দুর্গাপুর, 15 অক্টোবর: দুর্গাপুরের ডিপিএল কলোনির বাসিন্দা রোশনি দাসের রহস্যমৃত্যু সুইডেনে। 2018 সালে মেধাবী ছাত্রী রোশনি দাস সেদেশে গিয়েছিলেন গবেষণা করতে। কিন্তু গবেষণার কাজ সমাপ্ত না-হওয়ার কারণে তাঁকে আরও দীর্ঘসময় সেখানেই থাকতে হয় ৷ হঠাৎই তাঁর পরিবারের কাছে রোশনির রহস্যমৃত্যুর কথা জানানো হয়। এরপরই মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার দুর্গাপুরের ডিপিএল কলোনিতে রোশনি দাসের বাড়িতে যান।রাজ্যের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার জানান, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘটনার খবর শুনে অত্যন্ত শোকাহত ৷ অতিরিক্ত মুখ্যসচিব ইতিমধ্যেই ভারতীয় দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। পরিবারের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়েছে।
সুইডেনে গবেষণারত বঙ্গতরুণীর রহস্যমৃত্যুতে মৃতদেহ রাজ্যে ফিরিয়ে আনতে তৎপর হয়েছে ভারতীয় দূতাবাস। ভারতীয় দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করে মৃতদেহ পরিবারের হাতে যাতে তুলে দেওয়া হয় তা নিয়ে সমস্ত রকমভাবে তৎপর হয়েছে রাজ্য সরকার। দুর্গাপুর-পূর্বের বিধায়ক তথা রাজ্যের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার এ নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, "অত্যন্ত মর্মান্তিক সংবাদ। ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘটনার খবর শুনে অত্যন্ত শোকাহত, পরিবারকে সমবেদনা জানিয়েছেন। রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতরের মুখ্যসচিবকে নির্দেশ দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট বিষয়ে নজর দিয়ে পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর।"
তিনি আরও বলেন, "এছাড়াও আমাদের দলের ছেলেরা ওই পরিবারের সঙ্গেই আছে। মেয়েটির পরিবার ভারত সরকারের কাছে দু'টি আবেদন জানিয়েছে একটি রোশনির মৃতদেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য এবং যদি রোশনিকে খুন করা হয় তাহলে দোষীদের যথোপযুক্ত শাস্তি হোক তারও আরজি জানিয়েছে।" এদিন মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদারের সঙ্গে দুর্গাপুর নগর নিগমের প্রশাসক মণ্ডলীর চেয়ারপার্সন অনিন্দিতা মুখোপাধ্যায়, ভাইস চেয়ারপার্সন অমিতাভ বন্দ্যোপাধ্যায়ও সঙ্গে যান।
তাঁরা পরিবারের লোকেদের সঙ্গে কথা বলেন। দাস পরিবারের এই কঠিন সময়ে তাঁদের পরিবারকে সর্বতোভাবে সাহায্যের আশ্বাস দেন মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার। মৃতার পরিবার এখন তাকিয়ে কবে আসবে রোশনির মৃতদেহ। পরিবারের সদস্যরা জানতে মরিয়া কীভাবে এবং কেন রোশনির মৃত্যু হল?
আরও পড়ুন: সুইডেনে বাংলার গবেষক ছাত্রীর রহস্যমৃত্যু, খুনের অভিযোগ পরিবারের