দুর্গাপুর, 12 সেপ্টেম্বর: সোমবার সেচ দফতরের (Irrigation Department) সূত্র মারফত জানা গিয়েছে 7 হাজার 525 কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে (Water Released from Durgapur Barrage)। স্বাভাবিক জল ছাড়ার পরিমাণের থেকেও যা যথেষ্ট কম। তবে নিম্নচাপের জেরে একটানা বিহার ও ঝাড়খণ্ডে (Bihar and Jharkhand) এবং এ রাজ্যেও যেভাবে বৃষ্টি হচ্ছে তাতে পাঞ্চেত ও মাইথন জলাধারে জলের পরিমাণ বাড়বে আর তার জেরে দামোদরের নিম্ন অববাহিকা অঞ্চলে অবস্থিত জেলাগুলি যেমন পূর্ব বর্ধমানের বেশ কিছু ব্লক, হুগলির বহু অংশ, হাওড়ার কিছুটা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা থেকেই যায়।
সেচ দফতর সূত্রে আরও খবর, মাইথন ও পাঞ্চেত জলাধারের (Maithon and Panchet Reservoir) পক্ষ থেকে জল ছাড়ার বিষয়ে এখনই কোনও বিপদ সংকেত দেওয়া হয়নি। বিগত দিনে বহুবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জল ছাড়া নিয়ে ডিভিসি কর্তৃপক্ষের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছিলেন। ডিভিসি কর্তৃপক্ষ রাজ্য সরকারের সেচ দফতরকে না জানিয়েই জল ছেড়ে দেওয়ার কারণে দামোদরের নিম্ন অববাহিকার জেলাগুলিতে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয় ৷ এবার বর্ষায় বৃষ্টি সেভাবে না হওয়ার কারণে দামোদরের জল এখনও বিপদসীমা স্পর্শ করেনি।
আরও পড়ুন: বৃষ্টি দেবে নিম্নচাপ, ধাক্কা পুজোর প্রস্তুতিতে
কিন্তু পুজোর মুখে নিম্নচাপের ভ্রুকুটি হঠাৎ করে পরিস্থিতিতে বদল এনেছে। পাশাপাশি প্রতিবেশী বিহার, ঝাড়খণ্ড রাজ্যের বর্ষায় প্রবল বৃষ্টি হওয়ার কারণে দামোদরের জল বাড়ার সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে ধীরে ধীরে। তাই পুজোর মুখে কি দামোদরের নিম্ন অববাহিকার জেলাগুলিতে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হতে চলেছে ? এমন প্রশ্ন কিন্তু দেখা দিচ্ছে । যদিও এখনও পর্যন্ত নবান্ন থেকে কোনও সতর্কবার্তা দেওয়া হয়নি। অন্যান্য বছর বর্ষার সময় বন্যাকবলিত জেলাগুলির প্রশাসনিক আধিকারিকদের সতর্ক থাকার কথা বলা হয়। এবার এখনও পর্যন্ত সেই রকম সতর্কবার্তা দেখা যায়নি, তার কারণ বর্ষায় তেমন বৃষ্টি হয়নি।