দুর্গাপুর ,4 এপ্রিল : লকাডাউনের আজ 11 দিন । তবুও চিত্রটা পালটাল না দুর্গাপুরে । সেই গা ঘেঁষাঘেষি করে বাজার । চায়ের দোকানে জমায়েত । নেই সামাজিক দূরত্বের বালাই । পুলিশ শুধুই নীরব দর্শক ।
সামাজিক দূরত্ব না মেনে বাজারে জমায়েত করছিল একাংশ। তাই কয়েকদিন আগেই বেনাচিতি বাজারের কিছুটা অংশ অন্যত্র সরিয়ে দিয়েছিল পুলিশ । দুর্গাপুরের অন্যান্য বাজারও মাত্র কয়েক ঘণ্টা খোলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল । পুলিশের তরফে দুর্গাপুরের অলিতে গলিতে মাইকিং করে সতর্কবার্তা প্রচার করা হচ্ছিল । সেসব না মানায় পুলিশ কমিশনার নিজে পথে নেমে মানুষকে সচেতন করেন । কিন্তু তাতে কী ? সেসবকে না মেনেই বাজারে ভিড় জমাল সাধারণ মানুষ ।
দু'দিন আগে পুলিশ কমিশনার সুকেশ জৈন দুর্গাপুরের বেনাচিতি বাজার পরিদর্শনে আসেন । পরিস্থিতি দেখে তিনি পুলিশ, বণিকসভা ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলেন । জানান, পুলিশের পক্ষ থেকে নজরদারি চালানো হচ্ছে । কিন্তু তারপরও 11 নম্বর দিনে এসে দেখা গেল পুলিশ কমিশনারের কথায় কান দিল না কেউ । উৎসবের মেজাজে চলল বাজার । ফলের দোকানে উপচে পড়া ভিড় । সবাই কেনাকাটায় ব্যস্ত । আর পুলিশ শুধুই একটি গাড়ি নিয়ে বাজারের এদিক ওদিক ঘুরল । নজরদারি চললেও হল না কোনও লাভ ।
কোরোনা থাবায় যখন কাঁপছে বিশ্ব তখন কোরোনার আতঙ্কের সামান্যতম আঁচটুকু চোখে পড়ল না দুর্গাপুরের কোনও প্রান্তে । বণিকসভা, পুলিশ, সংবাদমাধ্যমের পক্ষ থেকে সচেতন করা হলেও কোনও পরিবর্তন দেখা গেল না । এই চিত্র দেখার পর দুর্গাপুরের একাংশ প্রশ্ন তুলছে, বাড়িতে থেকে আমরা যারা চেষ্টা করছি কোরোনা সংক্রমণ রুখতে, তাহলে কী আমাদের প্রচেষ্টা কাজে দেবে না ? ছড়িয়ে পড়বে কোরোনা ?