দুর্গাপুর, 14 এপ্রিল: মৌচাকে ঢিল মেরেছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ৷ রাজ্যের সব মানুষ তাঁর পক্ষে আছেন ৷ দুর্গাপুরে গিয়ে দুর্নীতিতে নিয়ে রাজ্যকে একহাত নিয়ে এমনই দাবি করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ৷ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সফরের সময় তাঁর সঙ্গে রয়েছেন সুকান্ত ৷
আজ বীরভূম জেলা সফরে আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ । বীরভূম জেলার সিউড়িতে জনসভা ছাড়াও বেশকিছু অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী । দিল্লি থেকে বিশেষ বিমানে এসে তিনি নামেন দুর্গাপুরের অন্ডাল বিমানবন্দরে । তারপর সেখান থেকে সেনাবাহিনীর বিশেষ হেলিকপ্টারে করে যান সিউড়িতে । কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে এই সফরে রয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার । তাঁকেও শুক্রবার সকালেই দেখা যায় অন্ডাল বিমানবন্দরে ।
বিমানবন্দরে ঢোকার আগে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ফের দুর্নীতি প্রশ্নে রাজ্য সরকারকে একহাত নেন গেরুয়া শিবিরের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ৷ তিনি বলেন, "জাস্টিস গাঙ্গুলি মৌচাকে ঢিল মেরেছেন । তাই তাঁর বিরুদ্ধে উঠে পড়ে লেগেছে শাসক দল । জাস্টিস গাঙ্গুলির ভয় পাওয়ার কিছু নেই । তিনি যেভাবে একের পর এক সত্য তুলে ধরছেন, তাতে রাজ্যের মানুষ তাঁর সঙ্গে আছেন ।"
সম্প্রতি তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ থেকে শুরু করে শাসকদলের বহু নেতা বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন ৷ সেই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন, যাঁরা বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এ ভাবে প্রকাশ্যে সমালোচনা করছেন, তাঁরা আইনের অবমাননা করছেন । তাঁরা আদালতের অবমাননা করছেন । যাঁরা এ ভাবে বিচারপতির সমালোচনা করছেন, তাঁদের কোনও রায় মনঃপুত না হলে, তাঁরা উচ্চ আদালতে যেতে পারেন । কিন্তু এ ভাবে একজন বিচারপতির সমালোচনা করতে পারেন না । এটা আদালতের অবমাননা ।
সুকান্তর আবেদন, "আমি বিচারপতি গাঙ্গুলির কাছে এবং মহামান্য হাইকোর্টের কাছে অনুরোধ জানাব, যাঁরা এই ধরনের কথাবার্তা বলছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে সুয়োমোটো মামলা করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক ।"
নিয়োগ দুর্নীতিতে শাসক দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে বেশ কিছু কথা ইতিমধ্যেই বলেছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় । সেই প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে গেরুয়া শিবিরের রাজ্য সভাপতি মজুমদার বলেন, "অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম আসবে না তো কার নাম আসবে ? অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম তো চুরিতেই আসবে । এটাই তো স্বাভাবিক । তাঁর স্ত্রীর অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকেছে । তাঁর বিরুদ্ধে বহু অভিযোগ উঠেছে । এই ঘটনার তদন্ত হোক । তদন্তে যদি তিনি নির্দোষ প্রমাণিত হন, তাহলে সবার সামনে তিনি নির্দোষ হয়ে আসবেন ।"
নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ধৃতদের তদন্তকারী অফিসাররা ভয় দেখাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে । সেই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে সুকান্ত মজুমদারের পালটা তোপ, এ সব হচ্ছে ষড়যন্ত্র । কৌস্তভকে জেরার ভিডিয়োগ্রাফি করা আছে । তিনি আগে কেন বলেননি এ সব কথা ? এখন বলছেন তাঁকে নাকি ভয় দেখানো হচ্ছে ।
আরও পড়ুন: প্রয়োজনে অভিষেককে ডাকতে পারে ইডি-সিবিআই, কুন্তলের চিঠিতে নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের