আসানসোল, 30 জুন : বেতন কাঠামোর পুনর্বিন্যাস, বকেয়া এরিয়ার, সেলের কোন ইউনিটকে বেসরকারিকরণের পথে না নিয়ে যাওয়া সহ একাধিক দাবিতে সেলের বিভিন্ন ইস্পাত কারখানায় যে ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছিল তা নিয়ে দিনভর উত্তেজনা ছড়াল সেলের ইস্কো কারখানায় ।
সকাল থেকেই ধর্মঘট সমর্থকরা ইস্কো কারখানার বিভিন্ন গেটে পিকেটিং করে । কাজে আসা শ্রমিকদের কারখানায় ঢুকতে বাধা দেওয়া হয় । এমনকি আধিকারিকদের গাড়ি ঢুকতেও বাধা দেওয়া হয় । বিষয়টি নিয়ে উত্তেজনা ছড়ায় বারে বারে । খবর পেয়ে আসে হিরাপুর থানার পুলিশ ।
সিআইএসএফ জওয়ানদের নিয়ে আসা হয় কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে । সিআইএসএফ জওয়ানদের সঙ্গে বনধ সমর্থকদের বচসা বেঁধে যায় । কার্যত তাদের সরিয়ে দেয় বনধ সর্মথকরা । পাশাপাশি ঠিকা শ্রমিকরা কারখানায় ঢুকতে গেলে তাদের বলপূর্বক বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ ।
যদিও বাধা দেওয়ার কথা অস্বীকার করেছেন সিটু নেতা তথা প্রাক্তন সাংসদ বংশগোপাল চৌধুরী জানিয়েছেন, "কোনও বাধা দেওয়া হয়নি । স্বতঃস্ফূর্ত, সর্বাত্মক ভাবেই সফল হয়েছে । ইস্কো কর্তৃপক্ষকে ব্লাস্ট ফার্নেস শাটডাউন নিতে হয়েছে । সকালের শিফটে মাত্র ৯ শতাংশ উপস্থিতি ছিল । দুপুরের শিফটেও উপস্থিতির হার একেবারে তলানিতে ছিল । শ্রমিকরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে এই বনধকে সমর্থন করেছে । প্রতিটি কারখানাতেই বন্ধ হয়েছে । এবং আমরা সমর্থকদের শুভেচ্ছা জানাই ।"
আরও পড়ুন...কোক ওভেন থানার ভিতরে ঢুকতে গেলে পুলিশি বাধা বাম সমর্থকদের
তবে বনধ সমর্থকদের এই বলপূর্বক বনধ মেনে নিতে পারেনি ঠিকা শ্রমিকরা । তাদের দাবি "আমরা প্রত্যেকদিন ৩০০ টাকা হাজিরা পাই । আমরা কারখানায় কাজ করতে চাই । কাজ না করলে আমাদের টাকা আমাদেরকে কে দেবে? আমাদের নিরাপত্তা থেকে শুরু করে কোনও কিছু ব্যাপারেই স্থায়ী শ্রমিকরা ভাবে না । তাই আমরা বনধ সমর্থন করিনা । আমরা কাজ করতে চাই ।