দুর্গাপুর, 29 জুন: গরিব টোটোচালক থেকে সাংবাদিক, ভোট-পরবর্তী হিংসা মামলায় একের পর এক ব্যক্তিকে ডেকে পাঠাচ্ছে সিবিআই । বাদ পড়েননি নামজাদা চিকিৎসকও ৷ তার বিরুদ্ধেই এবার গর্জে উঠলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ৷ বুধবারের প্রশাসনিক বৈঠক থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় বলেন, "বারে-বারে ডেকে হেনস্থা করা হচ্ছে ৷ তৃণমূলের বিধায়ক, পঞ্চায়েত সদস্যদেরও হেনস্থা করছে সিবিআই । একটা কেসে একহাজার লোককে ডাকা হচ্ছে (Mamata Banerjee on CBI Summons at Administrative Meeting) ।"
সিবিআই-এর তরফে ভোট-পরবর্তী হিংসা মামলায় রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি বহু সাধারণ মানুষকেও তলব করা হয় দুর্গাপুরের সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পে । কেতুগ্রাম 1 নম্বর ব্লকের টোটো চালান অজয় দাস ৷ এলাকার রাস্তার সমস্যা নিয়ে বীরভূম জেলা তৃণমূল-কংগ্রেসের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে ফোন করেছিলেন তিনি । তাঁকেও ডেকে পাঠানো হয়েছে । দুর্গাপুরে সিবিআই দফতরে হাজিরা দিয়ে বেরোনোর পর সংবাদমাধ্যমের সামনে কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন তিনি । এনিয়ে সোমবার দুর্গাপুরের প্রশাসনিক বৈঠক থেকে উষ্মা প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী ।
আরও পড়ুুন : অনুব্রতকে ফোন করে বিপত্তি! সিবিআই জেরার মুখে ক্ষুদ্র চাষি, টোটোচালক
প্রসঙ্গত, দুর্গাপুরের এনআইটি-তে অস্থায়ী শিবির রয়েছে সিবিআইয়ের ৷ গত 16 জুন সেখানে হাজিরা দেন অজয় দাস নামে ওই টোটোচালক ৷ তাঁর এলাকায় একটি রাস্তার হাল দীর্ঘদিন ধরেই খারাপ ৷ সেই রাস্তা দিয়ে টোটো চালালে গাড়ির কল-কবজা বিগড়ে যায় ৷ তাই অনুব্রত মণ্ডলকে ফোন করে রাস্তা সারাইয়ের আবেদন জানিয়েছিলেন ৷ ফলে তাঁর মোবাইল নম্বর অনুব্রতর কললিস্টে থেকে যায় ৷ সেই থেকেই বিপত্তি ৷ অজয় দাসের সাফ কথা, তাঁকে তৃণমূলের কোনও নেতা পাত্তাও দেন না ৷ অথচ, ভোট-পরবর্তী হিংসার মতো ভয়াবহ অভিযোগে তাঁর নাম জড়ানো হচ্ছে ! অনুব্রতকে ফোন করাতেই তাঁর এই বিপত্তি বলে জানিয়েছেন অজয় ৷