ETV Bharat / state

গ্রামে ঢুকতে বাধা ! পরিত্যক্ত ভাঙা ঘরেই রাত কাটছে 10 শ্রমিকের - Home Quarantine in Durgapur

ভিন রাজ্যে আটকে ছিলেন বহুদিন । এবার রাজ্যে ফিরেও বাড়িতে ঢুকতে পারলেন না । গ্রামে ঢোকার আগেই তাঁদেরকে আটকে দিল নিজেদের গ্রামের লোকেরাই ।

Durgapur
ভিন রাজ্য থেকে ফেরা শ্রমিক
author img

By

Published : Jun 7, 2020, 8:10 PM IST

দুর্গাপুর ,7 জুন: এরা কেউ কাজ করতেন বেঙ্গালুরুতে । কেউ বা আবার কর্নাটকের অন্য কোনও শহরে । কিছুদিন আগেই রাজ্যে ফিরেছেন । আর রাজ্যে ফিরেই হোম কোয়ারানটিন ! ঠাঁই হয়েছে গ্রামের শেষে একেবারে প্রত্যন্ত এলাকায় ভগ্নপ্রায় একটি বাড়িতে । অভিযোগ, প্রচন্ড গরমের মধ্যে ভাঙা ঘরে, অন্ধকারে, বিষাক্ত পোকা-মাকড়ের সঙ্গে রাত কাটাতে হচ্ছে তাঁদের । স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধানের কথায় , এলাকার মানুষ তাঁদেরকে বাড়িতে ঢুকতে দিচ্ছেন না । তাই ভিনরাজ্য থেকে ফেরা ওই দশজনকে সেখানেই রাখা হয়েছে ।

কোরোনার আবহে বিভিন্ন রাজ্য থেকে শ্রমিকরা বাড়ি ফিরছেন । মুম্বই, গুজরাত, রাজস্থান-সহ বেশ কিছু চিহ্নিত রাজ্য থেকে ফেরা শ্রমিকদের সরকারি কোয়ারানটিন সেন্টারে রাখার কথা বলা হয়েছে । চিহ্নিত রাজ্যগুলি বাদে অন্য রাজ্যগুলি থেকে আসা শ্রমিকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর হোম কোয়ারানটিনে থাকার কথা বলা হয়েছে ।

পশ্চিম বর্ধমানের কাঁকসা থানা এলাকার মলানদিঘি গ্রাম পঞ্চায়েতের রক্ষিৎপুর গ্রামের দশজন শ্রমিক বেঙ্গালুরু ও কর্নাটকের অন্যান্য শহর থেকে শনিবার জেলা ফিরেছেন । কিন্তু গ্রামের লোকেরা তাঁদের বাড়িতে থাকার অনুমতি দেয়নি । স্থানীয় মলানদিঘি গ্রাম পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে সরকারি স্বাস্থ্যবিধি মেনে তাঁদের শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করানো হয়েছে । কিন্তু গ্রামের মানুষের বাধায় তাঁদেরকে রাখা হয়েছে রক্ষিৎপুর গ্রামের একেবারে নির্জন এলাকায় এক পরিত্যক্ত বাড়িতে ।

যে বাড়িতে এই 10 জন রয়েছেন সেই ঘরের একটি জানালা-দরজাও অবশিষ্ট নেই । বিদ্যুৎ সংযোগ নেই । পানীয় জল নেই । ঘরের মধ্যে ঘুমানোর জন্য খাট বা বিছানারও কোনও ব্যবস্থা নেই । পরিতক্ত এই ঘরটির চারিদিকে শুধুই ফাঁকা মাঠ । তাঁদের পরিবারের তরফে খাবার পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে বটে । কিন্তু সন্ধ্যা ঘনালেই অন্ধকারে বিষাক্ত কীট পতঙ্গের সঙ্গে একসঙ্গেই এই ভগ্নপ্রায় পরিত্যক্ত বাড়িতে থাকতে হচ্ছে এই দশজন শ্রমিককে ।

মলানদিঘি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান পীযুষ মুখোপাধ্যায় জানালেন ,"বেঙ্গালুরু ও কর্নাটক থেকে আসা শ্রমিকদের ঘরেই 14 দিন কোয়ারানটিনে থাকার কথা । কিন্তু গ্রামের লোক তাঁদের থাকতে দিচ্ছে না । তাঁদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা আমরা করিয়েছি । যারা চিহ্নিত রাজ্যগুলি থেকে আসছে তাঁদেরকে সরকারিভাবে গৌরী দেবী কোয়ারানটাইন সেন্টারে রাখা হচ্ছে । কিন্তু এদেরকে সেখানে রাখা যাবে না ।"

কেন এই 10 জন শ্রমিককে এভাবে গ্রামের শেষে নির্জন এলাকায় পরিত্যক্ত ঘরে কোয়ারানটিনে রাখতে হল? আগাম কোনও পরিকল্পনা ব্লক প্রশাসনের তরফে নেওয়া হয়নি কেন? এমনই বেশ কিছু প্রশ্ন ইতিমধ্যেই উঠতে শুরু করেছে এলাকার একাংশের মধ্যে ।

দুর্গাপুর ,7 জুন: এরা কেউ কাজ করতেন বেঙ্গালুরুতে । কেউ বা আবার কর্নাটকের অন্য কোনও শহরে । কিছুদিন আগেই রাজ্যে ফিরেছেন । আর রাজ্যে ফিরেই হোম কোয়ারানটিন ! ঠাঁই হয়েছে গ্রামের শেষে একেবারে প্রত্যন্ত এলাকায় ভগ্নপ্রায় একটি বাড়িতে । অভিযোগ, প্রচন্ড গরমের মধ্যে ভাঙা ঘরে, অন্ধকারে, বিষাক্ত পোকা-মাকড়ের সঙ্গে রাত কাটাতে হচ্ছে তাঁদের । স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধানের কথায় , এলাকার মানুষ তাঁদেরকে বাড়িতে ঢুকতে দিচ্ছেন না । তাই ভিনরাজ্য থেকে ফেরা ওই দশজনকে সেখানেই রাখা হয়েছে ।

কোরোনার আবহে বিভিন্ন রাজ্য থেকে শ্রমিকরা বাড়ি ফিরছেন । মুম্বই, গুজরাত, রাজস্থান-সহ বেশ কিছু চিহ্নিত রাজ্য থেকে ফেরা শ্রমিকদের সরকারি কোয়ারানটিন সেন্টারে রাখার কথা বলা হয়েছে । চিহ্নিত রাজ্যগুলি বাদে অন্য রাজ্যগুলি থেকে আসা শ্রমিকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর হোম কোয়ারানটিনে থাকার কথা বলা হয়েছে ।

পশ্চিম বর্ধমানের কাঁকসা থানা এলাকার মলানদিঘি গ্রাম পঞ্চায়েতের রক্ষিৎপুর গ্রামের দশজন শ্রমিক বেঙ্গালুরু ও কর্নাটকের অন্যান্য শহর থেকে শনিবার জেলা ফিরেছেন । কিন্তু গ্রামের লোকেরা তাঁদের বাড়িতে থাকার অনুমতি দেয়নি । স্থানীয় মলানদিঘি গ্রাম পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে সরকারি স্বাস্থ্যবিধি মেনে তাঁদের শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করানো হয়েছে । কিন্তু গ্রামের মানুষের বাধায় তাঁদেরকে রাখা হয়েছে রক্ষিৎপুর গ্রামের একেবারে নির্জন এলাকায় এক পরিত্যক্ত বাড়িতে ।

যে বাড়িতে এই 10 জন রয়েছেন সেই ঘরের একটি জানালা-দরজাও অবশিষ্ট নেই । বিদ্যুৎ সংযোগ নেই । পানীয় জল নেই । ঘরের মধ্যে ঘুমানোর জন্য খাট বা বিছানারও কোনও ব্যবস্থা নেই । পরিতক্ত এই ঘরটির চারিদিকে শুধুই ফাঁকা মাঠ । তাঁদের পরিবারের তরফে খাবার পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে বটে । কিন্তু সন্ধ্যা ঘনালেই অন্ধকারে বিষাক্ত কীট পতঙ্গের সঙ্গে একসঙ্গেই এই ভগ্নপ্রায় পরিত্যক্ত বাড়িতে থাকতে হচ্ছে এই দশজন শ্রমিককে ।

মলানদিঘি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান পীযুষ মুখোপাধ্যায় জানালেন ,"বেঙ্গালুরু ও কর্নাটক থেকে আসা শ্রমিকদের ঘরেই 14 দিন কোয়ারানটিনে থাকার কথা । কিন্তু গ্রামের লোক তাঁদের থাকতে দিচ্ছে না । তাঁদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা আমরা করিয়েছি । যারা চিহ্নিত রাজ্যগুলি থেকে আসছে তাঁদেরকে সরকারিভাবে গৌরী দেবী কোয়ারানটাইন সেন্টারে রাখা হচ্ছে । কিন্তু এদেরকে সেখানে রাখা যাবে না ।"

কেন এই 10 জন শ্রমিককে এভাবে গ্রামের শেষে নির্জন এলাকায় পরিত্যক্ত ঘরে কোয়ারানটিনে রাখতে হল? আগাম কোনও পরিকল্পনা ব্লক প্রশাসনের তরফে নেওয়া হয়নি কেন? এমনই বেশ কিছু প্রশ্ন ইতিমধ্যেই উঠতে শুরু করেছে এলাকার একাংশের মধ্যে ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.