দুর্গাপুর, 20 অগস্ট: যারা তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত থাকবেন, তারা কোনওভাবেই সিন্ডিকেটের সঙ্গে জড়িত থাকতে পারবেন না, এমন হুঁশিয়ারি বারবার দেওয়া হয়েছে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে। কিন্তু তারপরেও জমির সিন্ডিকেট ব্যবসা নিয়েই রবিবাসরীয় সকাল থেকে উত্তপ্ত হয়ে উঠল দুর্গাপুরের ফরিদপুর থানা এলাকার সংখ্যালঘু জনজাতি অধ্যুষিত আরতি গ্রাম।
অভিযোগ, এখানে তৃণমূল আশ্রিত নেতাদের নেতৃত্বে জমি কেনাবেচাকে কেন্দ্র করে বেশ কয়েকটি সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে। তার মধ্যে অন্যতম একটি বেসরকারি সিন্ডিকেটের সাইট অফিসে তালা ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে আরতি গ্রামের তৃণমূল কংগ্রেসের দু'জন নেতার নেতৃত্বে। অভিযোগ, এই দু'জন নেতা ওই এলাকার সমস্ত জমি তাদেরকে বিক্রি করতে হবে বলে হুইপ জারি করেছেন। আর অন্যান্য জমি ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটকে ব্যবসা করতে দিচ্ছে না বলেও অভিযোগ ওই দুই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে।
শেখ মোবারক, শেখ মামুদ অভিযোগ জানিয়ে বলেন, "আরতি গ্রামের দু'জন তৃণমূল নেতা এলাকার মানুষের জমি জোর করে কম দামে নিয়ে নিচ্ছে।এরা দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানায় ঠিকা শ্রমিক সংগঠনের নেতৃত্ব দিচ্ছে আবার জমি ব্যবসা করছে। অথচ দলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যারা সিন্ডিকেটের সঙ্গে যুক্ত তারা কোনওভাবেই দলের নেতৃত্ব দিতে পারবেন না।" এদিকে রবিবার দুর্গাপুর ফরিদপুর থানার আরতি এলাকায় এক প্রোমোটার সংস্থার অফিসে তালা ঝোলালো আর এক প্রোমোটার গোষ্ঠীর লোকজন। যাকে ঘিরে বেশ উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়।
ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দুর্গাপুর ফরিদপুর থানার পুলিশ বাহিনী ও কমব্যাট ফোর্স । প্রভাবশালী তৃণমূল নেতাদের টাকা দিয়ে এলাকার জমি দখল করছে বলেও অভিযোগ। অন্যদিকে, শেখ মফিজুলের অভিযোগ, ওই সংস্থার লোকজন এলাকায় জমি দখল করার চেষ্টা চালাচ্ছে, এলাকায় সন্ত্রাস চালাচ্ছে। তাই গ্রামের মানুষ ক্ষোভে ওই অফিসে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রবিবার সকাল থেকেই উত্তেজনা দুর্গাপুরের সংখ্যালঘু জনজাতি অধ্যুষিত আরতী গ্রাম। পুলিশ পুরো ঘটনা তদন্ত শুরু করেছে।
আরও পড়ুন: মহানগরের জলাশয় চিহ্নিতকরণে তিন মাস সময় বেঁধে দিলেন মেয়র