দুর্গাপুর, 7 জুলাই : কাঁকসার গোপালপুর গ্রামপঞ্চায়েতে গতকাল পঞ্চায়েত কর্মী ও আদিবাসীদের হাতাহাতিকে ঘিরে দিনভর উত্তেজনা । আদিবাসীদের অভিযোগ তারা পঞ্চায়েত অফিসে রাস্তা সংস্কারের দাবি নিয়ে গেলে তাঁদেরকে পঞ্চায়েত আধিকারিক,প্রধানসহ অনেকেই মারধর করে । আবার পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে অভিযোগ যে আদিবাসীরাই স্মারকলিপি দেওয়ার নামে পঞ্চায়েতের ভেতরে ঢুকে পঞ্চায়েত প্রধান, আধিকারিকদের মারধর করে ।পরে হাজার খানেক আদিবাসীরা সারাদিন গোপালপুর পঞ্চায়েত অফিস ঘেরাও করে রাখে ।পরে রাতে পঞ্চায়েতের সেক্রেটারিকে কাঁকসা থানার পুলিশ আটক করে থানায় নিয়ে যায় ।
এদিকে আদিবাসীদের ওপর যেভাবে অত্যাচার করা হয়েছে পঞ্চায়েত ভবনের ভেতরে তার ভিডিয়ো ভাইরাল হয় । আদিবাসীরা কাঁকসা থানায় ছয়জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করে গতকাল রাতেই ।
অন্যদিকে রাত এগারোটা নাগাদ জাতীয় সড়ক ধরে বাড়ি ফেরার পথে বিরুডিয়া এলাকায় তাদের গাড়ি আটকে তাদের ওপর একদল দুষ্কৃতী হামলা করে বলে অভিযোগ । আদিবাসীদের অভিযোগ গোপালপুরের ঘটনার কারণে তাদের ওপরে রাতে আবার রাস্তায় হামলা করে । একজন আদিবাসী গুরুতর আহত হয়েছে । আদিবাসীরা একজনকে ধরে ফেলে । শুরু হয় আবার উত্তেজনা । কাঁকসা থানার পুলিশ রাতে ঘটনাস্থানে গেলে তাঁদেরকে আটকে রেখে বিক্ষোভে দেখায় । ভেঙে দেওয়া হয় পুলিশের গাড়িও । এখনও পর্যন্ত ৫ জন আদিবাসী ও পঞ্চায়েতের এক আধিকারিককে আটক করে পুলিশ ।
আদিবাসী গাঁওতা নেতা সুনীল সোরেন অভিযোগ করে বলেন,"পঞ্চায়েত কর্মীরা আদিবাসীদের মারধর করে । রাস্তা চাইতে গেলে শাসকদলের গুন্ডারা মারে । আমরা এর বিরুদ্ধে গর্জে উঠব । দোষীদের শাস্তি না হলে স্তব্ধ করে দেব জাতীয় সড়ক ।"