বর্ধমান, 22 ডিসেম্বর : বই আনতে যাওয়ার সময় পুলিশকে টাকা না দেওয়ায় গাড়ির ড্রাইভারকে মারধর করার অভিযোগ উঠল পুলিশের বিরুদ্ধে । মঙ্গলবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বর্ধমান দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের মশাগ্রাম সংলগ্ন 2 নম্বর জাতীয় সড়কে । বিষয় নিয়ে রাতেই জেলা পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ করেছেন শেখ নজরুল নামে ওই ট্রাক চালক (Police allegedly claims money and beats truck driver on Durgapur Expressway) ।
বর্ধমানের একটা ছাপাখানা থেকে কলকাতায় সরকারি বই আনতে যাচ্ছিল ট্রাকটি । মঙ্গলবার রাতে 2 নম্বর জাতীয় সড়কে ওই ট্রাক আটকে পুলিশ 500 টাকা চায় । গাড়ির চালক পুলিশকে টাকা দিতে অস্বীকার করে জানান, এটা প্রেসের গাড়ি কলকাতায় যাচ্ছেন । তখন পুলিশ তাঁকে গাড়ি থেকে নামিয়ে মারধর করে বলে অভিযোগ । তাঁর হাতে আঘাত লাগে ৷ এরপর তিনি গাড়ির মালিককে ফোন করেন । গাড়ির মালিক গেলে তিনি বর্ধমানে এসে পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ জমা দেন ।
আরও পড়ুন : People Agitates against Police : লরি চালকের কাছে বেআইনিভাবে টাকা দাবি করে বিক্ষোভের মুখে পুলিশ
ট্রাকচালক শেখ নজরুল বলেন, "আমি পালসিট পার করে দেড় কিলোমিটার যাওয়ার পরে দেখি পুলিশ রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়েছে । আমার সামনে 4-5 টা গাড়ি ছিল । আমি পুলিশকে জানাই যে এটা প্রেসের গাড়ি । পুলিশ তখন বলে প্রেসের গাড়ি তো কী হয়েছে ?" এরপর তিনি বাঁ দিকের সার্ভিস রোড ধরে এগোতে থাকেন । হাফ কিলোমিটার যাওয়ার পরে ফের জ্যামে আটকে পড়ে ট্রাকটি । এই সময় শেখ নজরুল দেখেন 100 কি 200 টাকা দিয়ে অনেক গাড়ি চলে যাচ্ছে ।
তখন তিনি ফের পুলিশের কাছে গিয়ে বলেন, "এটা প্রেসের গাড়ি, কলকাতা যাচ্ছি ।" তাও তাঁকে ছাড়েনি পুলিশ । "এরপর ফের আমি বলতে গেলে পুলিশ মেজাজ দেখায় । তখন রাত প্রায় আটটা বাজে । তখন আমি গাড়ি নিয়ে এগোতে গেলে আমার কাছে 500 টাকা চায় পুলিশ", বললেন ট্রাকচালক শেখ নজরুল ৷
তিনি টাকা দিতে না চাওয়ায় গাড়ি থেকে নামিয়ে তাঁকে লাঠি দিয়ে পেটাতে শুরু করেন কর্তব্যরত পুলিশ । তিনি বলেন, "আমার হাত ফেটে যায় । একজন কনস্টেবল ওই পুলিশ অফিসারকে অনুরোধ করায় তিনি সেখান থেকে চলে যান । আমি গাড়ির মালিককে ফোন করি । মালিক সেখানে যায় । এরপর জামালপুর থানায় গেলে পুলিশ অভিযোগ নেয়নি । ফলে রাতে ফিরে বর্ধমানে অভিযোগ জানাই ।"
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, জাতীয় সড়কে নো এন্ট্রি চলার সময় গাড়িটা যাওয়ার চেষ্টা করছিল । তবে ঠিক কী ঘটেছে, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ ।