আসানসোল, 20 অক্টোবর: মামার বাড়িতে বেড়াতে এসে আত্মীয়দের সঙ্গে দামোদর নদের ধারে মাজারে গিয়েছিল তিন কিশোরী । তারপর দামোদরে (Damodar River) স্নান করতে নেমে ওই তিন কিশোরী তলিয়ে যায় । স্থানীয় বাসিন্দারা দুই কিশোরীকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয় । আরেক কিশোরী ডুবে গিয়েছে শুনে তৎক্ষণাৎ নদীতে ঝাঁপ দেন কুলটি থানার সাঁকতোড়িয়া ফাঁড়ির কনস্টেবল বিশ্বনাথ চার । নদী গর্ভে তিনিই খুঁজে পান কিশোরীকে । স্থানীয়দের সহযোগিতায় দ্রুততার সঙ্গে নদী থেকে তুলে কিশোরীকে সাঁকতোড়িয়া হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ । কিন্তু চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে ।
পুলিশ জানিয়েছে, মৃত কিশোরীর নাম আলিয়া পরভিন(14) ৷ জামশেদপুর থেকে বার্নপুরে মামার বাড়িতে বেড়াতে এসেছিল তিন কিশোরী । আলিশা পরভিন, শমা পরভিন এবং আলিয়া পরভিন । বার্নপুর থেকে তারা কুলটির সাঁকতোড়িয়া মাজার শরীফে গিয়েছিল পরিবারের সঙ্গে । সেখানেই দামোদর নদে স্নান করতে নেমেছিল তিন কিশোরী । কিন্তু অসাবধানবশত তিন কিশোরী দামোদরের জলে তলিয়ে যায় ।
স্থানীয় বাসিন্দারা দেখতে পেয়ে আলিশা পরভিন এবং শমা পরভিনকে তড়িঘড়ি উদ্ধার করে । কিন্তু আলিয়া পরিভিনের কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি । ঘটনার খবর পেয়েই কুলটি থানার সাঁকতোড়িয়া ফাঁড়ির পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয় । কনস্টেবল বিশ্বনাথ চার নিজেই জলে ঝাঁপ দেন ওই কিশোরীকে বাঁচানোর জন্য । কিছুক্ষণের মধ্যেই নদীর গর্ভে ওই কিশোরীর ওড়না পুলিশকর্মীর পায়ে লাগে । এরপর স্থানীয় বাসিন্দাদের সাহায্য নিয়ে ওই পুলিশকর্মী নদীগর্ভ থেকে আলিয়া পরভিনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করেন (Police constable tried to rescue girl from drowningg) ।
আরও পড়ুন: বেপরোয়া গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু যুবকের, কুলটির জিটি রোড অবরোধ
পুলিশের গাড়িতে তড়িঘড়ি তাকে সাঁকতোড়িয়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় । কিন্তু সেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে । এই ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে আসে এলাকায় । পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে চেষ্টা করা হয়েছিল কিন্তু এই মর্মান্তিক ঘটনা রোখা যায়নি ।