ETV Bharat / state

Durgapur Body Recovered: ছেলের পরিবারের আত্মহত্যা, পুলিশি হেফাজতে বোবা কান্না আর হতাশা অভিযুক্ত মায়ের - mother accused in sons family mysterious death

নাতি নাতনি-সহ ছেলে ও বৌমার দেহ উদ্ধারের ঘটনায় অভিযুক্ত মা (Mother Accused in Sons Family Mysterious Death)৷ আদালতের নির্দেশে রয়েছেন জেল হেফাজতে ৷ কিন্তু কেন এমন হল ?

Etv Bharat
ছেলের পরিবারের আত্মহত্যায় অভিযুক্ত মা
author img

By

Published : Mar 23, 2023, 2:28 PM IST

অভিযুক্ত বুলারানি মণ্ডলের দাদার বক্তব্য

দুর্গাপুর, 23 মার্চ: 'কু-পুত্র যদিও বা হয়, কু-মাতা কখনও নয় ৷' এই প্রবাদ প্রচলিত রয়েছে বহু যুগ ধরে । কিন্তু দুর্গাপুরের কুড়ুরিয়াডাঙা মিলনপল্লীতে দুই সন্তান-সহ ছেলে ও বৌমার অস্বাভাবিক মৃত্যুতে অভিযুক্ত (Durgapur News)৷ মৃত অমিত কুমার মণ্ডল সুইসাইড নোটে তাঁদের মৃত্যুর জন্য দায়ী করেছে যাদেরকে তাঁদের মধ্যে প্রথমেই আছে মা বুলারানি মণ্ডলের নাম । এই ঘটনায় বাড়ির কর্ত্রী বুলারানি মণ্ডল-সহ গ্রেফতার তিন । সোমবার ধৃতদের দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক ধৃত তিনজনের অমিতের মধ্যে মামাতো দাদা প্রশান্ত কুমার নায়েককে দশদিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিলেও মা বুলারানি মণ্ডল ও মামাতো বৌদি শিলা নায়েককে 14 দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন ।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বুলারানি মণ্ডল এই ঘটনার পর থেকে কার্যত নির্বাক হয়ে গিয়েছেন । তাঁর দু'চোখে শুধুই জল । অমিতের বাবা নরেশ মণ্ডল জমির দালালি করে বিপুল সম্পত্তির মালিক হন । কিডনি সংক্রান্ত অসুখের জেরে কয়েক বছর আগে তাঁর মৃত্যু হতেই পরিবারে জটিলতা দেখা দেয় । তাঁদের একমাত্র ছেলে অমিতের সঙ্গে মা বুলারানি ও বোন বর্ষার সম্পত্তি জনিত বিবাদ বাঁধে । বাপের বাড়ির লোকেদেরকে অন্যায়ভাবে টাকা পয়সা পাইয়ে দিচ্ছে এমন অভিযোগে মা ও ছেলের সম্পর্কের অবনতি ঘটে ।

মাঝে বেশ কয়েকমাস স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নিয়ে অমিত বাবার বাড়ি ছেড়ে বসবাস করতে থাকে । কিন্তু মায়ের নির্দেশে পরিবারের বেশ কয়েকজন শুভানুধ্যায়ী অমিতকে বুঝিয়ে আবার মিলনপল্লীর বাড়িতে নিয়ে আসে । এরপর এই দুর্ঘটনা ৷ মারা যাওয়ার আগে অমিত মোবাইল ফোনে লিখে দিয়ে যায় যে, মা অমিতের সন্তানদের দেখতে পারত না । নাতি নাতনিকে কাছেও নিত না । কারণে-অকারণে তাদেরকে মানসিকভাবে নির্যাতন করত মা ও বোন । তারপরেই নিমেষের মধ্যে সব কিছু শেষ । পুলিশ সূত্রের খবর, বুলারানি মণ্ডল সংশোধনাগারে একেবারে বোবা হয়ে গিয়েছেন । চোখের জল ফেলছেন আর বিড়বিড় করে বলে উঠছেন "আমার সবকিছু শেষ হয়ে গেল ।"

আরও পড়ুন : দুই সন্তান-সহ দম্পতির দেহ উদ্ধার, সুইসাইড নোটে মিলল টেট-যোগ

অভিযুক্ত বুলারানি মণ্ডলের দাদার বক্তব্য

দুর্গাপুর, 23 মার্চ: 'কু-পুত্র যদিও বা হয়, কু-মাতা কখনও নয় ৷' এই প্রবাদ প্রচলিত রয়েছে বহু যুগ ধরে । কিন্তু দুর্গাপুরের কুড়ুরিয়াডাঙা মিলনপল্লীতে দুই সন্তান-সহ ছেলে ও বৌমার অস্বাভাবিক মৃত্যুতে অভিযুক্ত (Durgapur News)৷ মৃত অমিত কুমার মণ্ডল সুইসাইড নোটে তাঁদের মৃত্যুর জন্য দায়ী করেছে যাদেরকে তাঁদের মধ্যে প্রথমেই আছে মা বুলারানি মণ্ডলের নাম । এই ঘটনায় বাড়ির কর্ত্রী বুলারানি মণ্ডল-সহ গ্রেফতার তিন । সোমবার ধৃতদের দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক ধৃত তিনজনের অমিতের মধ্যে মামাতো দাদা প্রশান্ত কুমার নায়েককে দশদিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিলেও মা বুলারানি মণ্ডল ও মামাতো বৌদি শিলা নায়েককে 14 দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন ।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বুলারানি মণ্ডল এই ঘটনার পর থেকে কার্যত নির্বাক হয়ে গিয়েছেন । তাঁর দু'চোখে শুধুই জল । অমিতের বাবা নরেশ মণ্ডল জমির দালালি করে বিপুল সম্পত্তির মালিক হন । কিডনি সংক্রান্ত অসুখের জেরে কয়েক বছর আগে তাঁর মৃত্যু হতেই পরিবারে জটিলতা দেখা দেয় । তাঁদের একমাত্র ছেলে অমিতের সঙ্গে মা বুলারানি ও বোন বর্ষার সম্পত্তি জনিত বিবাদ বাঁধে । বাপের বাড়ির লোকেদেরকে অন্যায়ভাবে টাকা পয়সা পাইয়ে দিচ্ছে এমন অভিযোগে মা ও ছেলের সম্পর্কের অবনতি ঘটে ।

মাঝে বেশ কয়েকমাস স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নিয়ে অমিত বাবার বাড়ি ছেড়ে বসবাস করতে থাকে । কিন্তু মায়ের নির্দেশে পরিবারের বেশ কয়েকজন শুভানুধ্যায়ী অমিতকে বুঝিয়ে আবার মিলনপল্লীর বাড়িতে নিয়ে আসে । এরপর এই দুর্ঘটনা ৷ মারা যাওয়ার আগে অমিত মোবাইল ফোনে লিখে দিয়ে যায় যে, মা অমিতের সন্তানদের দেখতে পারত না । নাতি নাতনিকে কাছেও নিত না । কারণে-অকারণে তাদেরকে মানসিকভাবে নির্যাতন করত মা ও বোন । তারপরেই নিমেষের মধ্যে সব কিছু শেষ । পুলিশ সূত্রের খবর, বুলারানি মণ্ডল সংশোধনাগারে একেবারে বোবা হয়ে গিয়েছেন । চোখের জল ফেলছেন আর বিড়বিড় করে বলে উঠছেন "আমার সবকিছু শেষ হয়ে গেল ।"

আরও পড়ুন : দুই সন্তান-সহ দম্পতির দেহ উদ্ধার, সুইসাইড নোটে মিলল টেট-যোগ

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.