আসানসোল, 19 জানুয়ারি: নির্বাচন কমিশন নির্দেশিকা জারি করেছে 5 জনের বেশি লোক নিয়ে প্রার্থীরা প্রচার করতে পারবেন না। অথচ পায়ে হেঁটে এলাকায় প্রচার করলে কর্মী-সমর্থকদের ভিড় ক্রমশই বাড়ছে। কখনও সেটা মিছিলের আকার ধারণ করে নিচ্ছে ৷ এই কোভিড পরিস্থিতিতে যা একেবারেই নিয়মবিরুদ্ধ। অন্যদিকে কর্মীদের উৎসাহকেও নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। আর তাই অভিনব উপায়ে প্রচার সারলেন তৃণমূল প্রার্থী (TMC Candidate Campaign In Asansol)।
আসানসোল পৌরনিগমের 87 নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী তরুণ চক্রবর্তী একাই সাইকেল নিয়ে প্রচার করলেন। তার ওয়ার্ডের তিনটি গ্রাম ঘুরে তিনি একা একাই প্রচার করেন। প্রচার শেষে প্রার্থী জানান, মানুষজনের দারুণ সাড়া পেয়েছি। প্রচার মানেই মানুষের ভিড় জমে যাচ্ছে। আর সেখান থেকেই করোনা ছড়ানোর সম্ভাবনা বাড়ছে। সেই কারণে এবার একাই প্রচারের স্বার্থে অভিনব উপায় নিলেন তিনি ৷
আসানসোল পৌরনিগমের 87 নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী তরুণ চক্রবর্তী সাইকেলের সামনে-পিছনে দুটি দলীয় পতাকা বেঁধে ডামরা-সহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে প্রচার করেন। এলাকার আদিবাসী পাড়াগুলিতেও যান তিনি। মানুষের সঙ্গে কথাও বলেন। তাদের সমস্যার কথা শোনেন। জানান, জিতলে সমাধান হবেই। তৃণমূল প্রার্থী তরুণ চক্রবর্তী বলেন "এই পরিস্থিতিতে দলীয় কর্মী-সমর্থকদের নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। আর তাই একা-একাই সাইকেল নিয়ে প্রচার করছি। মানুষজনের কাছে যাচ্ছি। ভালই সাড়া মিলছে। তবে এই সমস্ত এলাকার আদিবাসী গ্রামগুলিতে অনেক সমস্যা রয়েছে। সরকারি সুযোগ-সুবিধা অনেকেই পায় না। অনেকেই বিধবা ভাতা পায় না। পেনশন নেই। রেশন কার্ড নেই। আমি জিতে সমস্ত সমস্যার সমাধান করব।"
আরও পড়ুন: তৃণমূলের প্রচারে ভুবন, হরির লুটের মতো বাদাম কুড়োতে কোভিড ভুলল জনতা
প্রচারের ফাঁকে মানুষজনকে মাস্ক পরার কথা বলেন তরুণ চক্রবর্তী। সচেতনতা বাড়াতে স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে ও দূরত্ববিধি বজায় রেখে মানুষের সঙ্গে মেলামেশা করার কথা বলেন তিনি। তবে গ্রামবাসীদের অনেকেই তরুণবাবুকে অভিযোগ জানিয়েছেন, তাঁদের কাছে মাস্ক, স্যানিটাইজার নেই। সেই ব্যবস্থাও করা হবে বলে প্রার্থী আশ্বাস দেন।