দুর্গাপুর, 28 অক্টোবর: বর্তমান ব্লক সভাপতির অনুগামীদের সঙ্গে প্রাক্তন ব্লক সভাপতির অনুগামীদের লড়াই ! ঘটনায় আহত দু'পক্ষের তিনজন ৷ পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুরের (Durgapur) গোপালপুরে প্রকাশ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব (TMC Factionalism) ৷ মানতে নারাজ কাঁকসার বর্তমান তৃণমূল ব্লক সভাপতি ভবানীপ্রসাদ ভট্টাচার্য ৷ তাঁর বক্তব্য, যাঁরা দল ভাঙিয়ে রোজগারের ফিকির খোঁজেন, তাঁরা কখনও তৃণমূলকর্মী হতে পারেন না ৷ তাঁরা সকলেই আদতে দুষ্কৃতী ৷ এদিকে, ঘটনার পর থেকে থমথমে গোটা এলাকা ৷ আহতরা ভর্তি রয়েছেন দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ৷ সেই তালিকায় নাম রয়েছে কাঁকসা পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূল সদস্য রমেন্দ্রনাথ মণ্ডলেরও ৷
ঘটনার সূত্রপাত বৃহস্পতিবার সকালে ৷ গোপালপুর উত্তরপাড়ায় স্থানীয় একটি দোকান ঘরের চাতাল তৈরি করা হচ্ছিল ৷ সূত্রের দাবি, সিমেন্টের ওই চাতাল তৈরি করার অনুমতি দিয়েছিলেন রমেন্দ্রনাথ ৷ হাসপাতালে শয্যায় শুয়ে তিনি জানান, চাতাল তৈরির কাজ চলাকালীনই কিছু দুষ্কৃতী তাঁদের উপর হামলা চালান ৷ হামলাকারীদের হাতে ধরা ছিল তৃণমূলের পতাকা ! অথচ, রমেন্দ্রনাথ নিজেও তৃণমূলের স্থানীয় নেতা ৷ তাঁর অভিযোগ, হামলাকারীরা বর্তমান ব্লক সভাপতি ভবানীপ্রসাদ ভট্টাচার্যের অনুগামী ৷ অন্যদিকে, রমেন্দ্র মণ্ডলরা কাঁকসা ব্লকের প্রাক্তন তৃণমূল সভাপতি দেবদাস বক্সির অনুগামী হিসাবে পরিচিত ৷ রমেন্দ্রনাথ বলেন, "যেহেতু ওই সিমেন্টের চাতাল তৈরির আগে বর্তমান ব্লক সভাপতির সঙ্গে কথা বলা হয়নি, তাই তাঁর অনুগামীরা আমাদের উপর হামলা চালান ৷"
আরও পড়ুন: দিনহাটা 2 ব্লক তৃণমূলে দু’পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির অভিযোগ, হাসপাতালে ভর্তি 2
অন্য সুর শোনা গিয়েছে সুরজ বিশ্বাস নামে আর তৃণমূলকর্মীর গলায় ৷ এই যুবক আবার ভবানীপ্রসাদের অনুগামী ৷ তাঁর দাবি, রমেন্দ্রনাথরা ওই দোকানদারকে বেআইনি নির্মাণ করার অনুমতি দিয়েছিলেন ৷ সুরজরা এর প্রতিবাদ করেন ৷ সেই কারণেই রমেন্দ্রনাথ মণ্ডল এবং তাঁর সঙ্গে থাকা লোকজন সুরজদের আক্রমণ করেন !
এমন ঘটনায় বিপাকে পড়েছে শাসক শিবির ৷ সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Election 2023) ৷ তার আগে এই ধরনের গোষ্ঠীকোন্দল জনমানসে তৃণমূলের ভাবমূর্তি নষ্ট করবে বলে মনে করছে দলীয় নেতৃত্ব ৷ যদিও প্রকাশ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা মানতে রাজি নয় তারা ৷ ভবানীপ্রসাদ যেমন বলছেন, তাঁর অনুগামীদের যাঁরা মারধর করেছেন, তাঁরা কেউই তৃণমূলের সদস্য হতে পারেন না ৷ তাঁরা সকলেই দুষ্কৃতীয় ৷ তা না হলে তৃণমূলের ঝান্ডা হাতে নিয়ে অনিয়ম করতে পারতেন না !