দুর্গাপুর, 17 ডিসেম্বর: গয়না পালিশের পাউডার বিক্রি করার নাম করে ভর দুপুরে অভিনব কায়দায় লুঠ সোনার অলংকার (Miscreants loot jewellery in name of polishing) । এমনটাই অভিযোগ এক গৃহকর্তার ৷ আর ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে এলাকাবাসী । তদন্তে নেমেছে পুলিশ ।
জানা গিয়েছে, শুক্রবার দুপুরে দুই যুবক বাসনপত্র এবং সোনা পালিশের পাউডার বিক্রি করার নাম করে দুর্গাপুরের (Durgapur) সেকেন্ডারি এলাকার এক অবসরপ্রাপ্ত ইস্পাত কর্মী অরূপ চৌধুরীর বাড়িতে আসেন । প্রথমে সেই পাউডারের মাধ্যমে কীভাবে অতি সহজে বাসনপত্র চকচকে করা যায় তা দেখায় তাঁরা । ওই দুই যুবক অরূপকে আরও জানান যে এই পাউডারের মাধ্যমে সোনার অলংকারও দ্রুত চকচকে করা যাবে ।
এরপরই দুই যুবকের প্রলোভনে পা দিয়ে দেন অবসরপ্রাপ্ত ইস্পাত কর্মীর বাড়ির লোক ৷ তাঁদের তরফে সোনার চেন এবং আংটি ওই দুই যুবককে দেওয়া হয় । তাঁরা জানান, অলংকার পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে ৷ তারপরেই অবসরপ্রাপ্ত ইস্পাত কর্মী এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের চোখে ধুলো দিয়ে নিমিষের মধ্যে প্রায় দু'লক্ষ টাকা মূল্যের সোনার চেন ও আংটি নিয়ে চম্পট দেয় ওই দুই যুবক (Jewellery Loot) ।
বুঝতে পেরে চিৎকার করতে থাকে অবসরপ্রাপ্ত ইস্পাত কর্মী ৷ তাঁর চিৎকার শুনে ছুটে আসে পাড়া-প্রতিবেশীরা । খবর দেওয়া হয় দুর্গাপুর থানার পুলিশকে । তারা ঘটনার তদন্তে নেমেছে ৷ একদিকে যেমন আতঙ্কিত এলাকাবাসী, অপরদিকে তেমনই হতভম্ব পুলিশ ।
উল্লেখ্য, এর আগে সোনা পরিষ্কারের নাম করে অলংকারের জায়গায় পাথর ধরিয়ে চম্পট দিয়েছিলেন দুষ্কৃতীরা (Miscreants loot jewellery worth over lakhs) ৷ ঘটনাটি ঘটেছিল শিলিগুড়ি 24 নম্বর ওয়ার্ডের ডাবগ্রাম এলাকায় । সেখানে রূপা সাহা নামে এক মহিলার বাড়িতে যান দু'জন ব্যক্তি ।
আরও পড়ুন: সোনার অলঙ্কার পরিষ্কারের নামে প্রতারণা ! লক্ষাধিক টাকার গয়না সমেত চম্পট দুষ্কৃতীদের
তাঁরা খুব অল্প টাকার বিনিময়ে সোনা, রূপার অলংকার-সহ পিতলের সামগ্রী পরিষ্কার করে দেবে বলে দাবি করেন । তাঁদের কথা মতো রূপা প্রথমে পিতল ও পায়ের তোড়া পরিষ্কার করার জন্য দেন । তারা সেগুলো পরিষ্কারও করে দেন । এরপর তাঁরা সোনার অলঙ্কার পরিষ্কার করার দাবি করেন । সেইমতো ওই মহিলা গলার চেন, হাতের আংটি খুলে দেন । আর অলংকার খুলে দিতেই পরিষ্কারের নাম করে প্লাস্টিকের ঠোঙার মধ্যে পাথর ঢুকিয়ে দিয়ে সেগুলি নিয়ে চম্পট দেন (Jewellery Loot) ।