ETV Bharat / state

Landslide at Andal: ধাণ্ডারডিহি গ্রামের পুকুরে আবার ধস, আতঙ্কে গ্রামবাসীরা - আতঙ্কে গ্রামবাসীরা

একের পর এক ধসের ঘটনা ঘটছে ধাণ্ডারডিহি গ্রামে (Landslide at Andal) ৷ যার জেরে আতঙ্কিত হয়ে পড়ছেন গ্রামবাসীরা ৷ ধসের ঘটনার হাত থেকে মুক্তি পেতে চাইছেন তারা ৷

Andal
ধস
author img

By

Published : Feb 1, 2023, 6:15 PM IST

ধাণ্ডারডিহি গ্রামের পুকুরে আবার ধস

অণ্ডাল, 1 ফেব্রুয়ারি: শনিবারের পর ফের সোমবার ধস ধাণ্ডারডিহি গ্রামে ৷ কয়েকদিন আগে ধসের জেরে পুকুরের জল শূন্য হয়ে যায় । সেই এলাকাতেই সোমবার আমার ধস দেখা দিল ৷ ঘটনার জেরে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন এলাকার বাসিন্দারা ৷ ধস থেকে পরিত্রাণ চাইছেন তারা ৷ পর পর ধসের ঘটনায় ইসিএলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ বাড়ছে স্থানীয়দের মধ্যে (Locals panic as Landslide again hits Andal) । বে-আইনি কয়লা চুরির কারণেই কী বারবার ওই এলাকায় ধস? উঠছে সেই প্রশ্নই ৷

অণ্ডাল থানার অন্তর্গত মদনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ধাণ্ডারডিহি গ্রামের থেকে আনুমানিক 100 মিটার দূরে একটি জল শুকিয়ে যাওয়া পুকুরে গভীর ধসের ঘটনা ঘটে সোমবার । ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন গ্রামবাসীরা । মঙ্গলবার ওই ধস আরও বড় আকার নেওয়ায় ফের আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকা জুড়ে । অভিযোগ পাওয়ার পর, ইসিএলের কাজোড়া এরিয়ার পক্ষ থেকে ধস কবলিত স্থানটিতে মাটি ভরাটের কাজ শুরু হয়নি । এ ঘটনাকে ইসিএল ব্যবস্থাপনার গাফিলতি বলে অভিহিত করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা ।

গ্রামবাসী জগবন্ধু সাধু জানান, তাদের গ্রাম কয়লাঞ্চল এলাকার অন্তর্গত এবং ধস কবলিত এলাকা বলেই পরিচিত । গ্রামের পাশেই রয়েছে ইসিএল-এর পুরনো একটা খোলামুখ কয়লা খনি । এই পরিত্যক্ত খনি থেকেই বর্তমানে অসাধু কয়লা ব্যবসায়ীরা অবৈধভাবে কয়লা খনন করছে ৷ আর এর কারণেই এলাকায় ধসের সৃষ্টি হচ্ছে । গ্রামের চারপাশে রয়েছে বৈধ ও অবৈধ বহু ভূগর্ভস্থ মাইন ও ওসিপি । বৈধ ও অবৈধ খনিতে খননের কারণে এলাকাটি ফাঁপা হয়ে পড়েছে ।

জগবন্ধু সাধু বলেন, "আমাদের পাশের গ্রাম হরিশপুর ধসের কবলে পড়ে আজ ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে । গ্রামের মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়েই বাস করছেন সেখানে । দু'বছর ধরে প্রশাসন তথা ইসিএল-এর আধিকারিকদের দরজায় দরজায় ঘুরেও মেলেনি পুনর্বাসন । ঠিক সেই হরিশপুর গ্রামের মতো অবস্থা আমাদের গ্রামেরও হতে পারে বলে আশংকা করছি । গ্রামে হাজার হাজার ঘরবাড়ি তলিয়ে গেলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে । এখানে যত্রতত্র জমি ফাঁপা,যেকোনও সময় তলিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশংকা রয়েছে ।"

মঙ্গলবার ধস কবলিত স্থান পরিদর্শন করলেন তৃণমূলের রানিগঞ্জ টাউন সভাপতি রূপেশ যাদব । তিনি বলেন, "কেন্দ্র সরকারের প্রকল্প কয়লা খনি । সেখানে যে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রয়োজন, তা নেওয়া হয় না ৷ কয়লা উত্তোলনের পর খনি খোলা অবস্থায় রেখে দেওয়ার কারণেই ঘটছে ধসের ঘটনা ।" ধসের কারণ হিসাবে রূপেশ সম্পূর্ণভাবে কেন্দ্র সরকারকেই দায়ী করেছেন ।

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ধাণ্ডারডিহি গ্রাম লাগোয়া মাধবপুর কয়লা খনিতে ইস্টার্ন কোয়ালফিল্ড লিমিটেডের পক্ষ থেকে কয়লা খনন বন্ধ করে রাখা হয়েছে । কিন্তু গ্রামবাসীরা জানাচ্ছেন, স্থানীয় এবং বহিরাগত বেশকিছু কয়লা চোর এই খোলামুখ খনির থেকে নিয়মিত কয়লা চুরি কাজ চালিয়ে যাচ্ছে । আর তার জেরেই বারবার ধাণ্ডারডিহি গ্রামে ভয়াবহ ধস দেখা দিচ্ছে । এই গ্রাম থেকে সামান্য দূরে হরিশপুর গ্রাম ইতিপূর্বে ধসের কবলে পড়ে গোটা গ্রাম জনশূন্য হয়ে পড়ে । হরিশপুর গ্রামের বাসিন্দাদের পুনর্বাসন নিয়ে সমস্যা মেটেনি ৷ এরই মধ্যে নতুন করে ধাণ্ডারডিহি গ্রামের বাসিন্দারা সিঁদুরে মেঘ দেখছেন ।

আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর আশংকা প্রকাশের দিনকয়েকের মধ্যে ধস অণ্ডালে, আতঙ্কে এলাকাবাসী

ধাণ্ডারডিহি গ্রামের পুকুরে আবার ধস

অণ্ডাল, 1 ফেব্রুয়ারি: শনিবারের পর ফের সোমবার ধস ধাণ্ডারডিহি গ্রামে ৷ কয়েকদিন আগে ধসের জেরে পুকুরের জল শূন্য হয়ে যায় । সেই এলাকাতেই সোমবার আমার ধস দেখা দিল ৷ ঘটনার জেরে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন এলাকার বাসিন্দারা ৷ ধস থেকে পরিত্রাণ চাইছেন তারা ৷ পর পর ধসের ঘটনায় ইসিএলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ বাড়ছে স্থানীয়দের মধ্যে (Locals panic as Landslide again hits Andal) । বে-আইনি কয়লা চুরির কারণেই কী বারবার ওই এলাকায় ধস? উঠছে সেই প্রশ্নই ৷

অণ্ডাল থানার অন্তর্গত মদনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ধাণ্ডারডিহি গ্রামের থেকে আনুমানিক 100 মিটার দূরে একটি জল শুকিয়ে যাওয়া পুকুরে গভীর ধসের ঘটনা ঘটে সোমবার । ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন গ্রামবাসীরা । মঙ্গলবার ওই ধস আরও বড় আকার নেওয়ায় ফের আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকা জুড়ে । অভিযোগ পাওয়ার পর, ইসিএলের কাজোড়া এরিয়ার পক্ষ থেকে ধস কবলিত স্থানটিতে মাটি ভরাটের কাজ শুরু হয়নি । এ ঘটনাকে ইসিএল ব্যবস্থাপনার গাফিলতি বলে অভিহিত করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা ।

গ্রামবাসী জগবন্ধু সাধু জানান, তাদের গ্রাম কয়লাঞ্চল এলাকার অন্তর্গত এবং ধস কবলিত এলাকা বলেই পরিচিত । গ্রামের পাশেই রয়েছে ইসিএল-এর পুরনো একটা খোলামুখ কয়লা খনি । এই পরিত্যক্ত খনি থেকেই বর্তমানে অসাধু কয়লা ব্যবসায়ীরা অবৈধভাবে কয়লা খনন করছে ৷ আর এর কারণেই এলাকায় ধসের সৃষ্টি হচ্ছে । গ্রামের চারপাশে রয়েছে বৈধ ও অবৈধ বহু ভূগর্ভস্থ মাইন ও ওসিপি । বৈধ ও অবৈধ খনিতে খননের কারণে এলাকাটি ফাঁপা হয়ে পড়েছে ।

জগবন্ধু সাধু বলেন, "আমাদের পাশের গ্রাম হরিশপুর ধসের কবলে পড়ে আজ ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে । গ্রামের মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়েই বাস করছেন সেখানে । দু'বছর ধরে প্রশাসন তথা ইসিএল-এর আধিকারিকদের দরজায় দরজায় ঘুরেও মেলেনি পুনর্বাসন । ঠিক সেই হরিশপুর গ্রামের মতো অবস্থা আমাদের গ্রামেরও হতে পারে বলে আশংকা করছি । গ্রামে হাজার হাজার ঘরবাড়ি তলিয়ে গেলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে । এখানে যত্রতত্র জমি ফাঁপা,যেকোনও সময় তলিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশংকা রয়েছে ।"

মঙ্গলবার ধস কবলিত স্থান পরিদর্শন করলেন তৃণমূলের রানিগঞ্জ টাউন সভাপতি রূপেশ যাদব । তিনি বলেন, "কেন্দ্র সরকারের প্রকল্প কয়লা খনি । সেখানে যে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রয়োজন, তা নেওয়া হয় না ৷ কয়লা উত্তোলনের পর খনি খোলা অবস্থায় রেখে দেওয়ার কারণেই ঘটছে ধসের ঘটনা ।" ধসের কারণ হিসাবে রূপেশ সম্পূর্ণভাবে কেন্দ্র সরকারকেই দায়ী করেছেন ।

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ধাণ্ডারডিহি গ্রাম লাগোয়া মাধবপুর কয়লা খনিতে ইস্টার্ন কোয়ালফিল্ড লিমিটেডের পক্ষ থেকে কয়লা খনন বন্ধ করে রাখা হয়েছে । কিন্তু গ্রামবাসীরা জানাচ্ছেন, স্থানীয় এবং বহিরাগত বেশকিছু কয়লা চোর এই খোলামুখ খনির থেকে নিয়মিত কয়লা চুরি কাজ চালিয়ে যাচ্ছে । আর তার জেরেই বারবার ধাণ্ডারডিহি গ্রামে ভয়াবহ ধস দেখা দিচ্ছে । এই গ্রাম থেকে সামান্য দূরে হরিশপুর গ্রাম ইতিপূর্বে ধসের কবলে পড়ে গোটা গ্রাম জনশূন্য হয়ে পড়ে । হরিশপুর গ্রামের বাসিন্দাদের পুনর্বাসন নিয়ে সমস্যা মেটেনি ৷ এরই মধ্যে নতুন করে ধাণ্ডারডিহি গ্রামের বাসিন্দারা সিঁদুরে মেঘ দেখছেন ।

আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর আশংকা প্রকাশের দিনকয়েকের মধ্যে ধস অণ্ডালে, আতঙ্কে এলাকাবাসী

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.