দুর্গাপুর, 6 অক্টোবর: জঙ্গলে কাঠ কুড়াতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার আদিবাসী কিশোরী ! নগ্ন অবস্থায় কাঁকসার জঙ্গল থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়েছে ৷ বর্তমানে আশংকাজনক অবস্থায় দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে সে চিকিৎসাধীন ৷ এই ঘটনায় কাঁকসা থানার পুলিশ গ্রেফতার করেছে চারজনকে । অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে কিশোরীর পরিবার ।
বৃহস্পতিবার দুপুরে কাঁকসার কুলডিহার আদিবাসী পাড়ার দুই কিশোরী কাঠ ও পাতা কুড়াতে জঙ্গলে গিয়েছিল । বিকেলে তারা বাড়ি ফিরে আসার সময় এলাকার চার যুবক দুই কিশোরীর পথ আটকালে এক কিশোরী কোনওক্রমে পালাতে সক্ষম হয় ৷ কিন্তু আর এক কিশোরীকে জোর করে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ ৷ অভিযোগ, ওই আদিবাসী কিশোরীকে গণধর্ষণের পর জঙ্গলে ফেলে পালিয়ে যায় অভিযুক্তরা ।
ওই কিশোরীর বান্ধবী বাড়িতে গিয়ে সব কথা জানালে নির্যাতিতা কিশোরীর বাবা জঙ্গলে ছুটে যান ৷ সেখানে গিয়ে মেয়েকে নগ্ন অবস্থায় উদ্ধার করেন তিনি ৷ তবে অভিযোগ, চার অভিযুক্ত ওই কিশোরীর বাবাকে বেধড়ক মারধর করে এবং পুলিশকে বিষয়টি জানালে গ্রামছাড়া করে দেবে বলে হুমকি দিতে থাকে । এরপর তাদের হাত থেকে ছাড়া পেয়ে কোনওক্রমে আশংকাজনক অবস্থায় নাবালিকা মেয়েকে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করেন তার বাবা ।
এই ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় কাঁকসা থানার পুলিশ । কাঁকসা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতা নাবালিকার বাবা ও মা ৷ তাঁদের অভিযোগের ভিত্তিতে চার অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ ৷ এই ঘটনাকে ঘিরে আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায় ৷ ওই আদিবাসী কিশোরীর শারীরিক পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয় দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে । ধৃতদের শুক্রবার আদালতে তোলা হবে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে । ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে কাঁকসা থানার পুলিশ । কিশোরীর বাবা ও মা দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালের বাইরে দাঁড়িয়ে সংবাদমাধ্যমের কাছে গোটা ঘটনার কথা জানান ৷ তাঁদের মেয়ের উপর অমানবিক অত্যাচারের জন্য অভিযুক্তদের কড়া শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তাঁরা ৷