দুর্গাপুর, 1 মার্চ: সরকারের দেওয়া পাট্টার জমি হাতিয়ে নিয়ে সেই জমির বেসরকারি গ্যাস উত্তোলক সংস্থাকে পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ শাসকদলের নেতাদের বিরুদ্ধেই। পাট্টা পাওয়া জমি নিয়ে খেলা করছে শাসক দলের নেতারা, অভিযোগ গেরুয়া শিবিরের (TMC Leaders Accused over Land Encroachment)। শাসকদলের ব্লক সভাপতির পালটা পাট্টা পাওয়া জমি যারা পেয়েছেন তাঁরাই পাবেন। জমির সীমানা নির্ধারণ না-হওয়ার কারণে এই ঘটনা বলে দাবি তৃণমূল নেতার। ঘটনাটি ঘটেছে দুর্গাপুর ফরিদপুর ব্লকের প্রতাপপুর পঞ্চায়েতের অন্তর্গত বড়গড়িয়া গ্রামে।
বড়গড়িয়া গ্রামের বেশ কিছু গরিব মানুষ পেয়েছিল সরকারি পাট্টার জমি। স্থানীয় অভিযোগকারিণী পদ্মা বাদ্যকর জানান, রাজ্যের সরকার তাদের এলাকায় পাট্টার জমি দিয়েছিল। কিন্তু স্থানীয় তৃণমূল নেতারা মুনাফা লাভের আশায় তাঁদের পাওয়া পাট্টার জমি একটি বেসরকারি সংস্থার হাতে তুলে দিয়েছে। তাঁর অভিযোগ, নেতাদের কাছে গেলেই তাঁরা বলেন তোমরা জমি পাবে, তবে এখানে নয় জঙ্গলের দিকে আছে তোমাদের জমি। কিন্তু পাট্টার জমি পাওয়া মানুষজনের প্রশ্ন ,পাট্টার নম্বর অনুযায়ী তাঁদের জমি রয়েছে এখানে তাহলে জঙ্গল থেকে যাব কেন? তাঁদের জমি ফিরিয়ে দিতে হবে এবং সেই নির্দিষ্ট জায়গাতেই।
অভিযোগকারীরা বলেন, "এই বিষয়ে তাঁরা ইতিমধ্যেই ব্লক অফিস তথা পঞ্চায়েতে জানিয়েছে । কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। তাই মঙ্গলবার বেসরকারি সংস্থার দ্বারা দখল হয়ে যাওয়া সেই জমির কাছে এসে হাতে পাট্টার কাগজ নিয়ে বিক্ষোভ দেখান পাট্টার জমির অধিকারীরা।" তাঁদের দাবি অবিলম্বে বাটার সঠিক জমি ফেরত দিতে হবে। যদিও এই বিষয়ে স্থানীয় এক তৃণমূল নেতা কিছুই জানেন না-বলে দাবি করেন। তবে দুর্গাপুর-ফরিদপুর ব্লকের তৃণমূল ব্লক সভাপতি তথা জেলা পরিষদের খাদ্য কর্মাধক্ষ সুজিত মুখোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার যাদের পাট্টার জমি দিয়েছে সেই জমি কোনওভাবেই বিক্রয় বা হস্তান্তর করা যায় না।"
আরও পড়ুন: মালদায় পাট্টা প্রাপকের জমি দখলের অভিযোগ তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে
তিনি আরও জানান, যদি কোনও স্থানীয় তৃণমূল নেতা এ কাজ করে থাকেন তাহলে দল তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। পাট্টার জমি দখলের বিষয়টি তদন্ত করে দেখার আশ্বাসও দেন তিনি। যে সকল মানুষরা পাট্টার জমি পেয়েছেন তারা নির্দিষ্ট জায়গাতেই তাঁদের জমি পাবেন বলে জানান সুজিত মুখোপাধ্যায়। যেহেতু জমির এখনও সীমানা নির্ধারণ করা হয়নি সেই কারণেই এই সমস্যা দেখা দিয়েছে বলে জানান তিনি । তবে এই ঘটনায় শোরগোল পড়েছে দুর্গাপুর-ফরিদপুর ব্লকে।