আসানসোল, 31 মার্চ: প্রযুক্তিগত বিড়ম্বনায় ভেস্তে গেল শুনানি ৷ আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতের শুনানিতে যোগ দিতেই পারলেন না গরুপাচার কাণ্ডে ধৃত অনুব্রত মণ্ডল ও সায়গল হোসেন ৷ উল্লেখ্য, গরুপাচার কাণ্ডে আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতে বেশ কয়েকটি মামলা চলছে ৷ সেইসব মামলায় অভিযুক্তদের তালিকায় অনুব্রত এবং সায়গলও রয়েছেন ৷ শুক্রবার তাঁদের দু'জনেরই আদালতের শুনানিতে যোগ দেওয়ার কথা ছিল ৷ কিন্তু, তাঁরা দু'জনই বর্তমানে দিল্লির তিহাড় জেলে বন্দি ৷ তাই ঠিক ছিল, নির্দিষ্ট সময় ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে শুনানিতে যোগ দেবেন অনুব্রত ও তাঁর এক সময়ের দেহরক্ষী সায়গল ৷ কিন্তু, সেটা আর সম্ভব হয়নি ৷ যার জেরে বাধ্য হয়েই এদিনের মতো শুনানি স্থগিত করে দিতে হয় ৷ দু'জনের ক্ষেত্রেই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে আগামী 27 এপ্রিল ৷
এদিন, আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতে প্রথমে সায়গল হোসেনের শুনানি শুরু হয় ৷ সেই সময় তিহাড় জেল থেকে ভার্চুয়ালি যোগাযোগের চেষ্টা করা হয় ৷ কিন্তু প্রযুক্তিগত বিড়ম্বনার কারণে এবং ইন্টারনেটের সংযোগ দুর্বল থাকায় সায়গল হোসেনকে দেখাই যায়নি ভার্চুয়াল স্ক্রিনে ! তবে, আসানসোলের আদালতে উপস্থিত ছিলেন তাঁর আইনজীবী শেখর কুণ্ডু ৷ তিনি বিচারক রাজেশ চক্রবর্তীর কাছে আবেদন জানান, সায়গলের বাড়ি থেকে প্রচুর পরিমাণে সোনা ও রুপোর গয়না বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল ৷ সেই গয়নাগুলির আইনি বৈধতা বিচার করে ফেরত দেওয়া হোক ৷ এর জবাবে বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী জানান, বাজেয়াপ্ত হওয়া ওই গয়নার সম্পূর্ণ তালিকা এখনও পর্যন্ত আদালত পায়নি ৷ তাছাড়া, এই মামলার তদন্ত এখনও চলছে ৷ সেই প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া অবধি গয়না ফেরত দেওয়া সম্ভব নয় ৷
আরও পড়ুন: তিহাড় থেকে আসানসোল সংশোধনাগারে ফিরতে চেয়ে আদালতে অনুব্রত
এরপর শুরু হয় অনুব্রত মণ্ডলের শুনানি ৷ কিন্তু, সেখানেও বাধা হয়ে দাঁড়ায় প্রযুক্তিগত সমস্যা ৷ ফলে অনুব্রত মণ্ডলের ভার্চুয়াল শুনানিও স্থগিত করে দিতে হয় ৷ তাছাড়া, আসানসোলের আদালতে এদিন অনুব্রত মণ্ডলের কোনও আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন না ৷ ফলে তাঁর হয়ে সওয়াল করার মতোও আদালতে আর কেউ ছিলেন না ৷ এই অবস্থায় দু'জনেরই শুনানি স্থগিত হয়ে যায় ৷ বিচারক জানিয়ে দেন, আগামী 27 এপ্রিল সংশ্লিষ্ট মামলায় এই দুই অভিযুক্তের শুনানি করা হবে ৷