দুর্গাপুর, ১৮ ফেব্রুয়ারি : তথ্য পাচারের অভিযোগে গ্রেপ্তার হলেন CMERI(সেন্ট্রাল মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট)-র বিজ্ঞানী ডঃ রুদ্র চ্যাটর্জি। গতকাল দমদমের বাসভবন থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আজ তাঁকে দুর্গাপুর আদালতে পেশ করা হয়। সংস্থার ডিরেক্টর ডঃ হরিশ হিরানীর বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপ ও নিযোগ সংক্রান্তে দুর্নীতির পালটা অভিযোগ এনেছেন তিনি। তবে সেই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন ডঃ হিরানী।
কিছুদিন আগে CMERI-র ক্যাম্পাস থেকে গাছ কেটে তা পাচারের খবর প্রকাশ্যে আসে। সংবাদমাধ্যমের মাধ্যমে প্রকাশ্যে আসে CMERI-র গোপন নথি। হইচই পড়ে যায় CMERI-র অন্দরে। সংস্থার পক্ষ থেকে দুর্গাপুর থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। তবে বিশেষ কারোর নামে অভিযোগ দায়ের হয়নি।
তদন্তে নেমে গতকাল দমদমের বাসভবন থেকে ডঃ রুদ্র চ্যাটার্জিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আজ তাঁকে দুর্গাপুর আদালতে তোলা হয়। ডঃ রুদ্র চ্যাটার্জি বলেন, "আমাকে সাক্ষী দিতে হবে বলে নিয়ে আসা হয়েছে। আমার বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ নেই। আমি CMERI-এর অনেক তথ্য জেনে ফেলেছিলাম। তাই ডিরেক্টর ডঃ হরিশ হিরানী চক্রান্ত করে আমায় ফাঁসিয়েছেন। অন্যায়ভাবে লুধিয়ানাতে বদলিও করে দেওয়া হয়েছে।"
তবে পুলিশ সূত্রে খবর, ডঃ চ্যাটার্জির মেইল থেকে অনেক গোপন তথ্য পাচার হয়েছে। তাই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে ড. চ্যাটার্জি বলেন, "আমার ID থেকে কিছু পাচার হয়নি। চাইলে আপনারা তা দেখতে পারেন।"
CMERI-এর ডিরেক্টর ডঃ হরিশ হিরানী বলেন, "আমি কেন ডঃ রুদ্র চ্যাটার্জিকে ফাঁসাতে যাব ? গ্রেপ্তারের কথাও উনি আমায় জানাননি। গাছ কেটে পাচারের ঘটনার তদন্ত হচ্ছে।" ডঃ রুদ্র চ্যাটার্জির ট্রান্সফার প্রসঙ্গে বলেন, "উনি উচ্চ আদালতে গেছিলেন। উচ্চ আদালত ট্রান্সফারের পক্ষেই রায় দিয়েছে। আমি কেন তাঁকে ফাঁসাতে যাব ?"