আসানসোল, 18 জানুয়ারি: লটারিতে এক লক্ষ 80 হাজার টাকা পুরস্কার জিতেছিলেন । কিন্তু লটারি বিক্রেতা টিকিট নিয়ে পুরস্কারের অর্থ দিতে অস্বীকার করে বলে অভিযোগ । আর সেই মানসিক যন্ত্রণা থেকেই আত্মঘাতী (died by suicide) হলেন এক লটারি বিজেতা । আসানসোলের হীরাপুর থানার আলুঠিয়া গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে । মৃত ব্যক্তির নাম উজ্জ্বল লায়েক (42)। মঙ্গলবার তিনি গলায় দড়ি নিয়ে আত্মঘাতী হন । বুধবার ময়নাতদন্তের পর তাঁর দেহ তুলে দেওয়া হয় পরিবারের হাতে। হীরাপুর থানার আলুঠিয়া গ্রামের বাসিন্দা উজ্জ্বল লায়েক পেশায় ছিলেন গাড়ি চালক । পরিবারে স্ত্রী ও দুই সন্তান রয়েছে । এছাড়াও আরেক দাদা এবং তাঁর পরিবার একসঙ্গেই থাকেন । উজ্জ্বল মাঝেমধ্যে লটারি কাটতেন বলে সূত্রের খবর ।
পরিবারের দাবি: গত 4 জানুয়ারি স্থানীয় পাটমোহনা বাজারে একটি লটারির দোকান থেকে লটারির টিকিট কিনেছিলেন উজ্জ্বল । ওইদিনই লটারি বিক্রেতা তাঁকে জানায় যে উজ্জ্বলের কেনা টিকিটে 1400 টাকা পুরস্কার উঠেছে । সেই মত তাঁকে 200 টাকা দিয়ে বাকি টাকা পরে দেওয়া হবে বলে লটারি বিক্রেতা টিকিটটি নিয়ে চলে যায় । কিন্তু পরে উজ্জ্বল জানতে পারেন তিনি প্রথম পুরস্কার জিতেছেন । এরপর লটারি বিক্রেতার কাছে গেলে প্রথমে সে স্বীকার করে ৷ পরে লটারিটে প্রথম স্থানের কথা স্বীকার করলেও বারবার উজ্জ্বলকে ঘোরাতে থাকে ওই বিক্রেতা ।
লটারির পুরস্কারের টাকা শেষমেষ দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ: লটারি বিক্রেতা পুরস্কারের অর্থ মূল্য দিতে সরাসরি অস্বীকার করার পরেই মানসিক যন্ত্রণায় ভুগতে থাকেন উজ্জ্বল লায়েক । মঙ্গলবার বাড়িতেই গলায় দড়ি আত্মঘাতী হন তিনি । উজ্জ্বল লায়েকের দাদা হরিপদ লায়েক বলেন, "আত্মহত্যার আগে একটি সুইসাইড নোট লিখে গিয়েছেন তিনি । সেই নোটে তিনি সম্পূর্ণ ঘটনার বিবরণ লিখেছেন ।" উজ্জ্বল বাবুর স্ত্রী কৃষ্ণা লায়েক বলেন, "আমরা ওই প্রতারক লটারি বিক্রেতার কঠোর শাস্তি চাই । পাশাপাশি 10 লক্ষ টাকা ওকে দিতে হবে, এমন দাবি জানিয়েছি ।" ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত লটারি বিক্রেতা পলাতক । হীরাপুর থানার পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য লটারি বিক্রেতার বাবাকে আটক করেছেন ।
আরও পড়ুন: লটারি কেটে প্রচুর ধার, গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা প্রধান শিক্ষকের