দুর্গাপুর, 2 জানুয়ারি: ঝাঁটা বালতি হাতে বিদ্যালয় সাফ করছে খুদে পড়ুয়ারা, সরাতে হচ্ছে ভারী ভারী বেঞ্চ, সোমবার বেলা 11টায় বিতর্কিত ছবি কাঁকসার খেড়োবাঢ়ি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৷ ক্ষোভে ফুঁসছেন অভিভাবকরা (Kanksa Primary School Situation) ।
রাজ্যজুড়ে শিক্ষক দুর্নীতি আবহে নতুন বিতর্কের মুখে কাঁকসার বনকাঠি পঞ্চায়েত এলাকার খেড়োবাঢ়ি আদিবাসী পাড়ার প্রাথমিক বিদ্যালয়। স্কুলে প্রথম শ্রেণি থেকে চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত 4টি ক্লাসে মোট 63 জন পড়ুয়া রয়েছে। রয়েছে 3 জন শিক্ষক। নেই অস্থায়ী কর্মী। যার জেরে রীতিমতো স্কুল সাফাই করতে হয় খুদে পড়ুয়াদেরই। ভারী ভারী বেঞ্চ এক ক্লাস থেকে অন্য ক্লাসে নিয়ে যেতে হয় ছাত্র-ছাত্রীদের।
এই ঠান্ডায় খালি পায়ে অনেককেই ভারী বেঞ্চ বহন করতে দেখা গেল। যে কোনও মুহূর্তে খুদে পড়ুয়াদের পায়ে বেঞ্চ পড়লে তারা আহত হতে পারে। স্কুলের উঠানের ধুলো ঝাঁট দিতে দেখা গেল ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের শীতের সাতসকালেই। স্কুলের যাবতীয় কাজও করানো হয় বলে অভিযোগ অভিভাবকদের । রাজ্যে যখন আদিবাসী শিক্ষায় জোর দিচ্ছে প্রশাসন সেই প্রেক্ষাপটে শিশুরা ঝাঁটা বালতি হাতে চতুর্থ শ্রেণির কর্মীর কাজ সামলাচ্ছে । যাবতীয় কাজ হচ্ছে টিচার ইনচার্জের নির্দেশে।
আরও পড়ুন: আদিবাসী গ্রাম দত্তক নিল মালদা মেডিক্যাল ! গ্রামবাসীদের লালন করবেন ভাবী ডাক্তার'রাই
অভিভাবকদের অভিযোগ স্কুলে চতুর্থ শ্রেণির কর্মী না-থাকায় তাঁদের বাচ্চাদের এইভাবে কাজ করানো হচ্ছে। নিজের সন্তানদের পড়াশোনার জন্য স্কুলে পাঠান, কিন্তু স্কুলে ঝাঁটা হাতে কাজ করার জন্য নয় ৷ টিচার ইনচার্জ উত্তম হাজরা জানান, স্কুলের দায়িত্ব পড়ুয়াদেরই নিতে হবে। স্কুলে কোনও অস্থায়ী কর্মীও নেই। সেই জন্য কাজ করে পড়ুয়ারা। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ জানে বলে উত্তমবাবু দাবি করেন।