দুর্গাপুর, 11 অগস্ট : মেধাবী যুবক রোহন দাসের দাদা রাহুল দাস সুদে টাকা ধার নিয়েছিলেন কয়েকজন সুদ ব্যবসায়ীদের থেকে ৷ কিন্তু সময়মতো টাকা শোধ করতে না পারায় বাড়িতে তাগাদা দিতে আসতেন পাওনাদাররা ৷ পাওনাদারদের হাত থেকে বাঁচতে গত রবিবার রাহুল দাস স্ত্রীকে নিয়ে বাড়ি ছাড়েন ৷ গতকাল বাড়িতে পাওনাদাররা রাহুলকে না পেয়ে তাঁর ভাইকে তুলে নিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেন, মারধর করেন ৷ এরপর অপমানে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হন বছর বাইশের রোহন ৷ ঘটনাটি ঘটেছে দুর্গাপুর ইস্পাত নগরীর টেগোর অ্যাভিনিউয়ে ৷
সুদের কারবারিরা রোহন দাসের মা-বাবা ফোনে হুমকি দেয় ৷ টাকা না পেলে তাঁদের ছেলেকে আটকে রাখারও হুঁশিয়ারি দেয় ৷ এরপরই রোহনের মা-বাবা বাড়িতে না থাকায় প্রতিবেশীরা এসে রোহনকে সেই সময় পাওনাদারদের হাত থেকে রক্ষা করে ৷ প্রতিবেশীরা জানিয়েছে, রোহন দাস অত্যন্ত মেধাবী যুবক ৷ কয়েকদিন আগে এমবিএ পাশ করে বর্ধমানের একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কে চাকরিও পেয়েছিলেন ৷ ইতিমধ্যেই মৃতের পরিবারের তরফে পুলিশে অভিযোগ জানানো হয়েছে ৷
আরও পড়ুন: পান্ডবেশ্বরে তৃণমূল কর্মী খুন, পরিবারের পাশে স্থানীয় বিধায়ক
রোহনের বাবা গৌতম দাসের দাবি, এই অপরাধীদের কঠোর শাস্তি দিক পুলিশ ৷ একই দাবি তুলেছেন প্রতিবেশীরাও । সুদ কারবারিদের দাপটে এক পড়ুয়ার এমন মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনায় এখন অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে মৃতের পরিবার-পরিজন ও প্রতিবেশীরা । দুর্গাপুর থানায় এই ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বেশ কয়েকজনের নামে । ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ৷