ETV Bharat / state

Raju Jha: সম্পত্তি বৃদ্ধি পেলেও ছোটবেলার পাড়াকে ভোলেননি, সেখানকার 'মসিহা' ছিলেন রাজু

ছোটবেলায় রানিগঞ্জে আসা থেকে কয়লা কারবারে হাত পাকানো ৷ প্রভাব প্রতিপত্তি বাড়লেও পুরনো পাড়াকে মনে রেখেছিলেন রাজু ৷ যোগাযোগ ছিল সকলের সঙ্গে ৷ তাদের অভাব-অনটন, বিপদ-আপদে ঝাঁপিয়ে পড়তেন ৷ সেই পাড়া প্রতিবেশীদের যেন বিশ্বাসই হচ্ছে না রাজু আর নেই ৷

ETV Bharat
রাজু ঝা
author img

By

Published : Apr 2, 2023, 10:44 PM IST

রানিগঞ্জের রাজুকে নিয়ে বিজেপি নেতার বক্তব্য

আসানসোল, 2 এপ্রিল: খবরটা শোনার পর থেকে এলাকা প্রায় শুনশান । মিডিয়া এসেছে শুনে পাড়ার লোকজন আরও দূরে চলে গেল । দু'নম্বর জাতীয় সড়কের ধারেই রানিগঞ্জের ছয়-সাত নম্বর কলোনি বলেই এলাকাটি পরিচিত । এখানেই ছোটবেলায় প্রথম আসা ৷ তারপর এই রাজুই পরবর্তীকালে কয়লা কারবারের বেতাজ বাদশা হয়ে উঠেছিলেন । শনিবার শক্তিগড়ের কাছে দুষ্কৃতীদের গুলিতে মৃত্যু হয় রাজুর ।

বিহারের দ্বারভাঙা জেলার প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে বাবা-মায়ের সঙ্গে রানিগঞ্জে প্রথম আসা রাজুর । এখানে মারওয়াড়ি স্কুলে ক্লাস নাইন পর্যন্ত চলেছিল পড়াশোনা । এরপর আট-নয় দশকে কয়লা কারবারি সুরজু উপাধ্যায়ের সংস্পর্শে এসে তার কয়লার লরির পরিবহণের সঙ্গে যুক্ত হন রাজু । প্রথমদিকে কয়লার লরির খালাসির কাজ নিয়ে তার ঢোকা । এরপর ধীরে ধীরে কয়লার বেআইনি কারবারে হাত পাকানো শুরু হয় রাজুর ।

সুরজু উপাধ্যায়ের মৃত্যুর পর বেআইনি কয়লার প্যাড রাজুর নিয়ন্ত্রণে চলে যায় । 2000 সাল থেকে ধীরে ধীরে কয়লার বেতাজ বাদশা হয়ে ওঠেন তিনি । রানিগঞ্জ থেকে ডানকুনি পর্যন্ত একচেটিয়া বেআইনি কয়লার প্যাড তার নিয়ন্ত্রণে তখন ৷ ক্রমেই রাজু কোটি কোটি টাকার মালিক হয়ে ওঠেন । 2015-15 সাল নাগাদ রানিগঞ্জ ছেড়ে পরিবার নিয়ে রাজু দুর্গাপুরে বসবাস করতে শুরু করেন । সেখানে রেস্তোরা, হোটেল, ট্রান্সপোর্ট, পার্কিং জোন ও শপিং মলের ব্যবসায় প্রতিপত্তি হতে থাকে তাঁর ।

বাম আমলে কয়লা কারবার করতে গিয়ে বামেদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয় । 2011 সালের পরে তৃণমূলের সঙ্গেও ঘনিষ্ঠতা বাড়ে রাজুর । কিন্তু তখনও রাজনীতিতে যোগ দেননি তিনি । 2021 সালের ডিসেম্বর মাসে দিলীপ ঘোষের উপস্থিতিতে রাজু ঝা বিজেপিতে যোগদান করে । যদিও বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, গেরুয়া শিবিরে যোগদানের পরে তার বিরুদ্ধে প্রচুর মিথ্যা মামলা দেওয়া হয় । ফলে ধীরে ধীর রাজুর সঙ্গে সখ্যতা কমায় বিজেপি । তবে এতকিছুর পরেও রাজু ভুলে যাননি রানিগঞ্জের পুরোনো সেই পাড়াকে । 6-7 নম্বর কলোনির বাসিন্দারা জানান, তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন রাজু । প্রতি বছর কালীপুজোয় আসতেন । পাড়া-প্রতিবেশীরা যে কোনও বিপদে পড়লেই রাজুর শরণাপন্ন হত । দুঃস্থ মানুষদের পরিবারের কারওর বিয়েতে সাহায্য করা, কেউ বিপদে পড়লে বা অসুস্থ হলে টাকা দিয়ে সাহায্য করা সবই করতেন রাজু । এলাকার লোকেদের কাছে এভাবেই রাজু মসিহা হয়ে উঠেছিলেন ।

শনিবার শক্তিগড় আমড়া মোড়ে দুষ্কৃতীদের গুলিতে মৃত্যু হয় রাজুর ৷ যা এখনও বিশ্বাস করতে পারছেন এলাকাবাসীরা ৷

আরও পড়ুন : দুষ্কৃতীদের গুলিতে মৃত 'কয়লা মাফিয়া' তথা বিজেপি নেতা রাজু ঝাঁ

রানিগঞ্জের রাজুকে নিয়ে বিজেপি নেতার বক্তব্য

আসানসোল, 2 এপ্রিল: খবরটা শোনার পর থেকে এলাকা প্রায় শুনশান । মিডিয়া এসেছে শুনে পাড়ার লোকজন আরও দূরে চলে গেল । দু'নম্বর জাতীয় সড়কের ধারেই রানিগঞ্জের ছয়-সাত নম্বর কলোনি বলেই এলাকাটি পরিচিত । এখানেই ছোটবেলায় প্রথম আসা ৷ তারপর এই রাজুই পরবর্তীকালে কয়লা কারবারের বেতাজ বাদশা হয়ে উঠেছিলেন । শনিবার শক্তিগড়ের কাছে দুষ্কৃতীদের গুলিতে মৃত্যু হয় রাজুর ।

বিহারের দ্বারভাঙা জেলার প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে বাবা-মায়ের সঙ্গে রানিগঞ্জে প্রথম আসা রাজুর । এখানে মারওয়াড়ি স্কুলে ক্লাস নাইন পর্যন্ত চলেছিল পড়াশোনা । এরপর আট-নয় দশকে কয়লা কারবারি সুরজু উপাধ্যায়ের সংস্পর্শে এসে তার কয়লার লরির পরিবহণের সঙ্গে যুক্ত হন রাজু । প্রথমদিকে কয়লার লরির খালাসির কাজ নিয়ে তার ঢোকা । এরপর ধীরে ধীরে কয়লার বেআইনি কারবারে হাত পাকানো শুরু হয় রাজুর ।

সুরজু উপাধ্যায়ের মৃত্যুর পর বেআইনি কয়লার প্যাড রাজুর নিয়ন্ত্রণে চলে যায় । 2000 সাল থেকে ধীরে ধীরে কয়লার বেতাজ বাদশা হয়ে ওঠেন তিনি । রানিগঞ্জ থেকে ডানকুনি পর্যন্ত একচেটিয়া বেআইনি কয়লার প্যাড তার নিয়ন্ত্রণে তখন ৷ ক্রমেই রাজু কোটি কোটি টাকার মালিক হয়ে ওঠেন । 2015-15 সাল নাগাদ রানিগঞ্জ ছেড়ে পরিবার নিয়ে রাজু দুর্গাপুরে বসবাস করতে শুরু করেন । সেখানে রেস্তোরা, হোটেল, ট্রান্সপোর্ট, পার্কিং জোন ও শপিং মলের ব্যবসায় প্রতিপত্তি হতে থাকে তাঁর ।

বাম আমলে কয়লা কারবার করতে গিয়ে বামেদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয় । 2011 সালের পরে তৃণমূলের সঙ্গেও ঘনিষ্ঠতা বাড়ে রাজুর । কিন্তু তখনও রাজনীতিতে যোগ দেননি তিনি । 2021 সালের ডিসেম্বর মাসে দিলীপ ঘোষের উপস্থিতিতে রাজু ঝা বিজেপিতে যোগদান করে । যদিও বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, গেরুয়া শিবিরে যোগদানের পরে তার বিরুদ্ধে প্রচুর মিথ্যা মামলা দেওয়া হয় । ফলে ধীরে ধীর রাজুর সঙ্গে সখ্যতা কমায় বিজেপি । তবে এতকিছুর পরেও রাজু ভুলে যাননি রানিগঞ্জের পুরোনো সেই পাড়াকে । 6-7 নম্বর কলোনির বাসিন্দারা জানান, তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন রাজু । প্রতি বছর কালীপুজোয় আসতেন । পাড়া-প্রতিবেশীরা যে কোনও বিপদে পড়লেই রাজুর শরণাপন্ন হত । দুঃস্থ মানুষদের পরিবারের কারওর বিয়েতে সাহায্য করা, কেউ বিপদে পড়লে বা অসুস্থ হলে টাকা দিয়ে সাহায্য করা সবই করতেন রাজু । এলাকার লোকেদের কাছে এভাবেই রাজু মসিহা হয়ে উঠেছিলেন ।

শনিবার শক্তিগড় আমড়া মোড়ে দুষ্কৃতীদের গুলিতে মৃত্যু হয় রাজুর ৷ যা এখনও বিশ্বাস করতে পারছেন এলাকাবাসীরা ৷

আরও পড়ুন : দুষ্কৃতীদের গুলিতে মৃত 'কয়লা মাফিয়া' তথা বিজেপি নেতা রাজু ঝাঁ

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.