেরামতি, 34 দিন পর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরল 700 গ্রামের নবজাতক

চিকিৎসক দীপক মাসান্ত বলেন, "যখন আমার কাছে আনা হয়েছিল, তখন শিশুটি পরিস্থিতি ভাল ছিল না ৷ বাচ্চা ও মা দু'জনই বিপদে ছিল ৷ পেটের জল শুকিয়ে যায়, তাই বাচ্চাকে বাঁচানো দূরহ ছিল ৷ মায়ের জীবন বাঁচানো কঠিন হয়ে পড়েছিল। এই অবস্থায় এক কঠিন লড়াইয়ের মাধ্যমে আমরা শিশুটিকে বাঁচাতে পেরেছি ৷ বাঁচাতে পেরেছি বাচ্চার মাকেও। তাই এই দম্পতির হাতে আজ ফুটফুটে শিশুকে তুলে দিতে পেরে আমরা খুব খুশি। আমরা চাই জঙ্গলমহলের মানুষের পাশে থাকতে।"

আরও পড়ুন : আইনি দিদিমণির স্কুলে পড়ার পাশাপাশি মূল্যবোধের পাঠ আদিবাসী পড়ুয়াদের

নবজাতককে পেয়ে খুশির বাঁধ ভেঙেছে দম্পতির ৷ আনন্দের মধ্যে কেঁদে ফেলেছে যুথিকা পন্ডা ও বিভাকর পন্ডা। দম্পতি জানান, ভগবান তুল্য ডাক্তারবাবুর সহায়তায় আমাদের নবজাতককে আজ ফিরে পেয়েছি ৷ তাই 34 দিন পর বাড়ি ফিরে যাওয়ায় খুব আনন্দ মনে হচ্ছে ৷ আমরা এই ঋণ কোনওদিন ভুলব না।
নার্সিংহোমে 34 দিন শিশুটিকে দেখাশোনা করা সুলেখা সিংহ বলেন, ‘‘শিশুটি অন্যান্যদের মতো সবকিছু স্বাভাবিক ছিল না। তাকে ড্রপারে করে দুধ খাওয়াতে হত ৷ এছাড়াও সমস্ত ওষুধপথ্য অনেক যত্নসহকারে খাওয়াতে হত। তাই নিজের শিশুর মতন লালনপালন করেছি ৷ তবে ছাড়তে কষ্ট হলেও ভাল লাগছে সুস্থ অবস্থায় বাবা-মায়ের হাতে তুলে দিতে পেরে ৷ ভগবানের কাছে ওর দীর্ঘায়ু কামনা করছি ৷’’

Last Updated : Oct 26, 2021, 10:16 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.