ঘাটাল, 21 সেপ্টেম্বর: মঙ্গলবার ঘাটাল আদালত চত্বরে উপচে পড়া ভিড় ৷ বর-কনের বেশে হাজির পাত্র ও পাত্রী । তাঁদের সঙ্গে আনা হয়েছে পুরোহিতকেও । তা দেখে আদালত চত্বরে উপস্থিত মানুষের মধ্যে তৈরি হয় কৌতুহল ৷ সবাই জানার অপেক্ষায় ঘটনাটা কী ৷
মেয়ে নাবালিকা হওয়ার সত্ত্বেও তাকে বিয়ে দেওয়া হচ্ছিল (Minor Marriage) ৷ সেই অপরাধে বিয়ের আসর থেকে গ্রেফতার করা হয় পাত্র ও পুরোহিতকে । আদালতে নিয়ে আসা হয় পাত্রীকেও ৷ ঘাটাল মহকুমা আদালত পাত্র ও পুরোহিতের 14 দিনের জেল হেফাজতের রায় দিয়েছে (14 days jail custody to groom and priest ) ৷ আর নাবালিকা মেয়েকে পাঠিয়েছে তার বাবা-মায়ের কাছে ।
জানা গিয়েছে, সোমবার রাতে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটাল থানার অফিসার ইনচার্জ দেবাংশু ভৌমিকের কাছে খবর আসে যে মনসুকা গ্রাম পঞ্চায়েতের বরকতিপুর বাসিন্দা সুজিত মণ্ডলের বাড়িতে এক নাবালিকা মেয়ের বিয়ে হচ্ছে । এই খবর পেয়ে তৎক্ষণাৎ সেখানে দৌড়ে য়ায় পুলিশ । আধিকারিকরা গিয়ে দেখেন 15 বছরের এক নাবালিকা মেয়ের বিয়ের আসর বসেছে । পুলিশ দেখেই রাতের অন্ধকারে দৌড়ে পালিয়ে যায় বিয়ের আসরে থাকা উপস্থিত সকলেই । কিন্তু পালাতে পারেনি 15 বছরের নাবালিকা কনে, পাত্র সুরেন্দ্র দলুই ও পুরোহিত স্বপন চক্রবর্তী ।
পুলিশ রাতেই তাঁদের আটক করে নিয়ে য়ায় ঘাটাল থানায় । সূত্রের খবর, 15 বছরের ওই নাবালিকা খানাকুল থানা এলাকার তাঁতিশাল গ্রামের বাসিন্দা । 26 বছর বয়সি পাত্র সুরেন্দ্র দলুই পাঁচকুঠুরি গ্রামের বাসিন্দা । তাঁদের আত্মীয় বাড়ি ঘাটালের বরকতিপুরে । সেই আত্মীয় সুজিত মণ্ডলের বাড়িতেই বসেছিল বিয়ের আসর ৷ আর পুলিশ পৌঁছে পণ্ড করে দেয় নাবালিকা মেয়েটির বিয়ে ।
আরও পড়ুন: শৌচকর্মে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার নাবালিকা ! গ্রেফতার 5 অভিযুক্তের পুলিশি হেফাজত
অফিসার ইনচার্জ দেবাংশ ভৌমিক জানান, অভিযুক্তদের ঘাটাল আদালতে তোলা হয়েছিল ৷ আদালত পাত্র ও পুরোহিতের 14 দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন ।