শক্তিগড়, 25 অগস্ট: দিনে দুপুরে সোনার দোকানে ঢুকে গুলি চালানোর অভিযোগ দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ঘটনায় দোকান মালিক আহত হয়েছেন বলেও জানা গিয়েছে। শুক্রবার বেলার দিকে বর্ধমানের শক্তিগড়ের জোতরাম এলাকার এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় শক্তিগড় থানার পুলিশ। নিজে ঘটনাস্থলে যান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কল্যাণ সিংহ রায়।
বৃহস্পতিবার থেকে নাগাড়ে বৃষ্টি শুরু হয়েছে জেলার বিভিন্ন এলাকায়। এদিন সকাল থেকেও অন্যান্য জায়গার মতো জোতরাম এলাকাতেও চলছে বৃষ্টি। ফলে রাস্তাঘাট কিছুটা হলেও ফাঁকা। আর সেই সুযোগেই এদিন বেলা প্রায় 12টা নাগাদ জোতরামের একটি সোনার দোকানে ক্রেতা সেজে বাইকে চেপে দুষ্কৃতীরা আসে। একজন দোকানে ঢুকলেও বাইরে রাস্তায় একজন বাইক নিয়ে দাঁড়িয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। এক দুষ্কৃতী দোকানে ঢুকে সোনার গহনা দেখতে দেখতে হঠাৎ সেই গহনাগুলি নিয়ে পালানোর চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। দোকান মালিক সদীপ দাস তাকে জাপটে ধরে বাধা দেওয়ারও চেষ্টা করে। এরপরই ওই দুষ্কৃতী রিভালবার দেখিয়ে সোনা লুঠের চেষ্টা করে বলে অভিযোগ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এরপরই ওই দুষ্কৃতী গুলি চালায়। দোকান মালিকের পেটে গুলি লাগে। সেই গুলির আওয়াজ শুনে আশেপাশের মানুষজন ছুটে গেলে ওই দুষ্কৃতী ফের গুলি চালানোর ভয় দেখায় বলে অভিযোগ। সকলে সরে গেলে ওই দুষ্কৃতী পাশের ঝোপে গা ঢাকা দেয় বলে জানা গিয়েছে। পরে বাইকে চেপে পালিয়ে যায় তারা। আহত দোকানদারকে উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। পরে তাকে এক বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় শক্তিগড় থানার পুলিশ। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: দুর্গাপুরে লটারির আড়ালে 'ঘুঁটি খেলা', গ্রেফতার চার কিংপিন
স্থানীয় দোকানদার বিপুল চ্যাটার্জি বলেন, "খদ্দের সেজে একজন সোনার দোকানে ঢোকে। জাতীয় সড়কের ধারে বাইক নিয়ে অন্য একজন দাঁড়িয়ে ছিল। তারপর রিভালবার দেখিয়ে ডাকাতির চেষ্টা করতে গেলে দোকান মালিক বাধা দেওয়ায় সে গুলি চালায়। গুলির আওয়াজ শুনে বেরিয়ে আসি। দোকান মালিক আহত হয়েছেন।" দোকানদারের প্রতিবেশি নিরঞ্জন হালদার বলেন, "সোনার দোকানে ডাকাতির চেষ্টা হয়েছে। দোকান মালিক সদীপ দাস আহত হয়েছেন। সেই খবর শুনে বাড়ির লোককে সঙ্গে নিয়ে আসি। তাকে প্রথমে সরকারি হাসপাতাল ও পরে বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি করা হয়। দিনে দুপুরে যদি এইভাবে গুলি চালিয়ে ডাকাতির চেষ্টা হয় সেটা তো আতঙ্কের বিষয়। ফলে নিরাপত্তাহীনতায় আমরা ভুগছি।" অন্যদিকে, পুলিশ জানিয়েছে কীভাবে এই ঘটনা ঘটল তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।