দুর্গাপুর, 29 মার্চ: সিপিএমের সারা ভারত গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতিকে মজবুত করার লক্ষ্যে সদস্যপদ দেওয়ার জন্য চাঁদা আদায় শুরু করেছে। রশিদে লেখা 1 টাকা কিন্তু কোনও পরিবারের কাছ থেকে নেওয়া হচ্ছে 10 টাকা, আবার কোনও পরিবারের কাছ থেকে 20 টাকা বলে অভিযোগ গ্রামীণ মহিলাদের (CPM from Collecting Extra Money for Membership)। সাধারণ মানুষকে ভুল বুঝিয়ে সদস্যপদ গ্রহণ করানোর চক্রান্ত করছে সিপিএমের মহিলা সংগঠন এই অভিযোগ তুলে সরব হয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের স্থানীয় নেতা-কর্মীরা। পঞ্চায়েত ভোটের আগে যাকে ঘিরে বেশ বিড়ম্বনার মুখে পড়েছেন বামেরা।
সোমবার সন্ধ্যায় কাঁকসার বিদবিহার গ্রাম পঞ্চায়েতের শিবপুর এলাকার একাধিক বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে ছাপানো রশিদ দিয়ে চাঁদা সংগ্রহ করছিল সিপিএমের সারা ভারত গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতি পশ্চিম বর্ধমান জেলা কমিটির নেতৃত্বরা। গতকাল এলাকাবাসীর অভিযোগ, তাঁদেরকে রশিদ দেওয়া হয় এবং পরিবারের মহিলা সদস্য পিছু 10 টাকা করে চাওয়া হয়। সেই রশিদে যে 1 টাকা লেখা তা না-দেখেই তাঁরা চাঁদা দেয় বলে অভিযোগ তুলেছেন।
পরে তাঁরা দেখতে পান সেই রশিদে লেখা 1 টাকা এবং এই অর্থ সংগ্রহ করছে সিপিআইএমর মহিলা সংগঠন। তারপরেই বিষয়টি এলাকার তৃণমূল নেতৃত্বের কাছে পৌঁছতেই প্রতিবাদে সরব হয় তারা। তৃণমূল নেতৃত্বের অভিযোগ, জোর করে সদস্যপদ সংগ্রহ করানোর চক্রান্ত করছিল সিপিমের মহিলা সংগঠনের নেতৃত্বরা। গরিব মানুষের কাছ থেকে টাকা আদায় করছিল। তাঁরা প্রতিবাদ করেছেন এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েছেন। ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলেছে শাসকদল বলে দাবি করেছেন সিপিআইএমের মহিলা সংগঠনের নেতৃত্বরা।
আরও পড়ুন: শিলিগুড়ি পৌরনিগমের ভূমিকায় অখুশি সিপিএম, অশোক ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে গণস্বাক্ষর সংগ্রহে দল
গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল কংগ্রেসের সদস্য স্বপন সূত্রধর বলেন, "34 বছর ক্ষমতায় থাকা একটা দল আবার শীতঘুম ছেড়ে উঠে এসেছে। গ্রামের সহজ সরল মহিলাদের ভুল বুঝিয়ে চাঁদা আদায় করতে নেমেছে। গ্রামের মানুষদের অবস্থা নাজেহাল। চড়া দামে গ্যাস সিলিন্ডার কিনতে হচ্ছে আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চাল দিচ্ছেন বিনা পয়সায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লক্ষীর ভাণ্ডার দিচ্ছেন মহিলাদের। 34 বছরের সিপিএম গ্রামীণ মহিলাদের কিছু দেয়নি আর আজ বেরিয়ে পড়েছে তাদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করতে। আমরা এর প্রতিবাদ করেছি। আর এই চাঁদা আদায় করে মহিলা নেত্রীরা আবার ফুচকা খাচ্ছেন এমন ছবিও আমার কাছে আছে।"
সিপিএমের মহিলা সংগঠনের রাজ্য কমিটির সদস্যা বন্দনা মণ্ডলের কথায়, আমরা পুনরায় যাব। শাসকদল ভয় পেয়েছে। মানুষ আমাদের কাছে তাদের নামে নালিশ জানাচ্ছে। মানুষ চাইছে তোলাবাজ, দুর্নীতিবাজদের হাত থেকে মুক্তি। সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। তাই আমাদের নিয়ে এইসব অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।