কোকওভেন (দুর্গাপুর), 26 সেপ্টেম্বর : ছেলেধরা সন্দেহে এবার এক জওয়ানকে আটক করে রাখল স্থানীয় বাসিন্দারা । ঘটনাটি দুর্গাপুরের কোকওভেন থানার সাগরডাঙার । গতকাল রাতে ওই জওয়ানকে আটক করে রাখে সাগরডাঙার ভৈরবতলা এলাকার বাসিন্দারা । পরে তাঁর সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে ভাষায় অমিল পাওয়ায় তাঁর পরিচয় জানতে চাওয়া হয় । পরিচয়পত্র দেখালে স্থানীয়রা বুঝতে পারে তিনি সেনাবাহিনীর জওয়ান । ততক্ষণে ঘটনার খবর পৌঁছে যাওয়ায় কোকওভেন থানার পুলিশ এসে তাঁকে উদ্ধার করে । পুলিশের তরফ থেকে ওই জওয়ানের কোনওরকম পরিচয় জানানো হয়নি ।
ছেলেধরা সন্দেহে আটক জওয়ান
দুর্গাপুরের কোকওভেন থানার সাগরডাঙা এলাকায় ছেলেধরা সন্দেহে এবার এক জওয়ানকে আটক করে রাখল স্থানীয় বাসিন্দারা । পরে তাঁকে উদ্ধার করে পুলিশ ।
বেশ কিছুদিন ধরেই কোকওভেন থানা এলাকায় ছেলেধরা সন্দেহে গুজবের বিষয়টি মাথাচাড়া দিয়েছে । যেকোনও গুজবই বিদ্যুতের গতিতে ছড়িয়ে পড়ছে । যা উত্তেজনার আকার নিচ্ছে । কোনও খারাপ ঘটনা যাতে না ঘটে সেকারণে এলাকারই কয়েকজন মিলে রাতে পাহারার ব্যবস্থা করেছে । তা সত্ত্বেও ঘটনা এড়ানো যাচ্ছে না । মহেশ দাস নামে এক এলাকাবাসীর কথায়, "গুজব এমন আকার নিয়েছে যে আমিও একটা কথা একজনকে বললাম পরীক্ষার জন্য, সেটা ছড়িয়ে গেল । এটা আগে এখানে ছিল না । কিন্তু এখন এমন আকার নিয়েছে যে সামলানো যাচ্ছে না । ওঁকে (জওয়ানকে) ওরা আটক করে এই সন্দেহে । উনি পরিচয়পত্র দেখালেও কেউ কিছু বুঝছিল না । শুধু সেনা জওয়ান বুঝে ছেড়ে দেয় । ওঁকে এমনভাবে ঘিরে রাখা হয়েছিল যে ওঁর থেকে কিছু জানাই যায়নি ।" পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ওই জওয়ান বিহারের বাসিন্দা । তাঁর নাম জানা যায়নি ।
এবিষয়ে আসানসোল-দুর্গাপুর কমিশনারেটের পুলিশ কমিশনার দেবেন্দ্র প্রকাশ সিং বলেন, "তিন-চারদিন ধরে এই ধরনের ঘটনা এখানে ঘটছে । গতকালও এক জওয়ানকে আটকে রাখে ওরা । আমরা চেষ্টা করছি সবাইকে সচেতন করতে ।"
কোকওভেন (দুর্গাপুর), 26 সেপ্টেম্বর : ছেলেধরা সন্দেহে এবার এক জওয়ানকে আটক করে রাখল স্থানীয় বাসিন্দারা । ঘটনাটি দুর্গাপুরের কোকওভেন থানার সাগরডাঙার । গতকাল রাতে ওই জওয়ানকে আটক করে রাখে সাগরডাঙার ভৈরবতলা এলাকার বাসিন্দারা । পরে তাঁর সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে ভাষায় অমিল পাওয়ায় তাঁর পরিচয় জানতে চাওয়া হয় । পরিচয়পত্র দেখালে স্থানীয়রা বুঝতে পারে তিনি সেনাবাহিনীর জওয়ান । ততক্ষণে ঘটনার খবর পৌঁছে যাওয়ায় কোকওভেন থানার পুলিশ এসে তাঁকে উদ্ধার করে । পুলিশের তরফ থেকে ওই জওয়ানের কোনওরকম পরিচয় জানানো হয়নি ।
বেশ কিছুদিন ধরেই কোকওভেন থানা এলাকায় ছেলেধরা সন্দেহে গুজবের বিষয়টি মাথাচাড়া দিয়েছে । যেকোনও গুজবই বিদ্যুতের গতিতে ছড়িয়ে পড়ছে । যা উত্তেজনার আকার নিচ্ছে । কোনও খারাপ ঘটনা যাতে না ঘটে সেকারণে এলাকারই কয়েকজন মিলে রাতে পাহারার ব্যবস্থা করেছে । তা সত্ত্বেও ঘটনা এড়ানো যাচ্ছে না । মহেশ দাস নামে এক এলাকাবাসীর কথায়, "গুজব এমন আকার নিয়েছে যে আমিও একটা কথা একজনকে বললাম পরীক্ষার জন্য, সেটা ছড়িয়ে গেল । এটা আগে এখানে ছিল না । কিন্তু এখন এমন আকার নিয়েছে যে সামলানো যাচ্ছে না । ওঁকে (জওয়ানকে) ওরা আটক করে এই সন্দেহে । উনি পরিচয়পত্র দেখালেও কেউ কিছু বুঝছিল না । শুধু সেনা জওয়ান বুঝে ছেড়ে দেয় । ওঁকে এমনভাবে ঘিরে রাখা হয়েছিল যে ওঁর থেকে কিছু জানাই যায়নি ।" পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ওই জওয়ান বিহারের বাসিন্দা । তাঁর নাম জানা যায়নি ।
এবিষয়ে আসানসোল-দুর্গাপুর কমিশনারেটের পুলিশ কমিশনার দেবেন্দ্র প্রকাশ সিং বলেন, "তিন-চারদিন ধরে এই ধরনের ঘটনা এখানে ঘটছে । গতকালও এক জওয়ানকে আটকে রাখে ওরা । আমরা চেষ্টা করছি সবাইকে সচেতন করতে ।"
বুধবার রাতে রাস্তা ভুল করে সগরভাঙা গ্রামের ভৈরবতলায় কোনোভাবে চলে আসেন সেনাবাহিনীর এই জওয়ান।এই এলাকায় বেশ কিছুদিন ধরেই ছেলেধরা আতঙ্কে এলাকার মানুষজন পালি করে রাত পাহারার কাজ করছেন এলাকায়। সন্দেহভাজন একজনকে ঘোরাঘুরি করতে দেখে রাত পাহারার কাজে থাকা কিছু লোকজন ঐ ব্যাক্তিকে ধরে ফেলে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে।খবর ছড়ায় বিদ্যুৎ গতিতে।কয়েকশো লোক এসে জমায়েত হয়।
এরপর ঐ ব্যাক্তির পরিচয় জানতে চাওয়ায় সে রাজস্থানী ভাষায় কথা বলতে শুরু করে, এরপর তার পরিচয়পত্র দেখতে চাওয়ায় সেই পরিচয় পত্র দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা বুঝতে পারে সে সেনাবাহিনীর জওয়ান।
বুধবার রাতে এই ঘটনাকে ঘিরে নিমেষেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লো কোকওভেন থানার অন্তর্গত সগরভাঙ্গা গ্রামের ভৈরব তলা এলাকায়।সেনাবাহিনীর জওয়ান আটকে আছে স্থানীয় গ্রামবাসীদের হাতে এই খবর পাওয়া মাত্রই তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে ছুটে আসে পুলিশ।. কিন্তু উত্তেজিত জনতার হাত থেকে সেনাবাহিনীর ঐ জওয়ানকে উদ্ধার করতে এসে নিরাপত্তার দাবীতে পুলিশ কর্মীরা নিজেরাই স্থানীয় বাসিন্দাদের বিক্ষোভের মুখে পড়ে যায়।
স্থানীয়দের অভিযোগ, আমরাও জানি ছেলেধরার গুজবে অনেক নিরীহ মানুষ গনপিটুনির শিকার হচ্ছে।কিন্তু পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে বাধ্য হয়ে রাত পাহারার কাজে তাদের নামতে হয়েছে।তাই পুলিশ যদি একটু এলাকায় টহলদারী বাড়ায় তাহলে মানুষের আতঙ্ক অনেকটাই চলে যায়।
উত্তেজিত জনতাকে নিয়ন্ত্রন করে সেনাবাহিনীর ঐ জওয়ানকে নিয়ে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।
জানা গেছে সেনাবাহিনীর এই জওয়ান বিহারের বাসিন্দা। আর বাকী বিষয় পুলিশ খতিয়ে দেখছে বলে জানা গেছে।বুধবারের ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে সগরভাঙ্গা গ্রাম এলাকায়।Body:গConclusion:গ