কুলটি, 27 অক্টোবর: ভূ-ভারতে যা নেই তা রয়েছে এই বাংলায় । এমন গর্বের উদাহরণ ভুড়ি ভুড়ি । বাংলার গরিমা সারা দেশের কাছেই ঈর্ষাজনক । কিন্তু এমনও কিছু বিষয় এখানে আছে যা ভিন রাজ্যের কাছে বাংলাকে অন্যরূপে বা কিছুটা খারাপ রূপেই তুলে ধরছে বলা যায় ৷ সেগুলিরই একটি হল 'ডান্ডা ট্যাক্স' ৷ ভিন রাজ্য থেকে আসা পণ্যবাহী লরির চালকদের কাছে যদি জানতে চান, তারা একরাশ ক্ষোভ উগড়ে জানাবেন, দেশের কোনও রাজ্যে যা লাগে না, তা বাংলায় লাগে । আর সেটা হল ডান্ডা ট্যাক্স (Danda tax of Bengal) । বাংলা-ঝাড়খন্ড সীমান্তে (Bengal Jharkhand border) এই ডান্ডা ট্যাক্সকে ঘিরে গড়ে উঠেছে বিরাট দালাল চক্র ।
বাংলা-ঝাড়খন্ড সীমান্তে ডুবুরডি চেকপোস্ট পেরিয়েই রয়েছে রামপুর চেকপোস্ট (Rampur MV Check post)। মূলত এটিই এমভিআই চেকপোস্ট বলে পরিচিত । এলাকায় গেলেই সমস্ত গুমটি, দোকান, হোটেল সব জায়গায় লেখা আছে 'ডান্ডা ট্যাক্স করাতে যোগাযোগ করুন' । দেওয়া আছে ফোন নম্বরও । আসলে গোটা এলাকাতেই গড়ে উঠেছে এই দালাল চক্র । কী এই ডান্ডা ট্যাক্স ? পরিষ্কারভাবে কোনও প্রশাসনিক আধিকারিক বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলতে চাননি । তবে যেটা জানা গিয়েছে, এ রাজ্যে ঢুকতে একটি বিশেষ ধরনের ট্যাক্স দিতে হয় । ভিন রাজ্যের পণ্যবাহী লরিগুলিকে। যেটাকে স্থানীয় ভাষায় 'ডান্ডা ট্যাক্স' বলে (Danda Tax)।
আরও পড়ুন: ভাইফোঁটা না পেলেও জেলেই ফ্রায়েড রাইস-চিলি চিকেনে মজলেন কেষ্ট
এই ট্যাক্সে টাকার পরিমাণ 3 হাজার 300 থেকে শুরু করে 5 হাজার টাকা পর্যন্ত চলে যায় । এমনই দাবি করছেন চালকরা । এর জন্য তাঁদের রশিদও দেওয়া হয় । তবে এখানেও রয়েছে গড়মিল ৷ ভিন রাজ্য থেকে আসা চালকরা জানিয়েছেন, সরাসরি এমবভিআই চেকপোষ্টে গেলে যা টাকা লাগে, দালালের মারফত গেলে তা নাকি কম লাগে । আশ্চর্য হলেও এটাই সত্যি। স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, দালালরাজকে মদদ দিতেই কার্যত এমভিআই অফিসাররা এমন নিয়ম করে রেখেছেন । প্রশাসনের কাছে এই নিয়মের বদল দাবি করেও কোনও ফল মেলেনি ৷
আরও পড়ুন: সংসার টানতে টোটো চালাচ্ছেন কলেজ পড়ুয়া তমা
চালকরা জানাচ্ছেন দেশের বিভিন্ন জায়গায় লরি নিয়ে যান তাঁরা । কিন্তু কোনও রাজ্যে এইভাবে ট্যাক্স লাগে না (lorry drivers of other states are scared of danda tax)। বর্তমানে সমস্ত কিছুই অনলাইন হয়ে গিয়েছে । কিন্তু তা সত্ত্বেও নগদ টাকা দিয়ে ট্যাক্স এ রাজ্যে ঢুকতে গেলেই দিতে হয় । শুধু ট্যাক্স দিয়েই ছাড় নেই, লরিকে দাঁড় করিয়ে রাখা হয় 10 থেকে 12 ঘন্টা । সেই সময় লরি রাস্তায় নামলে ফের আরটিও সেই লরির পথ আগলে দাঁড়ায় বলে অভিযোগ । ফাইন দিতে হয় হাজার হাজার টাকা । সব কিছু ঠিক থাকলেও কেন ফাইন ? এর উত্তর পাওয়া যায় না বলে জানিয়েছেন চালকরা । বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনিক স্তরে কোনও আধিকারিকের মন্তব্য পাওয়া যায়নি ৷