চন্দ্রকোনা, 3 জুন: পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনার রাইলা গ্রাম থেকে কাজের জন্য চেন্নাইয়ের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন চন্দ্রকোনার একই পরিবারের চারজন ৷ শুক্রবার সন্ধে নাগাদ ওড়িশার বালাসোরে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে করমণ্ডল এক্সপ্রেস। একই পরিবারেরর চার পরিযায়ী শ্রমিকের দাবি, তাঁরা যে ট্রেনের কামরাটিতে ছিলেন সেটি দুর্ঘটনার অভিঘাতে উলটে পড়ে, সঙ্গে সঙ্গে ছিটকে পড়েন কয়েকজন। আহত হয়ে স্থানীয় মানুষের সহযোগিতায় বাড়ি ফিরলেও, চোখে মুখে আতঙ্কের ছায়া স্পষ্ট। একই পরিবারের 4 সদস্য ছিলেন এস-5 ট্রেনের কামরায়।
চোখের সামনে দেখা ভয়াবহ ঘটনার ছাপ চোখেমুখে স্পষ্ট চন্দ্রকোনার রাইলা গ্রামের এই চার যুবকের। সকালে এই চার যুবকের সঙ্গে বাড়িতে গিয়ে দেখা করেন চন্দ্রকোনা বিধানসভার বিধায়ক অরুপ ধাড়া। কথা বলেন চারজনের সঙ্গে ৷ পাশাপাশি পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে অভয় দেন ও তাঁদের এবং পাশে থাকার বার্তা দেন। অন্যদিকে মারা গিয়েছেন নিখোঁজ বিজয় মণ্ডল। আহত অবস্থায় ওই চারজন যুবক শনিবার সকালে বাড়ি ফেরেন। সকালে তাদের বাড়ি দেখা করতে যান চন্দ্রকোনা বিধানসভার বিধায়ক অরুপ ধাড়া। আহত চার যুবককে নিয়ে তিনি ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালে যান ৷
চার যুবক হলেন, শীতল দলুই, সুমন বাগাল, কার্তিক দলুই, নিতাই দলুই। চার যুবক জানিয়েছেন, তাঁদের বীভৎস অভিজ্ঞতার কথা। এরই পাশাপাশি চন্দ্রকোনা পৌরসভার 7 নম্বর ওয়ার্ড বোনা এলাকার বাসিন্দা বিজয় মণ্ডল (55), কটকে ডাক্তার দেখাতে গিয়েছিলেন। গতকাল যশবন্তপুর-হাওড়া সুপার ফাস্ট ট্রেনে উঠেছিলেন বাড়ি ফেরার জন্য। করমণ্ডল এক্সপ্রেস ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে পড়লে, গতকাল থেকে নিখোঁজ ছিলেন চন্দ্রকোনার বোনা গ্রামের বিজয় মণ্ডল।
আরও পড়ুন: বালাসোর ট্রেন বিপর্যয়ে দুর্ঘটনাস্থলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
তাঁর সঙ্গে ছিলেন এক আত্মীয় ৷ আত্মীয়ের খোঁজ মিললেও, খুঁজে পাওয়া যায়নি বিজয় মণ্ডলকে। শনিবার সকালে তাঁর বাড়িতে খবর আসে বিজয় মণ্ডলের মৃত্যু হয়েছে ৷ তাঁর মৃতদেহ হাসপাতালে রয়েছে। মৃত্যুর খবর বাড়িতে পৌঁছতে কান্নায় ভেঙে পড়েন পরিবারের সদস্যরা। মৃত বিজয় মণ্ডলের পরিবার বলতে স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে। রুজিরোজগার চাষবাস। মৃত বিজয় মণ্ডলের বাড়িতে গিয়ে পরিবারের সদস্যদের সমবেদনা জানান চন্দ্রকোনা বিধানসভার বিধায়ক অরুপ ধাড়া।