ETV Bharat / state

Student Dearth in Chittaranjan: রেলের উচ্ছেদ অভিযানে ঝাড়খণ্ডে আশ্রয় বাসিন্দাদের, পড়ুয়া কমছে চিত্তরঞ্জনের স্কুলে

author img

By

Published : Feb 28, 2023, 6:46 PM IST

রেলের উচ্ছেদ (Railway eviction) অভিযানের কারণে সীমানা পেরিয়ে ঝাড়খণ্ডে আশ্রয় নিচ্ছেন বাসিন্দারা ৷ তার ফলে চিত্তরঞ্জনের স্কুলে তলানিতে এসে ঠেকেছে পড়ুয়ার সংখ্যা (Students Reduced in Chittaranjan School)৷

chittaranjan school ETV Bharat
পড়ুয়া কমছে চিত্তরঞ্জনের স্কুলে
পড়ুয়া কমছে চিত্তরঞ্জনের স্কুলে

চিত্তরঞ্জন, 28 ফেব্রুয়ারি: সুপ্রিম কোর্টের নিয়ম অনুযায়ী, সরকারি জমি পুনরুদ্ধার করতে নেমেছে রেল । এর ফলে রেলের জমি দখল করে থাকা বিভিন্ন খাটাল, বস্তি উচ্ছেদ (Railway eviction) করা হচ্ছে । বাদ যায়নি চিত্তরঞ্জন রেল শহর । রেল শহরের বিভিন্ন খাটাল এবং বস্তি উচ্ছেদের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে । তবে এর ফল ভোগ করছে সরকারি স্কুলগুলি । বিভিন্ন খাটাল, বস্তি অঞ্চল থেকে যে নিম্নবিত্ত পরিবারের ছাত্রছাত্রীরা সরকারি স্কুলে পড়তে আসত, তারা এলাকা ছেড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে স্কুল ছেড়ে চলে যাচ্ছে । যার ফলে তলানিতে এসে ঠেকেছে চিত্তরঞ্জন রেলশহরের সরকারি স্কুলে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ।

চিত্তরঞ্জন শহরের একেবারে প্রান্তিক অঞ্চলে অবস্থিত সিমজুড়ি প্রাথমিক বিদ্যালয় (Students Reduced in Chittaranjan School)। বাংলা-ঝাড়খণ্ড সীমানায় অবস্থিত এই স্কুল কোনওভাবে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে । খাতায় কলমে দেখানো হচ্ছে 32 জন ছাত্রছাত্রী । কিন্তু স্কুলে আসে 8 থেকে 10 জন । বাকিরা কোথায় কেউ জানে না ।

এলাকায় গিয়ে জানা গেল, চিত্তরঞ্জন শহরে যে বস্তি এবং খাটাল রয়েছে, সেই পরিবারগুলির ছাত্রছাত্রীরা মূলত এই স্কুলে পড়তে আসত । সম্প্রতি বেশ কয়েকটি খাটালকে উচ্ছেদ করা হয়েছে রেলের পক্ষ থেকে । আর যার ফলে ওই পরিবারগুলি সীমানা পেরিয়ে ঝাড়খণ্ডের মিহিজামের দিকে চলে গিয়েছে । ফলে অজয় নদ ডিঙিয়ে ছাত্রছাত্রীরা স্কুলে ওই পাড় থেকে এই পাড়ে পড়তে আসছে না ।

খাটালের যত শিশু এখানে পড়তে আসত, তাদের একটা বৃহৎ অংশ চলে গিয়েছে ঝাড়খণ্ডে । বর্তমানে কয়েকটি বস্তির শিশু আসে । কিন্তু সেই বস্তিগুলিও উচ্ছেদ করা হবে বলে শোনা যাচ্ছে । ফলে আগামী দিনে আর এই সিমজুড়ি বিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রী আসবে কি না, সেই আশঙ্কা দানা বেঁধেছে শিক্ষিকাদের মনে ।

দুজন শিক্ষিকা রয়েছেন স্কুলে ৷ তাঁদের মধ্যেও গা ছাড়া ভাব । একই ঘরের মধ্যে সব শ্রেণি একসঙ্গে পড়ানো হচ্ছে । স্কুলের টিচার ইন চার্জ চৈতালি মণ্ডল স্কুলে আসছেন না দীর্ঘদিন । তাঁর ছেলের পরীক্ষা বলে ছুটি নিয়েছেন । তাঁর বদলে অন্য এক মহিলা এসে স্কুলে ক্লাস নিচ্ছেন । অন্য একজন যিনি শিক্ষিকা রয়েছেন তাঁর নাম মিলি সরকার । তাঁকে কোনও কিছু জিজ্ঞেস করা হলেই, তিনি সব টিচার ইন চার্জ জানেন বলে পাশ কাটাচ্ছেন ।

আরও পড়ুন: শিক্ষক ছাড়াই চলছে স্কুল, মিড-ডে মিল খেয়ে বাড়ি যাচ্ছে পড়ুয়ারা

যদিও স্কুলের পরিকাঠামো একেবারে ঠিকঠাক রয়েছে । ছাত্রছাত্রীদের জন্য রয়েছে বসার ভালো বেঞ্চ । মিড ডে মিলের জন্য আলাদা কক্ষ, শৌচাগার, পানীয় জল সমস্ত কিছুর ব্যবস্থা রয়েছে এই স্কুলে । কিন্তু ছাত্রছাত্রী নেই । শিক্ষিকাদেরও উদ্যোগ নেই এলাকায় বেরিয়ে ছাত্রছাত্রী জোগাড় করে নিয়ে আসার ।

শিক্ষিকা মিলি পাল জানালেন, যেহেতু চিত্তরঞ্জন একটি সুরক্ষিত শহর, সেই কারণে বাইরের লোকজন এখানে আসতে পারে না । চিত্তরঞ্জন রেল শহরের মধ্যে যে সমস্ত বস্তি এবং নিম্নবিত্ত পরিবারগুলি রয়েছে, তাদের ছেলেমেয়েরা স্কুলে পড়তে আসত । কোনও রেলকর্মীর ছেলেমেয়েরা এখানে পড়ে না । ফলে বস্তি উচ্ছেদ হয়ে গেলে আগামী দিনে ছাত্রছাত্রী পাওয়া যাবে কি না, সে বিষয়ে সন্দেহ রয়েছে ৷

সালানপুর ব্লকের স্কুল পরিদর্শক পাপিয়া মুখোপাধ্যায়ের কাছে যাওয়া হলে তিনি ক্যামেরার সামনে কিছু বলতে রাজি হননি । তাঁর বক্তব্য, উচ্চ আধিকারিকদের কাছে সবই জানানো হয়েছে ।

পড়ুয়া কমছে চিত্তরঞ্জনের স্কুলে

চিত্তরঞ্জন, 28 ফেব্রুয়ারি: সুপ্রিম কোর্টের নিয়ম অনুযায়ী, সরকারি জমি পুনরুদ্ধার করতে নেমেছে রেল । এর ফলে রেলের জমি দখল করে থাকা বিভিন্ন খাটাল, বস্তি উচ্ছেদ (Railway eviction) করা হচ্ছে । বাদ যায়নি চিত্তরঞ্জন রেল শহর । রেল শহরের বিভিন্ন খাটাল এবং বস্তি উচ্ছেদের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে । তবে এর ফল ভোগ করছে সরকারি স্কুলগুলি । বিভিন্ন খাটাল, বস্তি অঞ্চল থেকে যে নিম্নবিত্ত পরিবারের ছাত্রছাত্রীরা সরকারি স্কুলে পড়তে আসত, তারা এলাকা ছেড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে স্কুল ছেড়ে চলে যাচ্ছে । যার ফলে তলানিতে এসে ঠেকেছে চিত্তরঞ্জন রেলশহরের সরকারি স্কুলে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ।

চিত্তরঞ্জন শহরের একেবারে প্রান্তিক অঞ্চলে অবস্থিত সিমজুড়ি প্রাথমিক বিদ্যালয় (Students Reduced in Chittaranjan School)। বাংলা-ঝাড়খণ্ড সীমানায় অবস্থিত এই স্কুল কোনওভাবে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে । খাতায় কলমে দেখানো হচ্ছে 32 জন ছাত্রছাত্রী । কিন্তু স্কুলে আসে 8 থেকে 10 জন । বাকিরা কোথায় কেউ জানে না ।

এলাকায় গিয়ে জানা গেল, চিত্তরঞ্জন শহরে যে বস্তি এবং খাটাল রয়েছে, সেই পরিবারগুলির ছাত্রছাত্রীরা মূলত এই স্কুলে পড়তে আসত । সম্প্রতি বেশ কয়েকটি খাটালকে উচ্ছেদ করা হয়েছে রেলের পক্ষ থেকে । আর যার ফলে ওই পরিবারগুলি সীমানা পেরিয়ে ঝাড়খণ্ডের মিহিজামের দিকে চলে গিয়েছে । ফলে অজয় নদ ডিঙিয়ে ছাত্রছাত্রীরা স্কুলে ওই পাড় থেকে এই পাড়ে পড়তে আসছে না ।

খাটালের যত শিশু এখানে পড়তে আসত, তাদের একটা বৃহৎ অংশ চলে গিয়েছে ঝাড়খণ্ডে । বর্তমানে কয়েকটি বস্তির শিশু আসে । কিন্তু সেই বস্তিগুলিও উচ্ছেদ করা হবে বলে শোনা যাচ্ছে । ফলে আগামী দিনে আর এই সিমজুড়ি বিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রী আসবে কি না, সেই আশঙ্কা দানা বেঁধেছে শিক্ষিকাদের মনে ।

দুজন শিক্ষিকা রয়েছেন স্কুলে ৷ তাঁদের মধ্যেও গা ছাড়া ভাব । একই ঘরের মধ্যে সব শ্রেণি একসঙ্গে পড়ানো হচ্ছে । স্কুলের টিচার ইন চার্জ চৈতালি মণ্ডল স্কুলে আসছেন না দীর্ঘদিন । তাঁর ছেলের পরীক্ষা বলে ছুটি নিয়েছেন । তাঁর বদলে অন্য এক মহিলা এসে স্কুলে ক্লাস নিচ্ছেন । অন্য একজন যিনি শিক্ষিকা রয়েছেন তাঁর নাম মিলি সরকার । তাঁকে কোনও কিছু জিজ্ঞেস করা হলেই, তিনি সব টিচার ইন চার্জ জানেন বলে পাশ কাটাচ্ছেন ।

আরও পড়ুন: শিক্ষক ছাড়াই চলছে স্কুল, মিড-ডে মিল খেয়ে বাড়ি যাচ্ছে পড়ুয়ারা

যদিও স্কুলের পরিকাঠামো একেবারে ঠিকঠাক রয়েছে । ছাত্রছাত্রীদের জন্য রয়েছে বসার ভালো বেঞ্চ । মিড ডে মিলের জন্য আলাদা কক্ষ, শৌচাগার, পানীয় জল সমস্ত কিছুর ব্যবস্থা রয়েছে এই স্কুলে । কিন্তু ছাত্রছাত্রী নেই । শিক্ষিকাদেরও উদ্যোগ নেই এলাকায় বেরিয়ে ছাত্রছাত্রী জোগাড় করে নিয়ে আসার ।

শিক্ষিকা মিলি পাল জানালেন, যেহেতু চিত্তরঞ্জন একটি সুরক্ষিত শহর, সেই কারণে বাইরের লোকজন এখানে আসতে পারে না । চিত্তরঞ্জন রেল শহরের মধ্যে যে সমস্ত বস্তি এবং নিম্নবিত্ত পরিবারগুলি রয়েছে, তাদের ছেলেমেয়েরা স্কুলে পড়তে আসত । কোনও রেলকর্মীর ছেলেমেয়েরা এখানে পড়ে না । ফলে বস্তি উচ্ছেদ হয়ে গেলে আগামী দিনে ছাত্রছাত্রী পাওয়া যাবে কি না, সে বিষয়ে সন্দেহ রয়েছে ৷

সালানপুর ব্লকের স্কুল পরিদর্শক পাপিয়া মুখোপাধ্যায়ের কাছে যাওয়া হলে তিনি ক্যামেরার সামনে কিছু বলতে রাজি হননি । তাঁর বক্তব্য, উচ্চ আধিকারিকদের কাছে সবই জানানো হয়েছে ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.