ETV Bharat / state

Patient Hanging Body Recovered: সরকারি হাসপাতালের শৌচালয়ে মিলল রোগীর ঝুলন্ত দেহ !

দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালের (Durgapur Sub Divisional Hospital) শৌচালয় থেকে উদ্ধার করা হল চিকিৎসাধীন রোগীর ঝুলন্ত দেহ (Patient Hanging Body Recovered) ৷ গাফিলতির অভিযোগ অস্বীকার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ৷

Patient Hanging Body Recovered from Toilet of Durgapur Sub Divisional Hospital
হাসপাতালে রোগীর ঝুলন্ত দেহ
author img

By

Published : Mar 17, 2023, 1:40 PM IST

গাফিলতির অভিযোগ অস্বীকার কর্তৃপক্ষের

দুর্গাপুর, 17 মার্চ: হাসপাতালে ভরতি হয়েছিলেন ফিশচুলার অস্ত্রোপচার করাতে ৷ সেই তাঁরই ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল হাসপাতালের শৌচালয়ে (Patient Hanging Body Recovered) ! ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে (Durgapur Sub Divisional Hospital) ৷ হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ব্যক্তির নাম সীতারাম সাউ ৷ বয়স 50 বছর ৷ দুর্গাপুরেরই গোপাল মঠ এলাকার বাসিন্দা সীতারামকে গত 14 মার্চ হাসপাতালে ভরতি করে গিয়েছিলেন তাঁর এক আত্মীয় ৷ পুরুষ শল্য বিভাগে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি ৷

নিয়ম অনুসারে, হাসপাতালে বেশ কয়েকবার চিকিৎসাধীন রোগীদের 'মাথা গোনা' (Head Counting) হয় ৷ হাসপাতালের সুপার ডা. ধীমান মণ্ডল জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার বিকেলে যখন মাথা গোনা হয়েছিল, তখন পর্যন্ত সীতারাম তাঁর ওয়ার্ডে এবং শয্যায় ছিলেন ৷ কিন্তু, রাতে মাথা গোনার পর দেখা যায়, একজন রোগী কম রয়েছেন ৷ বোঝা যায়, সীতারাম তাঁর শয্যায়, এমনকী ওয়ার্ডেও নেই ৷ এরপরই সীতারাম সাউয়ের খোঁজে হাসপতালালে তল্লাশি শুরু হয় ৷ শেষমেশ শৌচালয়ে উদ্ধার হয় তাঁর ঝুলন্ত দেহ ! হাসপাতাল সুপারের দাবি, গলায় গামছার ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন সীতারাম ৷

স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনায় হাসপাতালের নিরাপত্তা ও নজরদারি নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে ৷ কারণ, এর আগেও বেশ কয়েকবার দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতাল থেকে রোগী উধাও হয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে ৷ এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে সুপার জানান, তাঁদের হাসপাতালে নজরদারির কোনও অভাব নেই ৷ ওয়ার্ডে সবসময় নজরদারি থাকে ৷ কিন্তু, কোনও রোগী শৌচালয়ে গেলে সেখানে তিনি কী করছেন, সেটা দেখা সম্ভব নয় ৷ এদিকে, হাসপাতালের একটি সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের 25 নম্বর শয্য়ায় ভরতি ছিলেন সীতারাম ৷ বৃহস্পতিবার রাত 11টা 40 পর্যন্ত কেউ তাঁর খোঁজ করেনি ৷ অথচ, তিনি তাঁর শয্যায় ছিলেন না !

প্রশ্ন উঠছে, ওই রোগী যদি সত্যিই আত্মঘাতী হয়ে থাকেন, তাহলে তার কারণ কী ? তিনি মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন কিনা, সেই বিষয়ে হাসপাতাল সুপারকে প্রশ্ন করা হয় ৷ জবাবে হাসপাতাল সুপার বলেন, রোগী যে রোগ নিয়ে ভরতি হন, তাঁরা সেই অসুখেরই চিকিৎসা করেন ৷ এই অবস্থায় মৃত ব্যক্তি কোনও মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন কিনা, সেটা নিশ্চিতভাবে বলা কঠিন ৷ পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে ৷ দেহের ময়নাতদন্ত হচ্ছে ৷ সেসব শেষ হলেই এই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ সামনে আসবে বলে মনে করছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ৷

আরও পড়ুন: কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে রোগীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারে চাঞ্চল্য

অন্যান্য রোগী ও তাঁদের পরিবারের সদস্যরা অবশ্য এই ঘটনায় অত্যন্ত চিন্তিত ৷ তাঁদের বক্তব্য, একজন রোগী শয্যা থেকে উঠে শৌচালয়ে গিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলে পড়লেন (যদি আত্মহত্যার তত্ত্ব সত্যি হয়) ! অথচ প্রায় মধ্যরাত পর্যন্ত কেউ তাঁর খোঁজ করল না ! এটা গাফিলতি নয় তো কী ? হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অবশ্য গাফিলতির অভিযোগ একবাক্যে খারিজ করে দিয়েছে ৷

গাফিলতির অভিযোগ অস্বীকার কর্তৃপক্ষের

দুর্গাপুর, 17 মার্চ: হাসপাতালে ভরতি হয়েছিলেন ফিশচুলার অস্ত্রোপচার করাতে ৷ সেই তাঁরই ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল হাসপাতালের শৌচালয়ে (Patient Hanging Body Recovered) ! ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে (Durgapur Sub Divisional Hospital) ৷ হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ব্যক্তির নাম সীতারাম সাউ ৷ বয়স 50 বছর ৷ দুর্গাপুরেরই গোপাল মঠ এলাকার বাসিন্দা সীতারামকে গত 14 মার্চ হাসপাতালে ভরতি করে গিয়েছিলেন তাঁর এক আত্মীয় ৷ পুরুষ শল্য বিভাগে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি ৷

নিয়ম অনুসারে, হাসপাতালে বেশ কয়েকবার চিকিৎসাধীন রোগীদের 'মাথা গোনা' (Head Counting) হয় ৷ হাসপাতালের সুপার ডা. ধীমান মণ্ডল জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার বিকেলে যখন মাথা গোনা হয়েছিল, তখন পর্যন্ত সীতারাম তাঁর ওয়ার্ডে এবং শয্যায় ছিলেন ৷ কিন্তু, রাতে মাথা গোনার পর দেখা যায়, একজন রোগী কম রয়েছেন ৷ বোঝা যায়, সীতারাম তাঁর শয্যায়, এমনকী ওয়ার্ডেও নেই ৷ এরপরই সীতারাম সাউয়ের খোঁজে হাসপতালালে তল্লাশি শুরু হয় ৷ শেষমেশ শৌচালয়ে উদ্ধার হয় তাঁর ঝুলন্ত দেহ ! হাসপাতাল সুপারের দাবি, গলায় গামছার ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন সীতারাম ৷

স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনায় হাসপাতালের নিরাপত্তা ও নজরদারি নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে ৷ কারণ, এর আগেও বেশ কয়েকবার দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতাল থেকে রোগী উধাও হয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে ৷ এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে সুপার জানান, তাঁদের হাসপাতালে নজরদারির কোনও অভাব নেই ৷ ওয়ার্ডে সবসময় নজরদারি থাকে ৷ কিন্তু, কোনও রোগী শৌচালয়ে গেলে সেখানে তিনি কী করছেন, সেটা দেখা সম্ভব নয় ৷ এদিকে, হাসপাতালের একটি সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের 25 নম্বর শয্য়ায় ভরতি ছিলেন সীতারাম ৷ বৃহস্পতিবার রাত 11টা 40 পর্যন্ত কেউ তাঁর খোঁজ করেনি ৷ অথচ, তিনি তাঁর শয্যায় ছিলেন না !

প্রশ্ন উঠছে, ওই রোগী যদি সত্যিই আত্মঘাতী হয়ে থাকেন, তাহলে তার কারণ কী ? তিনি মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন কিনা, সেই বিষয়ে হাসপাতাল সুপারকে প্রশ্ন করা হয় ৷ জবাবে হাসপাতাল সুপার বলেন, রোগী যে রোগ নিয়ে ভরতি হন, তাঁরা সেই অসুখেরই চিকিৎসা করেন ৷ এই অবস্থায় মৃত ব্যক্তি কোনও মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন কিনা, সেটা নিশ্চিতভাবে বলা কঠিন ৷ পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে ৷ দেহের ময়নাতদন্ত হচ্ছে ৷ সেসব শেষ হলেই এই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ সামনে আসবে বলে মনে করছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ৷

আরও পড়ুন: কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে রোগীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারে চাঞ্চল্য

অন্যান্য রোগী ও তাঁদের পরিবারের সদস্যরা অবশ্য এই ঘটনায় অত্যন্ত চিন্তিত ৷ তাঁদের বক্তব্য, একজন রোগী শয্যা থেকে উঠে শৌচালয়ে গিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলে পড়লেন (যদি আত্মহত্যার তত্ত্ব সত্যি হয়) ! অথচ প্রায় মধ্যরাত পর্যন্ত কেউ তাঁর খোঁজ করল না ! এটা গাফিলতি নয় তো কী ? হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অবশ্য গাফিলতির অভিযোগ একবাক্যে খারিজ করে দিয়েছে ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.