দুর্গাপুর, 9 অক্টোবর: আকাশে বাতাসে শারদ উৎসবের সূচনা। উমার মর্ত্যে আগমন ৷ অপেক্ষা আর মাত্র কয়েকদিনের ৷ ধর্ম-বর্ণ নির্বেশেষে সকলের কাছে তিনি মা ৷ তিনি ভেদাভেদ ভুলে সকলের জগৎজননী ৷ মায়ের আগমনের সেই আনন্দে মেতে উঠলেন রূপান্তরকামী মহিলারাও ৷ দুর্গাপুরের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের উদ্যোগে রূপান্তরকামী মহিলাদের নিয়ে তাঁদের প্রতিভা অন্বেষণ এবং সুন্দরী প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছিল ৷ অনুষ্ঠানের নাম ছিল অন্য ঋতু, নতুন ঋতু বদলের স্বপ্ন ৷
দৈহিকভাবে তারা পুরুষ হয়ে জন্মালেও মানসিকভাবে তারা নারীশক্তির পরম পূজারী। তাই তারা আধুনিক চিকিৎসার সুবিধা নিয়ে অন্য দুর্গাতে রূপান্তরিত। রূপান্তরকামীরা সংখ্যায় আজ অনেক। সারা রাজ্যে প্রায় 70 হাজার রূপান্তরকামীদের বসবাস বলে জানিয়েছেন দুর্গাপুরের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের অন্যতম প্রধান অর্পিতা সেনগুপ্ত।
রূপান্তরকামীদেরকে নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে যাচ্ছেন সমাজকর্মী অর্পিতা সেনগুপ্ত, পারমি গোস্বামী,তনিমা তনুশ্রী বসু,পায়েল চট্টোপাধ্যায়। জাতীয় লোক আদালতের বিচারক রূপান্তরকামী মহিলা কথা সরকার বলেন, "কলকাতায় রূপান্তরকামী মহিলাদের উদ্যোগে বড় করে দুর্গা পুজো হয়। সেখানে রূপান্তরকামী মহিলারা সিঁদুর খেলায় মেতে ওঠেন। কিন্তু দুর্গাপুর বা মফস্বলে এখনও আমাদেরকে সেভাবে কেউ ডাকেন না। মেগাসিটিতে রূপান্তরকামীদেরকে মান্যতা দেওয়া হয়েছে। আমরা চাই বন্ধুত্বের হাত। আমরা চাই সমাজ আমাদেরকে আর পাঁচজন সাধারণ মহিলার মত মেনে নিক। কারণ আমরাই দুর্গা।"
আরও পড়ুন: রাতের উদুপিতে ভরসা সাধারণের রূপান্তরকামীদের ক্যান্টিন, শিরোনামে পূর্বী-বৈষ্ণবী-চন্দনা
রূপান্তরকামী নেহা মণ্ডল, মিঠু আলম আজ মাথা উঁচু করে ভিড় ঠেলে সার্বজনীন দুর্গোৎসবে সামিল হন। তাঁদের বিশ্বাস একদিন এই সমাজের সবাই মেনে নেবেন "অন্য দুর্গা" রূপে। তাঁদেরকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য, সমাজের মূল স্রোতে মিশিয়ে দিতে যাঁরা কাজ করে চলেছেন তাঁদের মধ্যে রয়েছেন অর্পিতা সেনগুপ্ত, পারমি গোস্বামী, তনুশ্রী তনিমা বসু, পায়েল চটোপাধ্যায়রাও ৷
আরও পড়ুন: জামাইষষ্ঠী হোক রূপান্তরকামীদেরও, বার্তা দিতে নারী সেজে অভিনয় সুমনের