দুর্গাপুর, 22 মার্চ: রবিবার দুর্গাপুরের কড়ুরিয়া এলাকার দুই শিশু-সহ একই পরিবারের চারজনের রহস্যজনকভাবে বাড়ির ভিতর থেকে দেহ উদ্ধারের ঘটনায় শোকস্তব্ধ এলাকা। পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবিতে এবং এই ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের কঠোর শাস্তির দাবি তুলে কুরুরিয়া এলাকাজুড়ে মঙ্গলবার সন্ধায় মৌন মিছিলে সামিল হলেন এলাকাবাসী (Ralley for Justice over Bodies Recovered) ৷
রবিবার সকালে রহস্যজনকভাবে উদ্ধার হয় দম্পতি অমিত কুমার মণ্ডল, রূপা মণ্ডল এবং তাঁদের দুই সন্তান নিকিতা ও নিমিত কুমারে দেহ। এলাকার মানুষ এই মৌন মিছিলে অংশ নেয় এবং পূর্ণাঙ্গ তদন্তের এবং এই ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের কঠোর শাস্তির দাবি তোলে। মৌন মিছিল শেষে মোমবাতি জ্বালিয়ে নীরবতা পালন করা হয়। ইতিমধ্যেই 20 জনের নামে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে দুর্গাপুর থানায়। গ্রেফতার হয়েছে মৃত অমিত কুমার মণ্ডলের মা বুলা রানি ও মামাতো দাদা প্রশান্ত নায়েক ও মামাতো বউদি শিলা নায়েক।
তবে এই ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের সকলকে গ্রেফতার করতে হবে এবং কঠোর শাস্তি দিতে হবে এই দাবি তুলে মৌন মিছিল করা হয় এলাকাজুড়ে। এই রহস্যজনক মৃত্যুর সত্য উদঘাটনের জন্য মানুষ উদগ্রীব। দুর্গাপুর থানার পুলিশের তদন্তে প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যার সূত্র উঠে এলেও এলাকার বাসিন্দাদের দাবি এই মৃত্যুর পিছনে ষড়যন্ত্র রয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা খোকন পাল বলেন, "আমাদের পুলিশের উপর সম্পূর্ণ আস্থা রয়েছে। পুলিশ প্রথম দিন থেকে আমাদের সর্বতোভাবে সহায়তা করছে। আমরা চাই পুলিশের তদন্তে প্রকৃত সত্য উঠে আসুক। সোশাল মিডিয়াতে মৃত্যুর আগে অমিত কুমার মণ্ডল যাদের নাম লিখে দিয়ে গিয়েছে আমরা সমবেতভাবে তাদের কড়া শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। আমাদের এলাকার সমস্ত বাসিন্দারা আজি মৌন মিছিলে সামিল হয়েছেন ৷"
আরও পড়ুন: দুর্গাপুরের ঘটনায় অমিতের সোশাল মিডিয়া পোস্টে সম্পত্তি-বিবাদের প্রসঙ্গ
উল্লেখ্য, মৃত অমিত কুমার মণ্ডলের মৃত্যুর আগে তাঁর পরিবারের উপরে মানসিক নির্যাতন চালাচ্ছিল মা, বোন, বোনের বর-সহ মামার বাড়ির বেশ কয়েকজন বলে জানা গিয়েছে ৷ সকলের বিরুদ্ধে মৃত রূপা মণ্ডলের বাপের বাড়ির লোকজন দুর্গাপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। তার ভিত্তিতে তদন্ত নেমে এখনও পর্যন্ত অমিতের মা-সহ মোট তিনজনকে গ্রেফতার করে পুলিশি হেফাজতে নিয়েছে। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।