আসানসোল, 4 অক্টোবর: প্রাচীন প্রথায় কুলটির মিঠানী গ্রামে চক্রবর্তী দুর্গা মন্দিরে সন্ধিক্ষণ নির্ধারিত হয় জলঘড়ির মাধ্যমে । শুধু তাই নয়, চক্রবর্তী মন্দির থেকে সন্ধি ডাক পৌঁছয় বার্তা বাহকদের মাধ্যমে রিলে সিস্টেমে । 250 বছরের বেশি সময় ধরে এই প্রথা হয়ে আসছে এখানে ।
প্রাচীন প্রথা রয়েছে কুলটির চক্রবর্তী পরিবারে সন্ধিক্ষণের সময় । 'সন্ধি' উচ্চারিত হলে সেই ডাক আশেপাশের 5টি গ্রামে পৌঁছলে তবেই সেখানে সন্ধিক্ষণ হয় । প্রাচীনকালে তোপ দেগে, বন্দুক ফাটিয়ে এই সন্ধিডাকের জানান দেওয়া হত বিভিন্ন জায়গায় । কিন্তু মোবাইলের যুগে মিঠানী গ্রাম থেকে এই সন্ধি ডাক পৌঁছয় গ্রামে গ্রামে বার্তা বাহকদের মাধ্যমে রিলে সিস্টেমে (Sandhi Puja of Chakraborty family in Asansol) ।
অর্থাৎ চক্রবর্তী মন্দির থেকে নির্দিষ্ট দূরত্বে লাইন দিয়ে ওই গ্রামগুলো পর্যন্ত বাসিন্দারা দাঁড়িয়ে থাকে । চক্রবর্তী মন্দিরে সন্ধি উচ্চারিত হলে, তারাও একে অন্যের মাধ্যমে চিৎকার করে সেই সন্ধি ডাক নিয়ে যায় নিজেদের মন্দিরে । কয়েক সেকেন্ডেই নাকি সেই ডাক পৌঁছে যায় ।
প্রায় 250 বছরের বেশি সময় ধরে এই প্রথা চলে আসছে । তবে চক্রবর্তী মন্দিরে সন্ধি নির্ধারণ হয় জলঘড়ির মাধ্যমে । জল ভর্তি পাত্রের মধ্যে একটি তামার বাটি রাখা হয় । সেই তামার বাটিতে একটি সূচাকৃত ছিদ্র থাকে । সেই ছিদ্র দিয়ে জল চুইয়ে বাটি জলের মধ্যে ডুবে যায় । গনক থাকেন একজন । তিনি হিসাব করে বলে দেন কতবার বাটি ডুবলে সন্ধিক্ষণ হবে । সেই মতো তাঁর গণনায় একেবারে নির্ভুল সময়ে সন্ধিক্ষণ নির্ধারিত হয় ।
আরও পড়ুন: বার্নপুর নববিকাশ ক্লাবের এবারের থিম 'রাজনন্দিনীর রাজকীয় আগমন'
250 বছরের বেশি সময় ধরে সেই প্রথা এখনও প্রচলিত রয়েছে ৷ আর চক্রবর্তী পরিবারের এই সন্ধিপুজো দেখতে দূর দূরান্ত থেকে মানুষের ভিড় জমে । এ বছরেও তার অন্যথা হয়নি (Durga Puja 2022) ৷