ETV Bharat / state

রক্ত দিয়ে কিশোরীর জীবন বাঁচালেন হাসপাতালের নিরাপত্তারক্ষী

author img

By

Published : Nov 13, 2019, 8:18 AM IST

রক্তের গ্রুপ A নেগেটিভ। বাঁচাতে হলে যত শীঘ্র সম্ভব দিতে হবে এই গ্রুপের রক্ত । ঠিক তখনই সাহায্য করতে এগিয়ে এলেন হাসপাতালের নিরাপত্তারক্ষী । দিলেন রক্ত ।

নিরাপত্তারক্ষী

আসানসোল, 13 নভেম্বর : শরীরে হঠাৎই কমে যায় হিমোগ্লোবিনের মাত্রা । বাঁচানোর জন্য প্রয়োজন রক্তের । কিন্তু রক্তের গ্রুপ যে A নেগেটিভ । কোথা থেকে পাওয়া যাবে এই গ্রুপের রক্ত ? তাও বাড়ির মেয়েকে বাঁচাতে হন্যে হয়ে রক্ত খুঁজতে শুরু করে পরিবারের সদস্যরা । ঠিক তখনই এগিয়ে আসেন হাসপাতালের অস্থায়ী নিরাপত্তারক্ষী । জানান, তাঁরও রক্তের গ্রুপ A নেগেটিভ । আসানসোল জেলা হাসপাতালের ঘটনা ।

কুলটির কেন্দুয়া বাজারের বাসিন্দা পূজা কুমারী । দিন সাতেক আগে আসানসোল জেলা হাসপাতালে জন্ডিস নিয়ে ভরতি হয় । গতকাল হঠাৎই তার রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কমে যায় । চিকিৎসকরা জানান, পূজাকে অবিলম্বে রক্ত দিতে হবে । আর এখানেই তৈরি হয় সমস্যা । আসলে পূজার রক্তের গ্রুপ A নেগেটিভ । এই গ্রুপের রক্ত খুব কম সংখ্যক মানুষেরই থাকে । তাই এই গ্রুপের রক্ত সহজে পাওয়া যায় না । কিন্তু বাড়ির মেয়েকে বাঁচাতে A- গ্রুপের রক্ত খুঁজতে শুরু করে দেয় পরিবারের সদস্যরা ।

অন্যদিকে সন্ধের শিফটে হাসপাতালে ডিউটিতে আসেন অস্থানীয় নিরাপত্তারক্ষী রাকেশ সিং । তিনি অন্য এক হাসপাতাল কর্মী প্রসেনজিৎ বাউরির কাছে পুরো বিষয়টি শোনেন । তিনি জানান, তাঁর রক্তের গ্রুপও A- এবং তিনি রক্ত দিতে প্রস্তুত । রাকেশের মঞ্জুরি পাওয়ার পরই হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্কে রক্ত নেওয়ার ব্যবস্থা শুরু হয়ে যায় । যথাসময়ে রক্ত দেওয়ায় এখন সুস্থ পূজা কুমারী ।

হাসপাতালের নিরাপত্তারক্ষীর এই উদ্যোগে খুশি কর্তৃপক্ষ । তাঁকে শুভেচ্ছাও জানানো হয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে । এর আগে এই আসানসোল জেলা হাসপাতালে রক্ত সংকটে এগিয়ে এসেছেন চিকিৎসক থেকে শুরু করে স্বাস্থ্যকর্মী ও নার্সরা । এবার এই কাজে এগিয়ে এলেন একজন নিরাপত্তারক্ষী ।

আসানসোল, 13 নভেম্বর : শরীরে হঠাৎই কমে যায় হিমোগ্লোবিনের মাত্রা । বাঁচানোর জন্য প্রয়োজন রক্তের । কিন্তু রক্তের গ্রুপ যে A নেগেটিভ । কোথা থেকে পাওয়া যাবে এই গ্রুপের রক্ত ? তাও বাড়ির মেয়েকে বাঁচাতে হন্যে হয়ে রক্ত খুঁজতে শুরু করে পরিবারের সদস্যরা । ঠিক তখনই এগিয়ে আসেন হাসপাতালের অস্থায়ী নিরাপত্তারক্ষী । জানান, তাঁরও রক্তের গ্রুপ A নেগেটিভ । আসানসোল জেলা হাসপাতালের ঘটনা ।

কুলটির কেন্দুয়া বাজারের বাসিন্দা পূজা কুমারী । দিন সাতেক আগে আসানসোল জেলা হাসপাতালে জন্ডিস নিয়ে ভরতি হয় । গতকাল হঠাৎই তার রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কমে যায় । চিকিৎসকরা জানান, পূজাকে অবিলম্বে রক্ত দিতে হবে । আর এখানেই তৈরি হয় সমস্যা । আসলে পূজার রক্তের গ্রুপ A নেগেটিভ । এই গ্রুপের রক্ত খুব কম সংখ্যক মানুষেরই থাকে । তাই এই গ্রুপের রক্ত সহজে পাওয়া যায় না । কিন্তু বাড়ির মেয়েকে বাঁচাতে A- গ্রুপের রক্ত খুঁজতে শুরু করে দেয় পরিবারের সদস্যরা ।

অন্যদিকে সন্ধের শিফটে হাসপাতালে ডিউটিতে আসেন অস্থানীয় নিরাপত্তারক্ষী রাকেশ সিং । তিনি অন্য এক হাসপাতাল কর্মী প্রসেনজিৎ বাউরির কাছে পুরো বিষয়টি শোনেন । তিনি জানান, তাঁর রক্তের গ্রুপও A- এবং তিনি রক্ত দিতে প্রস্তুত । রাকেশের মঞ্জুরি পাওয়ার পরই হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্কে রক্ত নেওয়ার ব্যবস্থা শুরু হয়ে যায় । যথাসময়ে রক্ত দেওয়ায় এখন সুস্থ পূজা কুমারী ।

হাসপাতালের নিরাপত্তারক্ষীর এই উদ্যোগে খুশি কর্তৃপক্ষ । তাঁকে শুভেচ্ছাও জানানো হয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে । এর আগে এই আসানসোল জেলা হাসপাতালে রক্ত সংকটে এগিয়ে এসেছেন চিকিৎসক থেকে শুরু করে স্বাস্থ্যকর্মী ও নার্সরা । এবার এই কাজে এগিয়ে এলেন একজন নিরাপত্তারক্ষী ।

Intro:দুস্প্রাপ্য রক্ত দিয়ে কিশোরির জীবন বাঁচালেন হাসপাতালের নিরাপত্তারক্ষী

দুষ্প্রাপ্য রক্ত দিয়ে দিয়ে কিশোরীর জীবন বাঁচালেন হাসপাতালে নিরাপত্তারক্ষী। ঘটনাটি ঘটেছে আসানসোল জেলা হাসপাতালে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন কিশোরী পূজা কুমারীকে(১৬) এ নেগেটিভ রক্ত দিয়ে জীবন বাঁচালেন হাসপাতালে নিরাপত্তারক্ষী রাকেশ সিং।
দিন ছয়েক আগে আসানসোল জেলা হাসপাতালে জন্ডিস নিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন কুলটির কেন্দুয়া বাজার অঞ্চলের বাসিন্দা পূজা কুমারী। আজ হঠাৎই তার রক্তের হিমোগ্লোবিনের মাত্রা 4.5 হয়ে যায়। অবিলম্বে তাকে রক্ত দেওয়ার কথা জানান চিকিৎসকরা। কিন্তু পূজা কুমারীর রক্তের গ্রুপ এ নেগেটিভ। সহজে সে রক্ত পাওয়া যায় না। এদিক-ওদিক সন্ধান করছিলেন রোগীর পরিবারের লোকেরা। যখন তারা হন্যে হয়ে রক্তের জন্য দৌড়াদৌড়ি করছেন, তখনই যেন ত্রাতার ভূমিকায় এলেন হাসপাতালে অস্থায়ী নিরাপত্তারক্ষী রাকেশ সিং। আজ সন্ধ্যার শিফটে হাসপাতালে চাকরি করতে এসেছিলেন রাকেশ সিং। তখনই হাসপাতালে কর্মী প্রসেনজিৎ বাউরীর কাছে তিনি শুনতে পান পুজা কুমারি নামে ওই কিশোরীর এ নেগেটিভ রক্তের দরকার। রাকেশ নিজেই জানান যে তার রক্তের গ্রুপ এ নেগেটিভ এবং তিনি রক্ত দিতে প্রস্তুত। তড়িঘড়ি হাসপাতালের ব্লাড ব্যাংকে রক্ত নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়।
রাকেশ সিংয়ের এই মানবিক উদ্যোগ দেখে তাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন আসানসোল জেলা হাসপাতালের সমস্ত কর্মীরাই।
আসানসোল জেলা হাসপাতালে রক্ত সংকটে বারেবারেই এগিয়ে এসেছেন হাসপাতালের চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী ও নার্সরা। এবার অস্থায়ী নিরাপত্তারক্ষীও রক্ত দিয়ে নজির গড়লেন। বর্তমানে পুজা কুমারী নামে ওই কিশোরি সুস্থ আছেন বলে আসানসোল জেলা হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে রক্ত দেওয়ার পরেও নিজের কাজের দায়িত্ব থেকে বিচলিত হননি রাকেশ। নিয়মমেনেই হাসপাতালের নিরাপত্তার দায়িত্ব সামলেছেন তিনি।

Body:..Conclusion:

For All Latest Updates

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.