আসানসোল, 17 নভেম্বর: গরুপাচার কাণ্ডে (WB Cattle Smuggling Scam) অন্যতম অভিযুক্ত তথা বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal) জেরা করতে আসানসোলের (Asansol) বিশেষ সংশোধনাগারে (Special Correctional Home) পৌঁছে গেল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেট (Enforcement Directorate) বা ইডি (ED)-এর প্রতিনিধিদল ৷ বৃহস্পতিবার বেলা 11টা 25 মিনিট নাগাদ সংশোধনাগারে পৌঁছে যান কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তিনজন প্রতিনিধি ৷ তাঁদের সঙ্গে বিভিন্ন নথি ছাড়াও রয়েছে ল্যাপটপ, প্রিন্টার এবং আরও অনেক কিছু ৷ ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ মনে করছে, এদিনের এই জেরা পর্ব দীর্ঘ হতে চলেছে ৷ কারণ, গরুপাচার মামলায় ইতিমধ্যেই একাধিকবার সিবিআই (CBI) জেরার মুখোমুখি পড়েছেন অনুব্রত ৷ কিন্তু, এর আগে ইডি তাঁকে জেরা করেনি ৷ যদিও অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে (Saigal Hossain) ইতিমধ্যেই দিল্লি নিয়ে গিয়েছে ইডি ৷ আপাতত সেখানেই সংশোধনাগারে বন্দি রয়েছেন অনুব্রতর এক সময়ের এই ছায়াসঙ্গী ৷ সেক্ষেত্রে প্রয়োজন বুঝলে অদূর ভবিষ্যতে অনুব্রতকেও দিল্লি নিয়ে যাওয়া হতে পারে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহলের একাংশ ৷
প্রসঙ্গত, গরুপাচার মামলায় অনুব্রতর আগেই গ্রেফতার করা হয় তাঁর দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে ৷ পরবর্তীতে সায়গলকে জেরা করেন ইডি আধিকারিকরা ৷ কিন্তু, জেরায় সায়গল তাঁদের সহযোগিতা করছিলেন না বলে অভিযোগ ৷ আর তার জেরেই সায়গলকে ট্রানজিট রিমান্ডে দিল্লি নিয়ে যাওয়া হয় ৷ ইডি-এর এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতায় আদালতের দ্বারস্থ হলেও কোনও লাভ হয়নি সায়গল হোসেনের ৷
আরও পড়ুন: অনুব্রতকে জেলে গিয়ে জেরা করবে ইডি, অস্ত্র সুকন্যার বয়ান
এদিকে, গরুপাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে সুকন্য়া মণ্ডলকে (Sukanya Mondal) জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি ৷ এর জন্য দফায় দফায় ইডি-এর দিল্লির সদর কার্যালয়ে তলব করা হয় সুকন্য়াকে ৷ সূত্রের দাবি, এই জিজ্ঞাসাবাদে খুশি নন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা ৷ তাঁদের দাবি, তদন্তে সেভাবে সহযোগিতা করছেন না সুকন্য়া ৷ অধিকাংশ প্রশ্নের উত্তরেই তিনি জানিয়েছেন, বিষয়টি তাঁর জানা নেই ৷ তবে, তাঁর বাবার কাছে এই প্রশ্নের উত্তর থাকতে পারে ! জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে অনুব্রত মণ্ডলের অ্য়াকাউন্ট্য়ান্ট-সহ বিভিন্ন ব্য়াংকের আধিকারিকদেরও ৷
এসবের সূত্র ধরেই এবার অনুব্রতকে জেরা করার প্রক্রিয়া শুরু করল ইডি ৷ এখন বীরভূমের এই দাপুটে তৃণমূল নেতাও যদি অধিকাংশ প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে যান, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধেও তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগ তুলতে পারে ইডি ৷ আর এই কারণ দেখিয়েই সায়গলের মতো অনুব্রতকেও দিল্লিতে নিয়ে যাওয়ার দাবি জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হতে পারেন সংস্থার আধিকারিকরা ৷