ETV Bharat / state

স্ত্রীকে খুন, ছেলের সাক্ষ্যে গ্রেপ্তার ব্যক্তি - planwise

পরিকল্পনামাফিক খুন করা হয় যুবতিকে ৷ খুন করে ওই যুবতির স্বামী ৷ পুলিশের সামনে প্রমাণ করার চেষ্টা করে যে চোর বাড়িতে এসে খুন করে তার স্ত্রীকে ৷ কিন্তু 6 বছরের পুত্রের সাক্ষ্যতে খুনের বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে যায় ৷

মৃত যুবতি
author img

By

Published : May 6, 2019, 1:11 PM IST

কাঁকসা, 6 মে : পরিকল্পিনা মাফিক খুন করা হয় এক যুবতিকে ৷ অভিযুক্ত ওই যুবতির স্বামী ৷ যুবতির 6 বছরের পুত্রসন্তানের সাক্ষ্যে পরিষ্কার হয়, পরিকল্পিতভাবেই যুবতিকে খুন করে তাঁর স্বামী ৷ আজ সকালে ঘটনাটি ঘটেছে কাঁকসার শেরপুরে ৷

মৃত ওই যুবতির নাম ঝুমা টুডু বাগদি (29) ৷ বাড়ি পানাগড় রেলপাড় এলাকায় । তাঁর স্বামীর নাম প্রশান্ত বাগদি ৷ বাড়ি সিলামপুরে ৷ বছর দশেক আগে তাঁদের বিয়ে হয়েছিল ৷ বিয়ের পর থেকে তাঁরা শেরপুরে একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন ৷ ঝুমার বাবার বক্তব্য, বিয়ের পর থেকেই তাঁদের মধ্যে দাম্পত্য কলহ লেগেই ছিল ৷ প্রশান্ত একটি পোলট্রি ফার্ম করেছিল কাঁকসার ঝিনুকগড় গ্রামে । দেনার দায়ে জর্জরিত প্রশান্তর পাশে দাঁড়ানোর জন্য ঝুমা অন্ডালে একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে আয়ার কাজ শুরু করেছিলেন ৷ কিন্তু অভিযোগ, প্রশান্ত মাঝেমধ্যেই ঝুমাকে সন্দেহবশত মারধর করত ৷

আজ সকাল 6টা নাগাদ কাঁকসা থানার পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থানে পৌঁছায় ৷ পুলিশ ঝুমার বাড়ি পৌঁছে দেখে ঘরের মেঝেতে পড়ে রয়েছে ঝুমার মৃতদেহ ৷ তাঁর গলায় রয়েছে ফাঁসের দাগ । আর ঝুমার মৃতদেহের পাশে বসে অঝোরে কাঁদছে তাঁর 3 বছরের মেয়ে ও 6 বছরের ছেলে । এরপরই পুলিশ তাঁর শিশুপুত্রকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ৷ আর তাতেই উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য । ওই শিশু পুলিশকে বলে, "আজ ভোর 5টা নাগাদ আমি পাশের ঘরে যখন শুয়ে ছিলাম খুব জোরে আওয়াজ পাই । আমি যখন মা-বাবার ঘরে যাই তখন দেখি মা মেঝেতে পড়ে রয়েছে ৷ আর বাবাকে দেখলাম বাইক নিয়ে বেরিয়ে গেল । আমি বাবাকে মায়ের ফোন থেকে ফোন করি ৷ বাবা পাশের বাড়ির কাকুকে ডাকতে বলে । বাবা সেই মুহুর্তেই ঘরে আসে ।" অথচ প্রশান্তর বক্তব্য, রাতের বেলায় তাঁদের বাড়িতে চোর এসেছিল ৷ ঘরের লন্ডভন্ড করা আলমারিটি দেখিয়ে পুলিশের কাছে তিনি দাবি করেন, চোর তাঁর স্ত্রীকে খুন করেছে ৷ এছাড়াও প্রশান্ত যে পরিকল্পিতভাবেই খুন করে ঝুমাকে তার আরও একটি প্রমাণ হাতে পায় পুলিশ ৷ মাস দুয়েক আগেই প্রশান্ত ঝুমার নামে লাইফ ইনসিওরেন্স কর্পোরেশনে 5 লাখ টাকার বিমা করেছিল ৷

আজ সকালে ঝুমার মৃত্যুর খবর পেয়ে প্রশান্তের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ করেছেন ৷ ঝুমার বাবার অভিযোগ, দাম্পত্য কলহ চরমে পৌঁছানোয় পরিকল্পিতভাবেই তাঁর মেয়েকে প্রশান্ত খুন করেছে ৷ পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায় ৷ প্রশান্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ৷ দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে ৷

কাঁকসা, 6 মে : পরিকল্পিনা মাফিক খুন করা হয় এক যুবতিকে ৷ অভিযুক্ত ওই যুবতির স্বামী ৷ যুবতির 6 বছরের পুত্রসন্তানের সাক্ষ্যে পরিষ্কার হয়, পরিকল্পিতভাবেই যুবতিকে খুন করে তাঁর স্বামী ৷ আজ সকালে ঘটনাটি ঘটেছে কাঁকসার শেরপুরে ৷

মৃত ওই যুবতির নাম ঝুমা টুডু বাগদি (29) ৷ বাড়ি পানাগড় রেলপাড় এলাকায় । তাঁর স্বামীর নাম প্রশান্ত বাগদি ৷ বাড়ি সিলামপুরে ৷ বছর দশেক আগে তাঁদের বিয়ে হয়েছিল ৷ বিয়ের পর থেকে তাঁরা শেরপুরে একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন ৷ ঝুমার বাবার বক্তব্য, বিয়ের পর থেকেই তাঁদের মধ্যে দাম্পত্য কলহ লেগেই ছিল ৷ প্রশান্ত একটি পোলট্রি ফার্ম করেছিল কাঁকসার ঝিনুকগড় গ্রামে । দেনার দায়ে জর্জরিত প্রশান্তর পাশে দাঁড়ানোর জন্য ঝুমা অন্ডালে একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে আয়ার কাজ শুরু করেছিলেন ৷ কিন্তু অভিযোগ, প্রশান্ত মাঝেমধ্যেই ঝুমাকে সন্দেহবশত মারধর করত ৷

আজ সকাল 6টা নাগাদ কাঁকসা থানার পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থানে পৌঁছায় ৷ পুলিশ ঝুমার বাড়ি পৌঁছে দেখে ঘরের মেঝেতে পড়ে রয়েছে ঝুমার মৃতদেহ ৷ তাঁর গলায় রয়েছে ফাঁসের দাগ । আর ঝুমার মৃতদেহের পাশে বসে অঝোরে কাঁদছে তাঁর 3 বছরের মেয়ে ও 6 বছরের ছেলে । এরপরই পুলিশ তাঁর শিশুপুত্রকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ৷ আর তাতেই উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য । ওই শিশু পুলিশকে বলে, "আজ ভোর 5টা নাগাদ আমি পাশের ঘরে যখন শুয়ে ছিলাম খুব জোরে আওয়াজ পাই । আমি যখন মা-বাবার ঘরে যাই তখন দেখি মা মেঝেতে পড়ে রয়েছে ৷ আর বাবাকে দেখলাম বাইক নিয়ে বেরিয়ে গেল । আমি বাবাকে মায়ের ফোন থেকে ফোন করি ৷ বাবা পাশের বাড়ির কাকুকে ডাকতে বলে । বাবা সেই মুহুর্তেই ঘরে আসে ।" অথচ প্রশান্তর বক্তব্য, রাতের বেলায় তাঁদের বাড়িতে চোর এসেছিল ৷ ঘরের লন্ডভন্ড করা আলমারিটি দেখিয়ে পুলিশের কাছে তিনি দাবি করেন, চোর তাঁর স্ত্রীকে খুন করেছে ৷ এছাড়াও প্রশান্ত যে পরিকল্পিতভাবেই খুন করে ঝুমাকে তার আরও একটি প্রমাণ হাতে পায় পুলিশ ৷ মাস দুয়েক আগেই প্রশান্ত ঝুমার নামে লাইফ ইনসিওরেন্স কর্পোরেশনে 5 লাখ টাকার বিমা করেছিল ৷

আজ সকালে ঝুমার মৃত্যুর খবর পেয়ে প্রশান্তের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ করেছেন ৷ ঝুমার বাবার অভিযোগ, দাম্পত্য কলহ চরমে পৌঁছানোয় পরিকল্পিতভাবেই তাঁর মেয়েকে প্রশান্ত খুন করেছে ৷ পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায় ৷ প্রশান্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ৷ দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে ৷

Intro:6 বছরের পুত্র সন্তান দেখে ফেলেছিল বাবাকে বাড়ি থেকে বের হতে। আওয়াজ পেয়ে পাশের ঘরে দেখে মৃত অবস্থায় পড়ে আছে তার মা। 6 বছরের শিশু সন্তানের জবানবন্দিতে পরিষ্কার পরিকল্পিতভাবে খুন করা হলো এক গৃহবধূকে। ঘটনাটি ঘটেছে কাঁকসার শেরপুরে।

এক গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ উঠলো তার স্বামীর বিরুদ্ধে। ওই গৃহবধূর নাম ঝুমা টুডু বাগদি (২৯)। আটক করা হয়েছে মৃতার স্বামী প্রশান্ত বাগদি কে। বছর দশেক আগে পানাগড় রেলপাড়ের বাসিন্দা ঝুমার সাথে বিয়ে হয় সিলামপুরের বাসিন্দা নিবাসী প্রশান্ত বাগদীর সাথে।বিয়ের পরে তারা শেরপুরে ভাড়া বাড়িতে থাকত।বিয়ের পর থেকেই তাদের দাম্পত্য কলহ লেগেই থাকত বলে জানান মৃতার বাবা। প্রশান্ত একটি পোলট্রি ফার্ম করেছিল কাঁকসার ঝিনুকগড়ে গ্রামে।দেনার দায়ে জর্জরিত প্রশান্ত র পাশে দাঁড়ানোর জন্যই তার স্ত্রী ঝুমা টুডু বাগদি অন্ডালে একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে আয়ার কাজে যুক্ত হয়। এখানেও বিপত্তি। স্বামী প্রশান্ত তার স্ত্রীকে সন্দেহবশত মাঝেমধ্যেই মারধোর করতো বলে অভিযোগ। কিভাবে খুন করা হলো ঝুমাকে? কাঁকসা থানার পুলিশ সোমবার সকাল ছটা নাগাদ জানতে পারে শেরপুরে ঝুমার মৃত্যুর কথা কাঁকসা থানার পুলিশ এসে দেখে শেরপুরে যে বাড়িতে ভাড়া থাকত প্রশান্ত তার পরিবার নিয়ে, সেই বাড়ির একটি রুমের মেঝেতে পড়ে আছে ঝুমার নিথর দেহ। তার গলায় ফাঁস এর দাগ। আর মায়ের মৃতদেহের পাশে বসে তখন অঝোরে কাঁদছে তাদের তিন বছরের একটি কন্যা সন্তান এবং ছয় বছরের পুত্র সন্তান। এর পরেই পুলিশ 6 বছরের পুত্র সন্তানকে জিজ্ঞাসাবাদ চালায় পুলিশ। আর তাতেই উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। 6 বছরের শিশু সন্তান পুলিশকে জানায়। ""আজ ভোর পাঁচটা নাগাদ আমি পাশের ঘরে যখন শুয়ে ছিলাম খুব জোরে আওয়াজ পায়। আমি যখন মা ও বাবা যে ঘরে ছিল সেই ঘরে যাই তখন দেখি মা মেঝেতে পড়ে আছে। আর বাবা বাইক নিয়ে বেরিয়ে গেল। আমি বাবাকে মায়ের ফোন থেকে ফোন কিরলে বাবা পাশের বাড়ির কাকুকে ডাকতে বলে।বাবা সেই মুহুর্তেই ঘরে আসে।""অথচ প্রশান্ত পুলিশের কাছে দাবি জানায় যে এই আলমারি লন্ডভন্ড করা আছে অর্থাৎ রাতের বেলায় চোর চুরি করতে আসে এবং তারাই আমার স্ত্রীকে খুন করে চলে গেছে। শুধু এখানেই শেষ নয়। ঝুমাকে খুন করার পরিকল্পনা যে প্রশান্ত অনেক আগেই করেছিল তার আরও একটা তথ্য পেয়েছে পুলিশ। দু মাস আগে ঝুমার নামে লাইফ ইন্সুরেন্স কর্পোরেশন এ একটি পলিসি ও করে তার স্বামী। প্রশান্ত 5 লক্ষ টাকার বীমা করে স্ত্রী ঝুমার নামে।আজ সকালে ঝুমার বাবার কাছে মেয়ের মৃত্যর খবর যায়। মৃতার পরিবার মৃতার স্বামীর বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ জানিয়েছে। মৃতার বাবার অভিযোগ দাম্পত্য কলহ চরম সীমায় পৌঁছে যাওয়ার কারণে পরিকল্পিতভাবে তার মেয়েকে তার স্বামী গলা টিপে হত্যা করেছে। কাঁকসা থানার পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠায় ময়নাতদন্তের জন্য।Body:কপিConclusion:কপি
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.