চন্দ্রকোনা রোড, 9 নভেম্বর : রাতারাতি অ্যাকাউন্টে ঢুকছে 10 কোটি টাকা ৷ কিন্তু টাকার অভাবে বাবার শ্রাদ্ধের কাজ করতে পারেছেন শান্তনু মণ্ডল ৷ টাকা তো তুলতেই পারছেন না, উল্টে আতঙ্কে রয়েছেন তিনি ৷ প্রয়োজনে টাকা তুলতে না-পেরে পুলিশের দ্বারস্থ গড়বেতার চন্দ্রকোনা রোডের এই যুবক ৷ আতঙ্কে দিন কাটছে তাঁর।
অ্যাকাউন্টে এক আধ কোটি নয়, রয়েছে 10 কোটি টাকা ৷ অথচ সে টাকা তুলতে পারছেন না শান্তনু ৷ কারণ ব্যাঙ্ক থেকে সিজ করে দেওয়া হয়েছে তাঁর অ্যাকাউন্ট। পশ্চিম মেদিনীপুরের গড়বেতা থানার চন্দ্রকোনা রোডের শান্তনু মণ্ডলের অ্যাকাউন্টে 6 নভেম্বর 10 কোটি টাকা জমা পড়ে ৷ SMS-এর মাধ্যমে তা জানতে পারেন তিনি ৷ কিন্তু 10 কোটি টাকা জমা পড়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই RBI থেকে একটি SMS আসে তাঁর মোবাইলে ৷ যাতে লেখা অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ৷ এই ঘটনায় রীতিমতো ভীত হতদরিদ্র পরিবারের ছেলে শান্তনু।
বাবা মারা যাওয়ার কয়েকদিনের মধ্যে এই ঘটনা ঘটে ৷ তাঁর অ্যাকাউন্টে জমা ছিল 5000 টাকা ৷ কিন্তু বাবার শ্রাদ্ধের কাজে সেই টাকাও তুলতে পারছেন না শান্তনু ৷ এই ঘটনার SBI ব্যাঙ্কের তরফে জানানো হয়েছে কোনও একটি ঘটনার জন্য তাঁর অ্যাকাউন্ট সিজ করা হয়েছে ৷ যদি এই ঘটনায় সংশ্লিষ্ট দামোদরপুর SBI ব্যাঙ্কের ম্যানেজার অভিষেক টুডু ক্যামেরার সামনে কোনও রকম বক্তব্য দিতে রাজি নন। পরে যদিও তিনি জানান, ঘটনার তদন্ত চলছে। কী কারণে এই ঘটনা ঘটেছে, খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন : লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা না পেয়ে বনগাঁয় ব্যাঙ্ক ভাঙচুর, রাস্তা অবরোধ
শান্তনু বলেন, "বাবা কয়েকদিন আগেই মারা গিয়েছেন ৷ বাবার শ্রাদ্ধের কাজের জন্য টাকার প্রয়োজন। সেই টাকা অ্যাকাউন্টে থাকলেও আমি তা তুলতে পারছি না ৷ গত 6 তারিখে একটা মেসেজ আসে আমার অ্যাকাউন্টের 9 কোটি 99 লক্ষ 99 হাজার 999 টাকা ক্রেডিট হয়েছে ৷ যা দেখে চক্ষুচড়ক গাছ হয়ে যায় ৷ হতভম্ব হয়ে পড়ি আমি ৷ এরপর একটি RBI থেকে মেসেজ আছে যে আমার অ্যাকাউন্টটি সিজ করা হল। এর পরে কী করব ভেবে না-পেয়ে ব্যাঙ্কের দ্বারস্থ হয়েছিলাম ৷ কিন্তু ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে ঘটনার তদন্ত চলছে ৷ যতক্ষণ না তদন্ত শেষ হচ্ছে, ততদিন অ্যাকাউন্টটি সিজ থাকবে। এর পরেই থানার দ্বারস্থ হয়েছি, যদিও এখনও কোনও উত্তর মেলেনি ৷"