ETV Bharat / state

মডেল হোক জামুড়িয়া রেলস্টেশন, সাধারণ বাজেটের দিকে তাকিয়ে স্থানীয়রা - বাজেট 2020

2009 সালে রেলমন্ত্রী থাকাকালীন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জামুড়িয়া রেলস্টেশনকে মডেল স্টেশন হিসেবে গড়ে তোলা হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ৷ সেইমতো 2010-11 সালে ফের ওই ট্রেন চলাচল শুরু হয় । কিন্তু ন'বছর পরেও এই রেল স্টেশনে পরিষেবার কোনও উন্নতি হয়নি বলে ক্ষুব্ধ জামুড়িয়া বাসিন্দারা ।

Jamuria as model station
মডেল হোক জামুড়িয়া রেলস্টেশন
author img

By

Published : Jan 30, 2020, 10:29 PM IST

জামুড়িয়া, 30 জানুয়ারি : মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী থাকাকালীন জামুড়িয়া রেলস্টেশনকে মডেল স্টেশন হিসেবে গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন ৷ কিন্তু কোথায় সেই মডেল রেলস্টেশন? নেই পানীয় জলের ব্যবস্থা, নেই শৌচাগার, নেই কোনও প্রতীক্ষালয় এমনকী নেই কোনও টিকিট কাউন্টারও ৷ তাই স্বপ্ন পূরণের জন্য সাধারণ বাজেটের দিকেই তাকিয়ে জামুড়িয়াবাসী ৷

অন্ডাল- জসীডী রেলপথে পড়ে জামুড়িয়া রেলস্টেশন । আগে একমাত্র অন্ডাল-বৈদ্যনাথধাম লোকাল ট্রেন চলাচল করত এই স্টেশন দিয়ে ৷ রেল সূত্রে জানা গেছে অলাভজনক এই কারণ দেখিয়ে 1996 সালের জুন মাসে ওই ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেয় রেল কর্তৃপক্ষ । তারপর 2009 সালে রেলমন্ত্রী থাকাকালীন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জামুড়িয়া রেলস্টেশনকে মডেল স্টেশন হিসেবে গড়ে তোলা হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ৷ সেইমতো 2010-11 সালে ফের ওই ট্রেন চলাচল শুরু হয় । কিন্তু ন'বছর পরেও এই রেল স্টেশনে পরিষেবার কোনও উন্নতি হয়নি বলে ক্ষুব্ধ জামুড়িয়া বাসিন্দারা । প্ল্যাটফর্ম দৈর্ঘ্যে ছোটো তাই পিছনের কামরার যাত্রীদের চেয়ার করে নামাতে হয় ৷ অন্ডাল থেকে সকাল 7.15 মিনিট নাগাদ ট্রেন একটি ট্রেন আসে । ওই ট্রেনটিই বিকেল 5:05 নাগাদ জসীডী থেকে ফেরে । প্রত্যেকদিন সকালে এক ব্যক্তি সাইকেল করে আসেন ৷ তিনি রেলের কোনও কর্মচারী নন ৷ ব্যাগে করে আগে থেকে প্রিন্ট করা টিকিট নিয়ে আসেন ৷ গন্তব্যস্থান অনুযায়ী যাত্রীদের টিকিটের ওপর তারিখের স্ট্যাম্প দিয়ে দেন । স্ট্যাম্প পড়লেই কনফার্ম হয়ে যায় টিকিট ।

এ বিষয়ে জামুড়িয়া চেম্বার অফ কমার্সের এক শিল্পপতি অজয় খৈতান জানান, অন্ডাল- জসীডী ট্রেনটি বন্ধ হয়ে গেছিল । সেটিকে ফের চালু করার জন্য চেম্বার অফ কমার্স ও আমুড়িয়া ইন্ডাস্ট্রিয়ালের পক্ষ থেকে দাবি রাখা হয় । অবশেষে ফের চালু হয় ওই ট্রেনটি । বলেন," আমাদের দাবি ছিল, চিত্তরঞ্জন ভায়া জামুড়িয়া হয়ে কলকাতা এবং জামুড়িয়া থেকে ধানবাদ পর্যন্ত ট্রেন চালু করার । জামুড়িয়া আর পুরোনো জামুড়িয়া নেই । শিল্পের জন্য 30 হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ হয়েছে জামুড়িয়াতে । বড় বড় কয়েকটি কারখানা রয়েছে এখানে । ECL-এর অনেক কয়লা খনিও রয়েছে । এছাড়াও এখানে বাইরে থেকে বহু মানুষ আসে কাজের জন্য ৷ তাই এই রেলস্টেশনকে উন্নতমানের করা হোক । অবিলম্বে আরও কয়েকটি ট্রেন চালু করা হোক ৷

মডেল হোক জামুড়িয়া রেলস্টেশন দাবি স্থানীয়দের

স্থানীয় এক ব্যবসায়ী মহম্মদ মুস্তাফিজ বলেন, "শিয়ালদা ইন্টারসিটিকে এই রুট দিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল । কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতি পালন করা হয়নি । জামুরিয়া রেলস্টেশনে কম্পিউটার রিজার্ভেশন কাউন্টার নেই । টিকিটের ওপর স্ট্যাম্প লাগিয়ে টিকিট বিক্রি করা হয় । যদি ট্রেন বাতিল হয় তাহলে টাকা ফেরত দেওয়া হয় না । এ নিয়ে ঝামেলাও হয়েছে ৷ দুঃখের বিষয় কেন্দ্রীয় সরকার যখন স্বচ্ছ ভারত অভিযানের বার্তা দিচ্ছে, ঠিক সেই সময় জামুড়িয়া স্টেশনে শৌচালয় নেই । পানীয় জলের ব্যবস্থা নেই ৷ "

স্থানীয়দের বক্তব্য, এ বিষয়ে আসানসোলের সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়কে জানানো হয়েছে । জামুড়িয়া চেম্বার অফ কমার্সের পক্ষ থেকে স্মারকলিপিও জমা করা হয় ৷ কিন্তু অভিযোগ, তাতে কোনও লাভ হয়নি ।

এ বিষয়ে টিকিট বিক্রেতা অনির্বাণ মণ্ডলের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, "কম্পিউটার থেকে প্রিন্ট করে টিকিট নিয়ে আসি । টিকিটের মধ্যে রেলের রেজিস্ট্রেশন নম্বর দেওয়া থাকে । এরপর গন্তব্যস্থান অনুযায়ী টাকা নিয়ে স্ট্যাম্প দিয়ে টিকিট বিক্রি করা হয় । এই টিকিট বাতিল হয় না । কারণ প্রথমে নিজের পকেট থেকেই টাকা দিয়ে টিকিট কিনে আনতে হয় । টিকিটের ওপর স্ট্যাম্প মানেই কনফার্ম টিকিট । রেল কর্তৃপক্ষ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে এই টিকিট বাতিল করা যাবে না । আমি রেলের সঙ্গে চুক্তির ভিত্তিতে কাজ করছি ৷ "

জামুড়িয়া, 30 জানুয়ারি : মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী থাকাকালীন জামুড়িয়া রেলস্টেশনকে মডেল স্টেশন হিসেবে গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন ৷ কিন্তু কোথায় সেই মডেল রেলস্টেশন? নেই পানীয় জলের ব্যবস্থা, নেই শৌচাগার, নেই কোনও প্রতীক্ষালয় এমনকী নেই কোনও টিকিট কাউন্টারও ৷ তাই স্বপ্ন পূরণের জন্য সাধারণ বাজেটের দিকেই তাকিয়ে জামুড়িয়াবাসী ৷

অন্ডাল- জসীডী রেলপথে পড়ে জামুড়িয়া রেলস্টেশন । আগে একমাত্র অন্ডাল-বৈদ্যনাথধাম লোকাল ট্রেন চলাচল করত এই স্টেশন দিয়ে ৷ রেল সূত্রে জানা গেছে অলাভজনক এই কারণ দেখিয়ে 1996 সালের জুন মাসে ওই ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেয় রেল কর্তৃপক্ষ । তারপর 2009 সালে রেলমন্ত্রী থাকাকালীন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জামুড়িয়া রেলস্টেশনকে মডেল স্টেশন হিসেবে গড়ে তোলা হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ৷ সেইমতো 2010-11 সালে ফের ওই ট্রেন চলাচল শুরু হয় । কিন্তু ন'বছর পরেও এই রেল স্টেশনে পরিষেবার কোনও উন্নতি হয়নি বলে ক্ষুব্ধ জামুড়িয়া বাসিন্দারা । প্ল্যাটফর্ম দৈর্ঘ্যে ছোটো তাই পিছনের কামরার যাত্রীদের চেয়ার করে নামাতে হয় ৷ অন্ডাল থেকে সকাল 7.15 মিনিট নাগাদ ট্রেন একটি ট্রেন আসে । ওই ট্রেনটিই বিকেল 5:05 নাগাদ জসীডী থেকে ফেরে । প্রত্যেকদিন সকালে এক ব্যক্তি সাইকেল করে আসেন ৷ তিনি রেলের কোনও কর্মচারী নন ৷ ব্যাগে করে আগে থেকে প্রিন্ট করা টিকিট নিয়ে আসেন ৷ গন্তব্যস্থান অনুযায়ী যাত্রীদের টিকিটের ওপর তারিখের স্ট্যাম্প দিয়ে দেন । স্ট্যাম্প পড়লেই কনফার্ম হয়ে যায় টিকিট ।

এ বিষয়ে জামুড়িয়া চেম্বার অফ কমার্সের এক শিল্পপতি অজয় খৈতান জানান, অন্ডাল- জসীডী ট্রেনটি বন্ধ হয়ে গেছিল । সেটিকে ফের চালু করার জন্য চেম্বার অফ কমার্স ও আমুড়িয়া ইন্ডাস্ট্রিয়ালের পক্ষ থেকে দাবি রাখা হয় । অবশেষে ফের চালু হয় ওই ট্রেনটি । বলেন," আমাদের দাবি ছিল, চিত্তরঞ্জন ভায়া জামুড়িয়া হয়ে কলকাতা এবং জামুড়িয়া থেকে ধানবাদ পর্যন্ত ট্রেন চালু করার । জামুড়িয়া আর পুরোনো জামুড়িয়া নেই । শিল্পের জন্য 30 হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ হয়েছে জামুড়িয়াতে । বড় বড় কয়েকটি কারখানা রয়েছে এখানে । ECL-এর অনেক কয়লা খনিও রয়েছে । এছাড়াও এখানে বাইরে থেকে বহু মানুষ আসে কাজের জন্য ৷ তাই এই রেলস্টেশনকে উন্নতমানের করা হোক । অবিলম্বে আরও কয়েকটি ট্রেন চালু করা হোক ৷

মডেল হোক জামুড়িয়া রেলস্টেশন দাবি স্থানীয়দের

স্থানীয় এক ব্যবসায়ী মহম্মদ মুস্তাফিজ বলেন, "শিয়ালদা ইন্টারসিটিকে এই রুট দিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল । কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতি পালন করা হয়নি । জামুরিয়া রেলস্টেশনে কম্পিউটার রিজার্ভেশন কাউন্টার নেই । টিকিটের ওপর স্ট্যাম্প লাগিয়ে টিকিট বিক্রি করা হয় । যদি ট্রেন বাতিল হয় তাহলে টাকা ফেরত দেওয়া হয় না । এ নিয়ে ঝামেলাও হয়েছে ৷ দুঃখের বিষয় কেন্দ্রীয় সরকার যখন স্বচ্ছ ভারত অভিযানের বার্তা দিচ্ছে, ঠিক সেই সময় জামুড়িয়া স্টেশনে শৌচালয় নেই । পানীয় জলের ব্যবস্থা নেই ৷ "

স্থানীয়দের বক্তব্য, এ বিষয়ে আসানসোলের সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়কে জানানো হয়েছে । জামুড়িয়া চেম্বার অফ কমার্সের পক্ষ থেকে স্মারকলিপিও জমা করা হয় ৷ কিন্তু অভিযোগ, তাতে কোনও লাভ হয়নি ।

এ বিষয়ে টিকিট বিক্রেতা অনির্বাণ মণ্ডলের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, "কম্পিউটার থেকে প্রিন্ট করে টিকিট নিয়ে আসি । টিকিটের মধ্যে রেলের রেজিস্ট্রেশন নম্বর দেওয়া থাকে । এরপর গন্তব্যস্থান অনুযায়ী টাকা নিয়ে স্ট্যাম্প দিয়ে টিকিট বিক্রি করা হয় । এই টিকিট বাতিল হয় না । কারণ প্রথমে নিজের পকেট থেকেই টাকা দিয়ে টিকিট কিনে আনতে হয় । টিকিটের ওপর স্ট্যাম্প মানেই কনফার্ম টিকিট । রেল কর্তৃপক্ষ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে এই টিকিট বাতিল করা যাবে না । আমি রেলের সঙ্গে চুক্তির ভিত্তিতে কাজ করছি ৷ "

Intro:রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী থাকাকালীন জামুরিয়া রেলস্টেশনকে মডেল স্টেশন হিসেবে গড়ে তুলতে চেয়ে ছিলেন! কিন্তু কোথায় সেই মডেল রেলস্টেশন ? নেই পানীয় জল ! নেই শৌচাগার ! নেই প্রতীক্ষালয় । বুলেট ট্রেন চালাবে বলে যেখানে কেন্দ্র স্বপ্ন দেখাচ্ছে ! সেখানে স্বপ্নভঙ্গের ইতিহাস জামুরিয়া রেলস্টেশন । ফের সাধারণ বাজেটের দিকে চোখ রেখে আশাবাদী জামুরিয়া বাসি ।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের " জামুরিয়া মডেল রেলস্টেশন " এখন অদ্ভুত রেলস্টেশন হয়ে দাঁড়িয়েছে । যখন গোটা দেশ ডিজিটাল ইন্ডিয়া তৈরি হচ্ছে তখন জামুরিয়া রেলস্টেশনে ঝোলাতে করে নিয়ে আসা রেলের টিকিট বিক্রি হচ্ছে । টিকিটের ওপর স্ট্যাম্প পড়লেই কনফার্ম হবে ট্রেনের টিকিট । এমন দৃশ্য দেখা গেল জামুরিয়া রেলস্টেশনে ।


ডিজিটাল ইন্ডিয়ার স্লোগান তুলে রেলের ১৬৬ বছরের হলুদ পিচবোর্ডের রেলের টিকিট জায়গায় এসেছে ইলেকট্রনিক্স টিকিট । কিন্তু সেই ইলেকট্রনিক্স টিকিটেরও কাউন্টার নেই এই রেল স্টেশনে । টিকিটের ওপর স্ট্যাম্প পড়লেই কনফার্ম হবে ট্রেনের টিকিট । চড়তে পারবে ট্রেনে সাধারণ মানুষ ।


প্রত্যেকদিন সকালে এক ব্যক্তি সাইকেলে করে জামুরিয়া রেল স্টেশনে আসে । ওই ব্যক্তির পিঠে ব্যাগ হাতে ঝোলা । অন্যদিকে সাধারণ যাত্রীরা জামুরিয়া রেল স্টেশনে লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকে । এরপর যাত্রীদের গন্তব্যস্থল অনুসারে টিকিটের ওপর তারিখের স্ট্যাম্প দেওয়া হয় । টিকিটের উপর স্ট্যাম্প পড়লেই কনফার্ম হয়ে যায় ট্রেন টিকিট । এমনই দৃশ্য দেখা যাবে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের জামুড়িয়ার মডেল স্টেশনে ।


অন্ডাল -যশিডি রেলপথের মাঝে পড়ে জামুরিয়া
রেলস্টেশন। এর উপর দিয়ে একমাত্র অন্ডাল বৈদ্যনাথধাম লোকাল ট্রেন চলাচল করত বহু আগে। রেল সূত্রে জানা গেছে ' অলাভজনক' কারণ দেখিয়ে ১৯৯৬ সালের জুন মাসে ওই ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ । তারপর ২০০৯ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী থাকাকালীন জামুরিয়া রেলস্টেশনকে " মডেল স্টেশন " তৈরি করা হবে বলে ঘোষণা করেন । ২০১০-১১ আর্থিক বর্ষে ফের ওই ট্রেন চলাচল শুরু হয় । গত ন'বছর পরেও এই রেল স্টেশনে পরিষেবার কোন উন্নতি হয়নি বলে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন জামুড়িয়ার বাসিন্দারা । এই স্টেশনের প্লাটফর্মে পুরো ট্রেন ঢোকে না । তাই পিছনের কামরা থেকে যাঁরা নামেন তাঁদের নামতে হয় চেয়ারে করে । অন্ডাল থেকে সকাল 7:15 নাগাদ ট্রেন আসে জামুড়িয়ায় । ফের আবার বিকেল 5:05 নাগাদ ওই ট্রেনটি জসিডি থেকে ফিরে আসে । শুধুমাত্র সকালে ট্রেন আসার আগে টিকিট কাউন্টার খোলে তারপর সারাদিন টিকিট কাউন্টার বন্ধ ।

জামুরিয়া চেম্বার অফ কমার্সের এক শিল্পপতি অজয় খৈতান জানান " যখন আমাদের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৎকালীন রেলমন্ত্রী ছিলেন সেই সময় জামুরিয়া রেলস্টেশনকে আদর্শ রেলস্টেশন হিসেবে গড়ে তুলতে চেয়ে ছিলেন । অন্ডাল- জসিডি ট্রেনটি বন্ধ হয়ে গিয়েছিল । সেটিকে আবার পুনরায় চালুর জন্য চেম্বার অফ কমার্স ও আমুড়িয়া ইন্ডাস্ট্রিয়ালের পক্ষ থেকে দাবি রাখা হয় । অবশেষে ফের চালু হয় অন্ডাল -জশিডি ট্রেনটি। এছাড়াও আমাদের আরও দাবি ছিল "চিত্তরঞ্জন ভায়া জামুরিয়া থেকে কলকাতা ও জামুরিয়া থেকে ধানবাদ পর্যন্ত ট্রেন । জামুরিয়া আর পুরনো জামুরিয়া নেই । শিল্পের জন্য 30 হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ হয়েছে জামুরিয়াতে । বড় বড় বেশ কয়েকটি কারখানা রয়েছে জামুরিয়ায়। ইসিএলের অনেক কয়লা খনিও রয়েছে এখানেই । বাইরে থেকে বহু মানুষ আসে কাজের জন্য জামুরিয়াতে প্রত্যেক দিনই ।খুব শিগগিরই জামুরিয়া রেলস্টেশনকে উন্নতমানের রেলস্টেশন করা হোক । অবিলম্বে আরো কয়েকটি ট্রেন চালু করা হোক বলে জানান তিনি ।

স্থানীয় জামুড়িয়ার ব্যবসায়ী মোহাম্মদ মুস্তাফিজ জানান " আমরা চাই , এই ট্রেন ছাড়াও চিত্তরঞ্জন থেকে ( ভায়া জামুরিয়া ) অন্ডাল ও কলকাতা ট্রেন চালানো হোক । তাতে বহু মানুষ উপকৃত হবেন । সেই সঙ্গে এই রেলপথ
জনপ্রিয় হয়ে উঠবে ।


তিনি আরো জানান " শিয়ালদা ইন্টারসিটি কেউ এই রুট দিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল । কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতি পালন করা হয়নি । অভিযোগ রেলের দপ্তরে স্মারকলিপি দিলেও কাজ হয়নি ।


তিনি আরো জানান " জামুরিয়া রেলস্টেশনে কম্পিউটার রিজার্ভেশন কাউন্টার নেই । টিকিটের ওপর স্ট্যাম্প লাগিয়ে টিকিট বিক্রি করা হয় । যদি ট্রেন বাতিল হয় তাহলে টাকা রিটার্ন হয়না । বহুবার ঝামেলা হয়েছে এই রেল স্টেশনে ।

কেন্দ্রীয় সরকার যখন স্বচ্ছ ভারত অভিযানের বার্তা দিচ্ছে ঠিক সেই সময় জামুরিয়া রেলস্টেশনের শৌচালয় ব্যবস্থা নেই । এই বিষয় নিয়ে কয়েকবার আসানসোলের সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়কে বিষয় নিয়ে জানানো হয়েছে। তাতেও কিছু লাভ হয়নি।


টিকিট বিক্রেতা অনির্বান মন্ডলের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান " কম্পিউটার থেকে প্রিন্ট করে নিয়ে আসি । টিকিটের মধ্যে রেলের রেজিস্ট্রেশন নাম্বার দেওয়া থাকে । এরপর ওই টিকিটে মধ্যে গন্তব্যস্থল অনুযায়ী টাকা নিয়ে স্ট্যাম্প দিয়ে টিকিট বিক্রি করা হয় । এই টিকিট বাতিল হয় না । কারণ প্রথমে নিজের পকেট থেকেই টাকা দিয়ে টিকিট কিনে আনতে হয় । টিকিট ওপর স্ট্যাম্প কনফার্ম ট্রেন টিকিট । রেল কর্তৃপক্ষ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে এই টিকিট বাতিল করা যাবে না । আমি রেলের কন্টাক বেসিক কাজ করছি এই রেলস্টেশনে বলে জানান তিনি ।





Body:।


Conclusion:।
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.