ETV Bharat / state

জল ছাড়া নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ খারিজ DVC-র

মূলত DVC-র মাইথন এবং পাঞ্চেত জলাধার থেকে জল ছাড়া হলে সেই জল গিয়ে দুর্গাপুর ব্যারেজে জমা হয় ৷ সেখান থেকে চূড়ান্ত জল ছাড়ার পর রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে বলে DVC সূত্রে জানা গিয়েছে ।

author img

By

Published : Jul 17, 2020, 10:39 PM IST

image
মাইথন

আসানসোল, 17 জুলাই : মাইথন আর পাঞ্চেত ৷ এই দুই বাঁধ থেকে ছাড়া জলে প্রায়ই প্লাবিত হয় দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকা ৷ সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেন, DVC রাজ্যকে না জানিয়ে জল ছাড়ে, ফলে প্লাবিত হয় দক্ষিণবঙ্গের নিচু এলাকা । তবে মুখ্যমন্ত্রীর এই দাবি মানতে নারাজ দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশন বা DVC ৷ চিফ ইঞ্জিনিয়র সত্যব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে তেমন জল এখনও ছাড়া হয়নি এই জলাধারগুলি থেকে । এছাড়া DVC-র সিদ্ধান্ত নেওয়ার কমিটিতে রাজ্যের চিফ ইঞ্জিনিয়রও আছেন । তাই রাজ্যকে না জানিয়ে জল ছাড়ার কোনও প্রশ্নই ওঠে না ।

প্রতিবছরই বর্ষায় DVC-র জল ছাড়া নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয় । DVC-র পাঞ্চেত এবং মাইথন জলাধার থেকে মাত্রাতিরিক্ত জল ছাড়ার ফলেই রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় বলে অভিযোগ করেন মুখ্যমন্ত্রী । তবে পুরো বিষয়টি কীভাবে নিয়ন্ত্রিত হয় তা খোঁজ নিলেন ETV ভারতের প্রতিনিধি ৷

image
মাইথন

মূলত DVC-র মাইথন এবং পাঞ্চেত জলাধার থেকে জল ছাড়া হলে সেই জল গিয়ে দুর্গাপুর ব্যারেজের জমা হয় ৷ সেখান থেকে চূড়ান্ত জল ছাড়ার পর রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে বলে DVC সূত্রে জানা গিয়েছে ।

বাংলা-ঝাড়খণ্ড সীমান্তে বরাকর এবং দামোদর নদীর উপর জুটি জলাধার মাইথন এবং পাঞ্চেত ৷ 1957 সালে 65 বর্গকিলোমিটার আয়তন জুড়ে বরাকর নদীর উপর তৈরি হয়েছিল মাইথন ড্যাম । অন্যদিকে 1959 সালে দামোদর নদীর উপর তৈরি হয় পাঞ্চেত ড্যাম । জলাধারটি দৈর্ঘ্য 6,777 মিটার । মাইথন ড্যামে জলস্তরের বিপদসীমা 495 ফুট । পাঞ্চেত ড্যামে জলস্তরের বিপদসীমা 425 ফুট ।

রাজ্যকে না জানিয়ে জল ছাড়ার প্রশ্নই নেই বলল DVC

DVC-র চিফ ইঞ্জিনিয়র সত্যব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় জানাচ্ছেন, ‘‘বর্তমানে মাইথনে 472 ফুট এবং পাঞ্চেতে 406 ফুট উচ্চতায় জল রয়েছে ৷ অর্থাৎ দুটি ক্ষেত্রেই বিপদসীমার নিচে রয়েছে জলস্তর ।’’ তার আরও দাবি, এই মরশুমে এখনও পর্যন্ত বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে এমন জল ছাড়া হয়নি । তবে প্রতিদিন 23 হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয় । এই জল ছাড়া হয় মূলত আসানসোল, দুর্গাপুর এবং ধানবাদ পৌরসভার পানীয় জল পরিষেবার জন্য । এছাড়া বিভিন্ন কারখানার, বিভিন্ন তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে এবং চাষের জন্য ওই জল ব্যবহার করা হয় ।

DVC-র চিফ ইঞ্জিনিয়র সত্যব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, 23 হাজার কিউসেকের উপরে জল ছাড়া হলে তবেই সেটা বন্যার সৃষ্টি করতে পারে ৷ সেক্ষেত্রে জল ছাড়ার 12 ঘণ্টা আগে ‘‘ফ্লাড অ্যালার্ট’’ দেওয়া হয় । তিনি জানান, ফ্লাড অ্যালার্ট দেওয়ার 12 ঘণ্টা পর জল ছাড়া হলে সেই জল নিচের এলাকায় পৌঁছাতে আরও 60 ঘণ্টা সময় লাগে । অর্থাৎ জল ছাড়ার 72 ঘণ্টা পর বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে । সে ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সময় পাওয়া যায় ।

শুধু তাই নয়, জল ছাড়ার কমিটিতে রয়েছেন পশ্চিমবঙ্গ এবং ঝাড়খণ্ডের চিফ ইঞ্জিনিয়ররা ৷ তাই কোনওভাবেই রাজ্যকে না জানিয়ে জল ছাড়ার প্রশ্ন ওঠে না ।

আসানসোল, 17 জুলাই : মাইথন আর পাঞ্চেত ৷ এই দুই বাঁধ থেকে ছাড়া জলে প্রায়ই প্লাবিত হয় দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকা ৷ সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেন, DVC রাজ্যকে না জানিয়ে জল ছাড়ে, ফলে প্লাবিত হয় দক্ষিণবঙ্গের নিচু এলাকা । তবে মুখ্যমন্ত্রীর এই দাবি মানতে নারাজ দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশন বা DVC ৷ চিফ ইঞ্জিনিয়র সত্যব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে তেমন জল এখনও ছাড়া হয়নি এই জলাধারগুলি থেকে । এছাড়া DVC-র সিদ্ধান্ত নেওয়ার কমিটিতে রাজ্যের চিফ ইঞ্জিনিয়রও আছেন । তাই রাজ্যকে না জানিয়ে জল ছাড়ার কোনও প্রশ্নই ওঠে না ।

প্রতিবছরই বর্ষায় DVC-র জল ছাড়া নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয় । DVC-র পাঞ্চেত এবং মাইথন জলাধার থেকে মাত্রাতিরিক্ত জল ছাড়ার ফলেই রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় বলে অভিযোগ করেন মুখ্যমন্ত্রী । তবে পুরো বিষয়টি কীভাবে নিয়ন্ত্রিত হয় তা খোঁজ নিলেন ETV ভারতের প্রতিনিধি ৷

image
মাইথন

মূলত DVC-র মাইথন এবং পাঞ্চেত জলাধার থেকে জল ছাড়া হলে সেই জল গিয়ে দুর্গাপুর ব্যারেজের জমা হয় ৷ সেখান থেকে চূড়ান্ত জল ছাড়ার পর রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে বলে DVC সূত্রে জানা গিয়েছে ।

বাংলা-ঝাড়খণ্ড সীমান্তে বরাকর এবং দামোদর নদীর উপর জুটি জলাধার মাইথন এবং পাঞ্চেত ৷ 1957 সালে 65 বর্গকিলোমিটার আয়তন জুড়ে বরাকর নদীর উপর তৈরি হয়েছিল মাইথন ড্যাম । অন্যদিকে 1959 সালে দামোদর নদীর উপর তৈরি হয় পাঞ্চেত ড্যাম । জলাধারটি দৈর্ঘ্য 6,777 মিটার । মাইথন ড্যামে জলস্তরের বিপদসীমা 495 ফুট । পাঞ্চেত ড্যামে জলস্তরের বিপদসীমা 425 ফুট ।

রাজ্যকে না জানিয়ে জল ছাড়ার প্রশ্নই নেই বলল DVC

DVC-র চিফ ইঞ্জিনিয়র সত্যব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় জানাচ্ছেন, ‘‘বর্তমানে মাইথনে 472 ফুট এবং পাঞ্চেতে 406 ফুট উচ্চতায় জল রয়েছে ৷ অর্থাৎ দুটি ক্ষেত্রেই বিপদসীমার নিচে রয়েছে জলস্তর ।’’ তার আরও দাবি, এই মরশুমে এখনও পর্যন্ত বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে এমন জল ছাড়া হয়নি । তবে প্রতিদিন 23 হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয় । এই জল ছাড়া হয় মূলত আসানসোল, দুর্গাপুর এবং ধানবাদ পৌরসভার পানীয় জল পরিষেবার জন্য । এছাড়া বিভিন্ন কারখানার, বিভিন্ন তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে এবং চাষের জন্য ওই জল ব্যবহার করা হয় ।

DVC-র চিফ ইঞ্জিনিয়র সত্যব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, 23 হাজার কিউসেকের উপরে জল ছাড়া হলে তবেই সেটা বন্যার সৃষ্টি করতে পারে ৷ সেক্ষেত্রে জল ছাড়ার 12 ঘণ্টা আগে ‘‘ফ্লাড অ্যালার্ট’’ দেওয়া হয় । তিনি জানান, ফ্লাড অ্যালার্ট দেওয়ার 12 ঘণ্টা পর জল ছাড়া হলে সেই জল নিচের এলাকায় পৌঁছাতে আরও 60 ঘণ্টা সময় লাগে । অর্থাৎ জল ছাড়ার 72 ঘণ্টা পর বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে । সে ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সময় পাওয়া যায় ।

শুধু তাই নয়, জল ছাড়ার কমিটিতে রয়েছেন পশ্চিমবঙ্গ এবং ঝাড়খণ্ডের চিফ ইঞ্জিনিয়ররা ৷ তাই কোনওভাবেই রাজ্যকে না জানিয়ে জল ছাড়ার প্রশ্ন ওঠে না ।

For All Latest Updates

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.