শক্তিগড়, 2 এপ্রিল : বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাজু ঝায়ের মৃতদেহের ময়নাতদন্তের করা হয়েছে রবিবার । তার দেহ থেকে 4টি গুলি উদ্ধার হয়েছে বলে জানা গিয়েছে । রবিবার সন্ধ্যে নাগাদ ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে যান । যদিও ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি ৷ জেলা পুলিশ সুপার কামনাশিস সেনের নেতৃত্বে 12 সদস্যের সিট গঠন করা হয়েছে । ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য রাজুর জামা কাপড় থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছে ফরেনসিক দল । এদিকে রাজুর দেহ থেকে 4টি গুলি উদ্ধার হলেও এলাকা থেকে ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা 13টি গুলির খোল উদ্ধার করেছেন । তবে রাজুর শরীর থেকে 4টি গুলি পাওয়া গেলেও একাধিক গুলির ক্ষত আছে বলে জানা গিয়েছে ।ঘটনার প্রায় 24 ঘণ্টার বেশি সময় কেটে গেলেও এখনও কেউ গ্রেফতার হয়নি ৷
প্রসঙ্গত, শনিবার রাতে দুর্গাপুর থেকে কলকাতা যাওয়ার পথে শক্তিগড়ে একটা ল্যাংচার দোকানের সামনে দুষ্কৃতীদের গুলিতে নিহত হন কয়লা মাফিয়া রাজু ঝা । দুষ্কৃতীদের ছোড়া গুলিতে আহত হয় গাড়িতে থাকা রাজু ঝা-র অপর সঙ্গী ব্রতীন মুখোপাধ্য়ায় । তাঁর হাতে অস্ত্রোপচার হয়েছে । গাড়ির ড্রাইভার ও অন্য একজন সেইসময় গাড়ি থেকে নেমে বাইরে গিয়েছিলেন । ওই ব্যক্তি গরু পাচারকারী আব্দুল লতিফ বলে সন্দেহ করছে পুলিশ । তার কোনও হদিস পাওয়া যায়নি এখনও ।
আরও পড়ুন: দুষ্কৃতীদের গুলিতে মৃত 'কয়লা মাফিয়া' তথা বিজেপি নেতা রাজু ঝা
অন্যদিকে এদিন হাসপাতালের মর্গে রাজুর আত্মীয় জিতেন্দ্র সিং বলেন, "শনিবার সন্ধ্যের দিকে রাজু ব্যবসার কাজে দুর্গাপুর থেকে কলকাতা রওনা দেয় । সেই সময় গাড়িতে রাজু ঝা-সহ মোট 3 জন ছিলেন । তাঁর আক্ষেপ রাজু ঝায়ের সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে কারোর কোনও মনোমালিন্য ছিল না । তিনি অনেক সমাজসেবামূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকতেন । 2021 সালে বিজেপিতে যোগ দিলেও তিনি সক্রিয়ভাবে রাজনীতি করতেন না । বিজেপি করার জন্যও কারও কারও চক্ষুশূল ছিলেন । কিন্তু কী কারণে তাঁকে খুন করা হল সেটা পরিবারের কেউ বুঝে উঠতে পারছে না ।"